নিউজ ডেস্কঃ
ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম–বাঁশখালী সড়কে সুপার ও স্পেসাল সার্ভিস বাসগুলোতে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে বাস মালিক নিয়োজিত শ্রমিকরা। নগরীর বাস টার্মিনাল থেকে বাঁশখালী অভিমুখি যে কোনো যাত্রী বাসগুলোতে উঠা–নামা করলেই ভাড়া ১০৫ টাকা। গত ২–৩ দিন ধরে সরকারের নির্দেষকে অমান্য করে টিকেট কাউন্টার থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া ১০৫ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রী সাথে ঝগড়া, বিবাদ, হাতা–হাতির ঘটনা ঘটছে।
ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম–বাঁশখালী সড়কে সুপার ও স্পেসাল সার্ভিস বাসগুলোতে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে বাস মালিক নিয়োজিত শ্রমিকরা। নগরীর বাস টার্মিনাল থেকে বাঁশখালী অভিমুখি যে কোনো যাত্রী বাসগুলোতে উঠা–নামা করলেই ভাড়া ১০৫ টাকা। গত ২–৩ দিন ধরে সরকারের নির্দেষকে অমান্য করে টিকেট কাউন্টার থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া ১০৫ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রী সাথে ঝগড়া, বিবাদ, হাতা–হাতির ঘটনা ঘটছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে পূর্বের নির্ধারিত ভাড়া থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং সুপার সার্ভিস ও স্পেসাল সার্ভিস বাসগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম আনোয়ারা–বাঁশখালী যানবাহন মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রিত কক্সবাজার জেলার পেকুয়া টইটং বাজার থেকে চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল পর্যন্ত যাতায়াতকারী বাঁশখালী সুপার সার্ভিস ও স্পেসাল সার্ভিস বাসগুলোতে ৩১ যাত্রী আসন রয়েছে। কিন্তু মালিক সমিতির কর্মকর্তারা ঐ বাসগুলোর টুল বক্সে আরো ৪ জন যাত্রী বসিয়ে ভাড়া আদায় করেন। ঈদের ঘরমুখো যাত্রীর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইঞ্জিন বক্সে ৫ জন এবং চালক সিটের পাশে অতিরিক্ত টুল বক্সে ২ জন যাত্রী বসিয়ে মোট ৪২ জন যাত্রী বহন করার পাশা–পাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীদের অভিযোগ, নগরীর স্টেশন থেকে বাঁশখালীর গন্তব্য স্থান পুকুরিয়া, বাণীগ্রাম, গুনাগরী, বৈলছড়ী, জলদী, উপজেলা সদর সহ যে স্থানে যাত্রী নামবে সকল যাত্রীকে সুপার সর্ভিস এ ভাড়া ১০৫ টাকা, স্পেসাল সার্ভিস এ ভাড়া ৯০ টাকা, লোকাল সার্ভিসবাসগুলো রির্জাভ সার্ভিস ব্যানার দিয়ে চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ থেকে জলদী পর্যন্ত ভাড়া ১০০–১৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে।
সুপার সার্ভিসের যাত্রী কপিল উদ্দীন বলেন, বাস কাউন্টার গুলোতে ঈদের অতিরিক্ত যাত্রীর সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালিকের নিয়োগপ্রাপ্ত লাইনম্যানগণ সকল যাত্রীদের জন্য ভাড়া ১০৫ টাকা করে টিকেট বিক্রি করছে । গুনাগরী এলাকার স্পেসাল সর্ভিসের যাত্রী মোহাম্মদ জসিম জানান, ২৩ জুন বিকালে বাস টার্মিনাল ও নতুন ব্রিজ এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে অতিরিক্ত ৪৫ টাকা সহ মোট ৯০ টাকা ভাড়া দিয়ে টিকেট নিতে হয়েছে। নারী ও শিশুরা সব চেয়ে বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসনের তদারকি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
যাত্রীরা আরো জানান, লোকাল সার্ভিস বাসগুলো রির্জাভ সার্ভিস ব্যানার লাগিয়ে নতুন ব্রিজ থেকে বাঁশখালীর অভিমূখি যাত্রা করলেই যাত্রীদের ১০০–১৫০ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে শ্রমিকরা। জনপ্রতিনিধিরা জানান, বাঁশখালী আনোয়ারা চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী বাসগুলো ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। পথেমধ্যে বাসগুলো বিকল হয়ে পড়ে। দুঘটনাও ঘটে থাকে। চট্টগ্রাম আনোয়ারা–বাঁশখালী যানবাহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, টিকেট কাউন্টারে কি হয়েছে তা আমি দেখবো। ভাড়া বেশি নেওয়া হবে না।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী বলেন, ঈদ মৌসুমে অতিরিক্ত ভাড়া না নেয়ার সরকারি নির্দেশ রয়েছে। নির্দেশের বাইরে কিছু করলে তা আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: দৈনিক পূর্বকোণ!
0 মন্তব্যসমূহ