বিএন ডেস্কঃ
বাঁশখালীতে যখন তখন বুনো হাতির আক্রমণে প্রাণ হানি ঘটছে। গত
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুকুরিয়ার পূর্ব নাটমুড়া ও নতুনপাড়ায় বন্য হাতির
আক্রমণে চারটি মাটির ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোলায় থাকা ৭০ মণ ধান খেয়ে
ফেলেছে হাতি এমন অভিযোগ ও এসেছে। এসময় আশেপাশে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের
ছুটাছুটি শুরু হয়। এমন ঘটনা এখন প্রায় ঘটছে বাঁশখালীতে। কিন্তু ‘সতর্ক’ করে
দেয়া আর ‘আর্থিক সহযোগিতা’ ছাড়া প্রতিকারের কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।
এটি এখন পাহাড়ি সমতলের মানুষের কাছে আতঙ্কে রুপ নিয়েছে।
বন্য হাতির পাল নতুন পাড়ার তৌহিদুল ইসলাম, মো. জসিম এবং পূর্ব
নাটমুড়ার নুরুল হক ও নুর মোহাম্মদের চারটি বসতবাড়িতে আক্রমণ করে। এতে কয়েক
লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাহেল তস্তরি স্থানীয়
দের সতর্ক থাকার আহবান জানান ও আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানা
গেছে। তবে এর কোন স্থায়ী সমাধানের ব্যপারে কারো মতামত পাওয়া যায়নি আজ অবধি।
বন্য হাতির আক্রমণের ব্যপারটা নিয়ে এখন ভাবার সময় এসেছে নীতিনির্ধারক
দের। বছরে প্রায় ২০-৩০ টি হাতির আক্রমণের ঘটনা ঘটে। গড়ে ৫-৭ জনের প্রাণহানি
ঘটে। এদের বেশিরভাগ আবার পাহাড়ী এলাকা বা পার্শবর্তী সমতলের গরীব কৃষক।
পাহাড় উজাড় হয়ে যাওয়া এবং হাতির খাদ্য সংকটের কারণে এমনটি হচ্ছে বলে অনেকের
ধারণা। বাঁশখালী-সাতকানিয়ার বিশাল এলাকা জুড়ে চুনতি অভয়ারণ্য আবার সমগ্র
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম হাতির প্রজনন ও বিচরণ ভূমি। এখন প্রশ্ন হয়ে
দাঁড়িয়েছে হাতির জন্যে অভয়ারণ্য নিশ্চিত করণ নাকি মানুষের জন্যে নিরাপত্তা
বলয় তৈরি জরুরি? কত মানুষের প্রাণ গেলে কর্তৃপক্ষীয় দৃষ্টি এই সমস্যায়
আলোকপাত করবে?
0 মন্তব্যসমূহ