বিএন ডেস্কঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় কলেজছাত্র রবিউল ইসলাম ওরফে রাজন হত্যা
মামলায় তিন পরিবারের ১০ জনসহ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁদের
মধ্যে তিনজন পলাতক।
আজ মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই রায় দেন।
দণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে বাবা-ছেলে ও দাদা-নাতি রয়েছেন। টাঙ্গাইলের
বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মো. মুলতান উদ্দিন জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা
হলেনÑভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া গ্রামের আবু বকর
সিদ্দিক ওরফে টুনু মিয়া, তাঁর ছেলে আবদুল মজিদ, নুরুল ইসলাম, হানু এবং নাতি
সাইদুল। একই গ্রামের বিরু প্রামাণিকের ছেলে আবদুল মজিদ প্রামাণিক, তাঁর
ছেলে মজনু প্রামাণিক ও ভাই সিরাজ প্রামাণিক। নিজাম প্রামাণিক ও তাঁর ছেলে
মোমিন প্রামাণিক। হাসু প্রামাণিকের ছেলে বাবু প্রামাণিক এবং জাবেদ আলীর
ছেলে ওয়াহাব আলী। দণ্ডিত ব্যক্তিদের সবার বাড়ি ভালকুটিয়া গ্রামে।
দণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে বিরু প্রামাণিকের ছেলে আবদুল মজিদ প্রামাণিক,
তাঁর ছেলে মজনু প্রামাণিক, আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে নুরুল ইসলাম ও আবদুল
মজিদ পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে হাজির বাকি আটজনকে জেলহাজতে
পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল
সকালে ভালকুটিয়া গ্রামের কৃষক মো. লাল মিয়া সরকারের বাড়িতে দণ্ডিত
ব্যক্তিরা হামলা চালান। এ সময় লাল মিয়া সরকারের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে রাজন
(২৪) মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত রাজন ধনবাড়ী কলেজ থেকে
স্নাতক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মৃত্যুর কিছুদিন পর তাঁর পরীক্ষার ফল বের হয়।
তিনি স্নাতক পাস করেন।
ঘটনার দিনেই রাজনের বাবা মো. লাল মিয়া সরকার বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় ১৮
জনের নামে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ভূঞাপুর থানার পরিদর্শক আবু ওবায়েদ তিন
মাস পর দণ্ডিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত রাজনের বাবা লাল মিয়া ও মা শাহিদা বেগম
সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। খুনিদের সঠিক বিচার
হয়েছে। এখন রায় যেন কার্যকর হয়।’
0 মন্তব্যসমূহ