মাতাল অবস্থায় বাঁশখালীর প্রধান সড়কে পথচারীসহ সাংবাদিকের সাথে দূর্ব্যবহার

মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনঃ
মদ সেবন করে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ৩০মিনিটে বাঁশখালীর প্রধান সড়কে সাধারণ পথচারীসহ সাংবাদিকের সাথে দূর্ব্যবহার করেছে ৪-৫জন হিন্দু যুবক। জানা যায়, সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় নবমী দূর্গাপূজা ছিল গতকাল শুক্রবার।ঐদিন রাত ১২টা ৩০মিনিটের সময় সাংবাদিক মিজান তাহের মোটর সাইকেল চালিয়ে বাণীগ্রাম থেকে পৌরসভায় যাওয়ার পথে মদ সেবনকারী যুবকরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে।মিজান বিন তাহের দৈনিক সাঙ্গু ও আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার বাঁশখালী প্রতিনিধি।মিজান বিন তাহের নিজ মোটর সাইকেল চালিয়ে সাধনপুর বাণীগ্রাম বাজার থেকে উপজেলা সদর যাওয়ার পথে হিন্দু ধর্মালম্বী ৪-৫জন যুবক বাণীগ্রাম-সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে রাস্তার বাঁকে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। তিনি মোটর সাইকেলে হরণ দেওয়ার পরেও তারা না সরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। মিজান বিন তাহের নিউজবিবিসি২৪.কমকে বলেন,"আমি যখন তাঁদেরকে বলি ভাই হরণ দিচ্ছি শুনতেছেন না, প্রতি উত্তরে বলে ওঠল কি হয়েছে বলে আমার মোটর সাইকেলটি রাস্তা থেকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।আমি যেন কোথাও থেকে ভেসে এসেছি,দেশটা যেন মগের মুল্লুক।আবার যখন তাদের মুখ থেকে মদের প্রচন্ড গন্ধ আমার নাকে আসে তখন সাথে সাথে বাড়াবাড়ি না করে প্রায় আধা ঘন্টা পর চলে আসি।" তিনি আরো বলেন,"আজ সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় নবমী দূর্গাপূজা।এভাবে যদি প্রকাশ্যে সাধারণ জনগণের সাথে দূর্ব্যবহার করা হয় কে মানবে বলুন।কোন দেশে বসবাস করছি আমরা। আজকের এই দিনে পূজাটা যদি না হত তখন বুঝতাম কি করতে পারি।" অপরদিকে মদ সেবন করে জনসাধারণের সাথে দূর্ব্যবহার করার অভিযোগে বাঁশখালী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকেশ দাশ গুপ্তকে জলদি মহাজন ঘাটা এলাকায় গণধোলাই দিয়েছে জনতা।বর্তমানে রাকেশ দাশ গুপ্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। বাঁশখালীর প্রধান সড়কের পথচারী পারভেজ খান নিউজবিবিসি২৪.কমকে বলেন,"ওই হিন্দু যুবকরা প্রকাশ্যে মদ সেবন করে পথচারীদের সাথে নোংরা আচরণ করে ধর্মকে কলংকিত করছে।যেখানে সেখানে সমাজের পরিবেশ নষ্ট করছে।তাদের শনাক্ত করে প্রশাসনের কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।" এদিকে সচেতন মহল এব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।তারা আশঙ্কা করেছেন যদি এভাবে চলতে থাকে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাছাড়া এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাও সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা প্রশাসনকে এব্যাপারে প্রশাসনের জোরালে পদক্ষেপ গ্রহণের আশা করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ