বাঁশখালী নিউজ
মানুষ মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য।সেই মহা চিরন্তন বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে সমাজের ধর্নাঢ্য ব্যক্তিরা মায়ানমার থেকে সে দেশের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।একদিকে মায়ানমারের ওপারে সে দেশের বাহিনীর বর্বরতা,অ পরদিক বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও গণমান্য বক্তিবর্গের মানবতা।একের পর এক ত্রাণের বহর নিয়ে টেকনাফ সীমান্তে ছুটে চলেছেন বাংলাদেশের সাধালণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৫শে সেপ্টম্বর সোমবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চিত্রশিল্পী লায়ন মোঃ আমিরুল হক এমরুল কায়েস নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় বারের মত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।শুধু তাই নয় তিনি এর আগে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ করেছেন।তৎমধ্যে চাল,ডাল,মুরি,চিনি,সাবান,খাবার স্যালাইন,শিশুদের জন্য গুঁড়ো দুধ ইত্যাদি।ফের গতকাল রোহিঙ্গাদের জন্য কাপড় নিয়ে ছুটে গেছেন টেকনাফ সীমান্তে।নিজেকে এলাকার সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ড সম্পৃক্ত
রেখেছেন এই তরুণ সমাজ সেবক।বাঁশখালী
উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি পদে আসীন হয়ে এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রেখে চলেছেন তিনি।তার নিজ এলাকা ছনুয়ায় নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বহু
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান।তাছাড়া চট্টগ্রাম শহরে রয়েছে তার মালিকানাধীন ৭টি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।তৎমধ্যে শহরের নামকরা প্রতিষ্ঠান অরবিট ক্রেডিট স্কুল
এন্ড কলেজ,শরীফা আর্ট স্কুল,হ্যারিটেজ স্কুল এন্ড কলেজ,শরীফা সুন্দর হাতের
লেখা শেখার স্কুল অন্যতম।কথা হলে বাঁশখালী নিউজ কে লায়ন আমিরুল হক
এমরুল কায়েস বলেন,”নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য আমার মন কাঁদে।তাই
দ্বিতীয়বারের মত ছুটে এলাম তাদের খোঁজ খবর নিতে।সঙ্গে নিয়ে এসেছি কিছু
কাপড়-চোপড়।”বাঁশখালীর বহু গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়নের রূপকার এই তরুণ
রাজনীতিবিদ।ছনুয়া ডিসি সড়ক,অলি মিয়া সিকদার সড়ক,মৌলভী সৈয়দ নজরুল ইসলাম
সড়কের উন্নয়নে রয়েছে অসামান্য অবদান।জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম.এ সালামের
সাথে তার দৃঢ সম্পর্ক থাকার সুবাদে জেলা পরিষদের মাধ্যমে তিনি বাঁশখালীর
আনা কানাচে পৌঁছে দিয়েছেন উন্নয়নের আলো।ইতিমধ্যে এই সরকারি সংস্থাটির
মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড আদায় করেছেন তিনি।এদিকে জীবনের বাকি
সময়টুকু যাতে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে সবার দোয়া চেয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ