দেশি-বিদেশি পর্যটকে ঘেরা বাঁশখালীর তারেক পার্ক

মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন,প্যানেল রিপোর্টার,
বাঁশখালী নিউজ

বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে বাঁশখালীর নাপোড়া গ্রামে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠেছে নাপোড়া অর্গানিক ইকো ভিলেজ।এটি তারেক পার্ক নামে সবগমধিক পরিচিত।দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকা ও মাষ্টার নজির আহমদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাষ্টার নজির আহমদের কনিষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান এটি প্রতিষ্ঠা করেন।স্থাপিত হওয়ার অল্প সময়ে দেশি বিদেশী পর্যটকের নজর কাড়ছে এই পার্কটি।পার্কটিতে বেড়াতে কোনো টাকা-পয়সা খরচ হয় না।বিনা টিকিটের পার্ক; বাংলাদেশে ব্যতিক্রমধর্মী এই পার্ক।যে পার্কে বিনা খরচে বিনোদন লাভ করা যায়।আছে ময়ুর-ময়ুরি,উটপাখি ও বাজপাখিসহ নানাজাতের পাখি।নেসর্গিক প্রাকৃত সৌন্দর্যমন্ডিত পরিবেশে পর্যটকদের নানামুখী সহযোগিতায় আছেন ছয়জন বেতনধারী কর্মকর্তা-কর্মচারী।চট্টগ্রামের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা বাঁশখালীর জঙ্গল নাপোড়া গ্রামের ফরেস্ট অফিসের পাশে গেলেই দেখা মিলবে পর্যটকদের আনাগোনা।পাহাড়ী পথ বেয়ে ঢুকতেই বাহারি রঙের কারুকাজ আর মনোরম নকশায় তৈরী সুনিপুণ কারিগরদের দৃশ্যপটে সাজানো সব স্থাপনা মুহুর্তেই আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয়।মাটি,কাঠ,ছন,বেত,রশি ও পরিত্যক্ত গাড়ির টায়ার দিয়ে তৈরী করা হয়েছে বিশ্রাম ঘর,রেস্টুরেন্ট,রান্না ঘর,দোলনা ও শৌচাগারসহ নানা রকম স্থাপনা।বর্ষা মৌসুমে পর্যটকদের চলাচলে সুবিধার জন্য চার চাকার দুটি কট বাইকও রাখা হয়েছে।নাপোড়া অর্গানিক ভিলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তারেক রহমান বাঁশখালী নিউজ কে বলেন,”প্রকৃতির মাঝে সাজানো গোছানো মনোরম পরিবেশে এই পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।ধীরে ধীরে আরো করে গড়ে তোলা হবে।” পার্কটির ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন আহমেদ বাঁশখালী নিউজ কে বলেন,”২০১২সাল থেকে একটু একটু করে গড়ে তোলা হয়েছে পার্কটি।এ পর্যন্ত পার্কটিতে প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।বর্তমানে পার্কের জায়গা ৪১৫ শতক।এখানে আরো অনেক স্থাপনা নির্মাণ এবং চিড়িয়াখানা স্থাপন করা হবে।ইতোমধ্যে চারটি হাতির স্ট্যাচু তৈরীর কাজ সমাপ্ত হয়েছে।সৃষ্টি করা হবে কৃত্রিম লেক।” তিনি আরো বলেন,”বর্তমানে পার্কে ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারি আছেন।তাদের পিছনে প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে ৬৮ হাজার টাকা।এছাড়া আমাদের পার্কে দৈনিক মজুরির শ্রমিকও রয়েছে।এখানে এখন ১৩টি ময়ুর-ময়ুরি,দুইটি উটপাখি ও একটি বাজপাখি রয়েছে।পার্ক অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশে অসংখ্য বন্যপ্রাণি অনায়াসে ঘোরাফেরা করে।” বনবিভাগের জলদি রেঞ্জ কর্মকর্তা নুরুল আলম সিদ্দিকী বলেন,”নাপোড়া অর্গানিক ইকো ভিলেজ প্রকৃতির মাঝে সাজানো গোছানো মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে।এই পর্যটন কেন্দ্র যেভাবে আনন্দ দিচ্ছে পর্যটকদের।কর্তৃপক্ষ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।প্রতিদিন পর্যটকরা এখানে এসে আনন্দ পাচ্ছেন।” পটিয়া থেকে আসা কামাল হোসেন নামের এক পর্যটক এ প্রতিবেদককে বলেন,”পাড়া পড়শি লোকমুখে শুনেছি বাঁশখালীতে একটি নতুন পার্ক স্থাপন করা হয়েছে এবং তারা এটির সৌন্দর্য বর্ণণা করল।শুনে আমিও ছুটে আসলাম।পাহাড়ি জায়গা অবলোকন করে সত্যিই খব ভালো লেগেছে এই পার্কে।বাঁশখালীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে এই পার্কে পর্যটক আরো বাড়বে।”



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ