বিএন ডেস্কঃ
বাঁশখালী উপজেলার স্বনামধন্য স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম এক ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। দুর্ভাগ্য যে কতগুলো মহৎ
পরিকল্পনার আওতধীন এ বিদ্যালয় পাঠদান শুরু করেছিল ১৯৪২ সালে। তার বর্তমান
হালচিত্র অত্যন্ত অনিয়ম ও ব্যাপক দুর্নীতিতে ভরা। এ জন্য দায়ী তো স্কুলের
প্রতিষ্ঠাতা নয়। দায়ী হয় এই সময়কার স্কুল পরিচালনা অবৈধ কমিটি ও প্রধান
শিক্ষক খোকন চক্রবর্তী। কিন্তু বর্তমানে স্কুল পরিচালনার পূর্ণাঙ্গ কমিটি
থাকা তো দুরের কথা কতিপয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হাতে স্কুল পরিচালনার
নামমাত্র দায়িত্ব থাকাতে তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সংস্কৃতি কর্মকান্ডে
ব্যক্তিস্বার্থ, শিক্ষা বাণিজ্য তথা বিদ্যালয়ের আর্থিক অনুদান আত্মসাৎ,
কিংবা শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশে সংস্কৃতিবান্ধব যে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের
সপক্ষে সরকারের শিক্ষানীতি এবং বিদ্যালয় পরিচালনার সুষ্ঠুনীতির
তোয়াক্কা না করে অভিভাবকের ভোটাবিহীন নিজেদের খেয়াল খুশিমত কমিটি গঠন করে
বিদ্যালয়ের প্রাচীন ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী
ও যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী অপশক্তি জামায়েত-শিবির ও বিএনপি সমর্থিত
কালোবাজারী সমর্থিত লোক দিয়ে বর্তমানে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অপকর্মকান্ড
পরিচালিত হচ্ছে। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা একজন বরেণ্য প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক ও
সাবেক সাংসদ অধ্যাপক আসহাব উদ্দীন আহমদ যার নামে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে
পুরাতন ভবন থেকে একটি গণ পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগকে বানচাল করে বর্তমানের
তথাকথিত অবৈধ কমিটি পাঠাগার স্থানটি কাঠের ব্যবসার জন্য অনুমোদন দিয়ে
মদ-গাঁজার আস্তানা বানায়। শুধু তাই নয় স্কুলের আরো অবকাঠামো উন্নয়নের
কার্যক্রম চললেও তাতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বিদ্যালয়ের প্রগতিশীল উন্নতির
আন্তরায হিসেবে আজ চিহ্নিত। যার কারণে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশও কলুষিত
হচ্ছে। ক্রমে পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপক
দুর্নীতি অনিয়মকে বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের িিনকট আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে না
দিতেই “সাধনপুর ফুটন্ত গোলাপ” নামক সামিিজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও
আত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র মো. জসীমুল হ চৌধুরী সন্ত্রাসী ও
চাঁদাবাজি অপবাদের শিকার হয়। শুধু সন্ত্রাসী অপবাদ নয় তাকে মিথ্যা মামলা
সাজিয়ে হেনস্থা করা, আর দাগী আসামী বানানো প্রয়াস মাত্র। বস্তুত সে একজন
বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক, পুস্তক প্রকাশক,
গণমাধ্যমকর্র্মী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উদ্যোক্তা। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে
জেল খাটায়ে পরস্ত করে বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতিসহ বিভিন্ন অনুদান প্রকল্প,
স্বার্থপর-নোংরা রাজনীতির পক্ষে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী এক অপশক্তি
নিজেদের স্বার্থের জয় নিয়ে মত্ত থাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি
জামায়েত-শিবির শিক্ষক (অভিযুক্ত) সাইফুর রহমানের অপতৎপরতা, পুরাতন ভবন দখল
করে এক নামধারী অভিভাবক সদস্য আবুল হাসেমের ব্যবসা বাণিজ্য, প্রাতিষ্ঠানিক
যোগ্যতাবিহীন প্রধান শিক্ষক খোকন চক্রবর্তীর নিয়োগ অবৈধ ও তার বিভিন্ন
অপকর্মকান্ড, প্রয়াত জনপ্রিয় সহকারি প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু,
স্কুলের পুরাতন ভবন ও মাঠে উম্মুক্ত জুয়াখেলা সহ মদপানের আসর এবং সার্বিক
অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষক নিয়োগে ও অভিভাবকের ভোটবিহীন বেআইনী
পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিচার
বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং প্রতিবাদকারী স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মো.
জসীমুল হক চৌধুরীর উপর পুর্ব শত্র“তার জের ধরে গত ২৯ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে
এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে দায়ের করা
ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলার (অভিযুক্ত) ১২ নং সাক্ষী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা
বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রেডিমিট সুবিধাভোগী অধ্যাপক শহিদুল আলম
চৌধুরী বুলবুল। অথচ এই শহিদুল আলম চৌধুরী বুলবুল গত ২৯ জানুয়ারী ঘটে যাওয়া
ঘটনার ১০ মাস আগে অনিয়ম ও দুর্নীতির পক্ষ নিয়ে প্রাক্তন ছাত্র জসীমুল হক
চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে সে কিনা গত ২৪ আগস্ট ২০১৭ ইংরেজী
তারিখে শিক্ষক নিয়োগের মিটিংকে গত ২৮ আগস্ট ২০১৭ ইংরেজী তারিখ দেখিয়ে
স্বাক্ষর নিতে আসা (অভিযুক্ত) প্রধান শিক্ষক খোকন চক্রবর্র্তী ও সহকারী
প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ৫ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্যসহ ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির
অভিযোগে অবৈধ পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য পদ থেকে আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ করেন
(অভিযুক্ত) অধ্যাপক শহিদুল আলম চৌধুরী বুলবুল। এই নিয়ে স্কুলে শিক্ষকদের
মধ্যে বিভিন্ন গ্র“পে চাঞ্চল্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। এতে যে কোন মুহূর্তে
ত্রিমূখি ঘটনা ঘটার আশাঙ্কা রয়েছে।
সূত্রঃ নিউজগার্ডেন
0 মন্তব্যসমূহ