মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, বিএন প্যানেল রিপোর্টারঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় সজ্জিত ঝাউবাগান দিন দিন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। একদিকে বঙ্গোপসাগরের প্রবল স্রোতের টান, অন্যদিকে ঝাউবাগানের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে ঝাউগাছের সংখ্যা। আগেকার দিনের মত বাঁশখালী উপকূলে সারি সারি ঝাউবাগানের দেখা মেলেনা। বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় ঝাউবাগান ও ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে নানা ভাবে "উপকূলীয় বনবিভাগ" কাজ করে যাচ্ছে। ফলে বিগত দিনে সৃজন করা ঝাউবাগান ও বাইন বাগান যে সব স্থানে রয়েছে, সেই সব স্থানের উপকূলীয় বেঁড়িবাধ অনেক মজবুত রয়েছে।
অন্যদিকে যেসব স্থানে ঝাউবাগান সহ অন্যান্য কোন গাছ নেই, সেই সব এলাকায় বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের স্রোতে বেঁড়িবাধ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পশ্চিম বাঁশখালীর লক্ষাধিক জনসাধারণ। বিশেষ করে বাঁশখালীর ছনুয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, সরল ও গন্ডামারা এলাকায় উপকূলীয় বনায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। একদিকে বনায়নের জন্য যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ না থাকা, অপরদিকে যথাযথ তদারকির অভাবে ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতার অভাবে বনায়নকৃত এলাকায় গাছ সংরক্ষণ না হওয়া হিতবিপরীত হয়ে পড়েছে। বিগত দিনে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকার সজ্জিত বাগান বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি উপকূলীয় এলাকায় নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নতুবা লবণ মাঠ কিংবা চিংড়ি ঘের করার জন্য অনেক সময় উপকূলীয় বাগান নিধনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
ছনুয়া খুদুকখালীর বাসিন্দা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন ছানুবী বাঁশখালী নিউজকে বলেন, "দূর্বত্তরা চরের গাছগুলো কেটে ফেলে। এলাকার প্রভাবশালীদের হাত থাকাতে আমরা এব্যাপারে মুখ খুলতে পারিনা"। বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারাদেশে বনায়নের গুরুত্বারোপ করলেও সেক্ষেত্রে বাঁশখালী উপকূলে যথাযথ ভাবে বনায়নের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যায় না বলে বনবিভাগের সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন।
বনবিভাগের ছনুয়া রেঞ্জের বিট অফিসার আবুল হোসেন বাঁশখালী নিউজকে বলেন, "বনায়নের জন্য আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ পাই না। ফলে প্রত্যেক ইউনিয়নের চরে গাছ রোপন করতে পারিনা।" এদিকে বাঁশখালী উপকূলে বনায়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া পূর্বক বেশি করে গাছ রোপনের জন্য বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
0 মন্তব্যসমূহ