স্টাফ রিপোর্টার, বাঁশখালী নিউজ
বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগরের তীর বেষ্টিত একটি প্রান্তিক উপকুলীয় জনপদ। পুরো বাংলাদেশে নকল স্বর্ণ ব্যবসার জন্য এই ইউনিয়নের একটি আলাদা পরিচিতি আছে।
সাম্প্রতিককালে নকল স্বর্ণ ব্যবসার সাথে যোগ হয়েছে মরণব্যাধি ইয়াবা পাচারের ব্যবসাও। বিগত ২০ বছর ধরে নকল স্বর্ণ ব্যবসার মাধ্যমে এখানে এসে প্রতারিত হয়েছেন হাজারো মানুষ। সহায় সম্বল হারিয়ে পথের ভিখারী হয়েছেন অনেক লোক। ছনুয়া ইউনিয়নের দুটি গ্রামে পরিচালিত হয় এই নকল স্বর্ণের ব্যবসা।
গত কয়েকদিন ধরে নকল স্বর্ণ ব্যবসার সাথে জড়িত ছনুয়া ইউনিয়নের প্রায় ২০ প্রতারক সদস্যের ছবি সম্বলিত একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এদের ছবিগুলো মূহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া এই ছবির ব্যক্তিদের পরিচয় এবং পেশা খোঁজ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর তথ্য। তারা এলাকায় ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত । প্রতারক চক্রের প্রত্যেকের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র। এই নকল স্বর্ণ ব্যবসার সাথে এই ইউনিয়নের আরো শতাধিক ব্যক্তি জড়িত। এখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও নকল স্বর্ণ ব্যবসার প্রতারনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানায়। প্রতারক চক্র যে টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়, তার একটি অংশ এখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পকেটে চলে যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে , ছনুয়া ইউনিয়নের দুটি গ্রামে এই নকল স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালিত হয়। এর মূল ঘাটি হচ্ছে ইউনিয়নটির খুদুকখালী গ্রামের আবদুল্লাহর দোকান। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ৩নং ওয়ার্ডের হাজি আলিমিয়াপাড়া। আবদুল্লাহর দোকান কেন্দ্রিক নকল স্বর্ণ ব্যবসার মূল গডফাদার হচ্ছে নুরুল কাদের। যিনি মূলত এই নকল স্বর্ণ ব্যবসার প্রবর্তক। ছনুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে তার স্থায়ী নিবাস হলেও নকল স্বর্ণ ব্যবসার স্বার্থে তিনি ৭নং ওয়ার্ডের আবদুল্লাহর দোকান এলাকায় বসতবাড়ি করে নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতারণার ব্যবসা। সূত্রমতে স্থানীয় প্রভাবশালীদেরকে হাতে রেখে নুরুল নকল এই স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রায় ২০ বছর ধরে।
সূত্রমতে, নকল স্বর্ণের ডেকসি বিক্রির প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রথমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার অবস্থান বুঝে তারা একটি পেশা বেচে নেয়। এরপর তারা অবস্থানরত এলাকায় সেজে যায় খুব ভালো মানুষ। তারপর এলাকায় ছড়িয়ে দেয় স্বর্ণের ডেকসির কাহিনী। বলা হয়, আমাদের এলাকায় এক ধার্মিক মহিলা আছে যিনি স্বপ্নের মাধ্যমে একটি স্বর্ণের ডেকসি পেয়েছেন। কিন্তু এগুলো ঐ মহিলার এলাকার লোকেরা জানেনা। জানলে তারা ডেকসিটি হাতিয়ে নেবে, তাই ভদ্র মহিলা উচিৎ মূল্য পেলে গোপনে স্বর্ণের ডেকসিটি বিক্রি করে দেবেন। প্রতারক চক্রের সদস্যরা এমন ভাবে বুঝায় যে, যেকোনো সহজ সরল লোক খুব অল্প সময়ে তাঁদের খপ্পরে পড়ে যায়। প্রতারক চক্রের সদস্যের কথায় কেউ যদি বিশ্বাস স্থাপন করে , তাহলে তাঁকে আরও বেশি বিশ্বাস জমানোর জন্য বিভিন্ন উপদেশ দেয়া হয়, যেমন মাজারে গরু জবাই করে খাওয়ানো, এতিমকে খ্ওায়ানো, কুরআন বিতরণ, ইত্যাদি। তাঁকে আরও বলা হয়, ভুলেও এখবর কাউকে প্রকাশ করা যাবেনা। প্রকাশ করলে ধার্মিক মহিলা স্বর্ণ বিক্রি করবেনা। এভাবে একসময় প্রতারক চক্রের অন্ধ বিশ্বাসে পড়ে যায় যে কোন ব্যক্তি। এরপর সবার অজান্তে টাকা পয়সা নিয়ে স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণ কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয় ব্যবসায়ী ও বিত্তশালী মানুষকে। পরে এলাকায় নিয়ে সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে এলাকাছাড়া করে নকল স্বর্ণ বিক্রির প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
অন্যদিকে, এই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাজি আলিমিয়া পাড়া হচ্ছে নকল স্বর্ণ ব্যবসার দ্বিতীয় ঘাটি। এই এলাকার স্থানীয় কালাইয়ার পুরো পরিবার এই ব্যবসার সাথে জড়িত। সূত্রমতে, কালাইয়ার ৮ পুত্র নকল স্বর্ণ ব্যবসার মূল কারিগর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বারো জনের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, তম্মধ্যে কালাইয়ার ৮ পুত্রের ছবি রয়েছে। যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করেন। গত মাস দেড়েক আগে, কালাইয়ার পুত্র মানিক ওরফে সোনা মানিক আনোয়ারা উপজেলার বটতলী এলাকার হেলাল উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীকে নকল স্বর্ণ ব্যবসার ফাঁদে ফেলে প্রায় ৫ লাখ হাতিয়ে নেয়।
সূত্রমতে, নকল স্বর্ণের ব্যবসার সাথে জড়িতরা হচ্ছে, .আবদুর রশীদ (১৮) কালাইয়ার নাতি, নুরুল আলম(৪৩), মোস্তাক আহমদ(৪৮), আবদু শুক্কুর(২২), আনিছ(৩৪) , বাচ্চু(২৮), মানিক(৪২),আবদুল গফুর (৩৮) কালাইয়ার ভাইপুত, আজিম উদ্দিন(৩৩) , কবির আহমদ(৩৬), মোক্তার আহমদ(৩৯), লিয়াকত আলী(৩৫), নুরুল কাদের(৫২) তবে এদের মধ্যে নুরুল কাদের নকল স্বর্ণ ব্যবসার মূল হোতা।
বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের স্থানীয় জন সাধারণ এবং প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নকল স্বর্ণ ব্যবসা একটি বড় ধরণের প্রতারণামূলক ব্যবসা। এমনভাবে প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় , প্রতারিত ব্যক্তি পরবর্তীতে আইনী আশ্রয় নেয়ার সুযোগও পাননা। ছনুয়া ইউনিয়নের নকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বিভিন্ন ফাঁদ পেতে প্রতারক চক্র তাদের মিশন সফল করে। যারা এই নকল স্বর্ণ প্রতারকদের খপ্পরে পড়েন, তারা জীবনে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগই পাননা।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে প্রতারনার শিকার হেলাল উদ্দিন জানান, মানিক মোহছেন আউলিয়ার ভক্ত সেজে বটতলী এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিশ্বাস জমানোর জন্য হাতে নাইলেন , চোখে সুরমা ও মাথায় টুপি পরে চলাফেরা করতো। আর এ সুযোগে আমাকে টার্গেট করে স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের ডেকসি বিক্রির কথা বলে এলাকায় নিয়ে আমার কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ আশি হাজার টাকা, ৩টি মোবাইলসেট হাতিয়ে নেয়। এবং ঘরের ভিতরে প্রচন্ড মারধর করে অস্ত্র দিয়ে ছবি তোলে আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই প্রতারক চক্র আমাকে পথের ভিখারী বানিয়ে ছেড়েছে।
অন্যদিকে সাতকানিয়া উপজেলার গারাঙ্গিয়া এলাকার আবুল বশর ও মনসুরের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক নুরুল কাদের। বর্তমানে তারা সহায় সম্বল হারিয়ে কোনোমতে জীবন যাপন করছেন । এভাবে শত শত মানুষকে এই নকল স্বর্ণ ব্যবসার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করে দিয়েছে প্রতারক চক্র।
যোগাযোগ করা হলে বাঁশখারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ছনুয়াতে একটি নকল স্বর্ণ বিক্রির প্রতারক গ্রুপ রয়েছে। যারা স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের ডেকসির কথা বলে মানুষের কাছ থেকে সহায় সম্বল ছিনিয়ে নেয়। তবে, ওসি প্রতারনার শিকার ব্যক্তিদেরকেও দায়ী করে বলেন, তাঁদেরও দোষ আছে , কারণ অন্ধ বিশ্বাসে পড়ে একটি প্রান্তিক জনপদে এত টাকা নিয়ে যাবে কেনো। তারা মূলত সেখানে লোভে পড়ে যায় বিশাল কিছু পাওয়ার আশায় যোগ করেন ওসি আলমগীর হোসেন।
বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগরের তীর বেষ্টিত একটি প্রান্তিক উপকুলীয় জনপদ। পুরো বাংলাদেশে নকল স্বর্ণ ব্যবসার জন্য এই ইউনিয়নের একটি আলাদা পরিচিতি আছে।
সাম্প্রতিককালে নকল স্বর্ণ ব্যবসার সাথে যোগ হয়েছে মরণব্যাধি ইয়াবা পাচারের ব্যবসাও। বিগত ২০ বছর ধরে নকল স্বর্ণ ব্যবসার মাধ্যমে এখানে এসে প্রতারিত হয়েছেন হাজারো মানুষ। সহায় সম্বল হারিয়ে পথের ভিখারী হয়েছেন অনেক লোক। ছনুয়া ইউনিয়নের দুটি গ্রামে পরিচালিত হয় এই নকল স্বর্ণের ব্যবসা।
গত কয়েকদিন ধরে নকল স্বর্ণ ব্যবসার সাথে জড়িত ছনুয়া ইউনিয়নের প্রায় ২০ প্রতারক সদস্যের ছবি সম্বলিত একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এদের ছবিগুলো মূহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া এই ছবির ব্যক্তিদের পরিচয় এবং পেশা খোঁজ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর তথ্য। তারা এলাকায় ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত । প্রতারক চক্রের প্রত্যেকের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র। এই নকল স্বর্ণ ব্যবসার সাথে এই ইউনিয়নের আরো শতাধিক ব্যক্তি জড়িত। এখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও নকল স্বর্ণ ব্যবসার প্রতারনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত বলে স্থানীয়রা জানায়। প্রতারক চক্র যে টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়, তার একটি অংশ এখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পকেটে চলে যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে , ছনুয়া ইউনিয়নের দুটি গ্রামে এই নকল স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালিত হয়। এর মূল ঘাটি হচ্ছে ইউনিয়নটির খুদুকখালী গ্রামের আবদুল্লাহর দোকান। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ৩নং ওয়ার্ডের হাজি আলিমিয়াপাড়া। আবদুল্লাহর দোকান কেন্দ্রিক নকল স্বর্ণ ব্যবসার মূল গডফাদার হচ্ছে নুরুল কাদের। যিনি মূলত এই নকল স্বর্ণ ব্যবসার প্রবর্তক। ছনুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে তার স্থায়ী নিবাস হলেও নকল স্বর্ণ ব্যবসার স্বার্থে তিনি ৭নং ওয়ার্ডের আবদুল্লাহর দোকান এলাকায় বসতবাড়ি করে নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতারণার ব্যবসা। সূত্রমতে স্থানীয় প্রভাবশালীদেরকে হাতে রেখে নুরুল নকল এই স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রায় ২০ বছর ধরে।
সূত্রমতে, নকল স্বর্ণের ডেকসি বিক্রির প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রথমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার অবস্থান বুঝে তারা একটি পেশা বেচে নেয়। এরপর তারা অবস্থানরত এলাকায় সেজে যায় খুব ভালো মানুষ। তারপর এলাকায় ছড়িয়ে দেয় স্বর্ণের ডেকসির কাহিনী। বলা হয়, আমাদের এলাকায় এক ধার্মিক মহিলা আছে যিনি স্বপ্নের মাধ্যমে একটি স্বর্ণের ডেকসি পেয়েছেন। কিন্তু এগুলো ঐ মহিলার এলাকার লোকেরা জানেনা। জানলে তারা ডেকসিটি হাতিয়ে নেবে, তাই ভদ্র মহিলা উচিৎ মূল্য পেলে গোপনে স্বর্ণের ডেকসিটি বিক্রি করে দেবেন। প্রতারক চক্রের সদস্যরা এমন ভাবে বুঝায় যে, যেকোনো সহজ সরল লোক খুব অল্প সময়ে তাঁদের খপ্পরে পড়ে যায়। প্রতারক চক্রের সদস্যের কথায় কেউ যদি বিশ্বাস স্থাপন করে , তাহলে তাঁকে আরও বেশি বিশ্বাস জমানোর জন্য বিভিন্ন উপদেশ দেয়া হয়, যেমন মাজারে গরু জবাই করে খাওয়ানো, এতিমকে খ্ওায়ানো, কুরআন বিতরণ, ইত্যাদি। তাঁকে আরও বলা হয়, ভুলেও এখবর কাউকে প্রকাশ করা যাবেনা। প্রকাশ করলে ধার্মিক মহিলা স্বর্ণ বিক্রি করবেনা। এভাবে একসময় প্রতারক চক্রের অন্ধ বিশ্বাসে পড়ে যায় যে কোন ব্যক্তি। এরপর সবার অজান্তে টাকা পয়সা নিয়ে স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণ কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয় ব্যবসায়ী ও বিত্তশালী মানুষকে। পরে এলাকায় নিয়ে সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে এলাকাছাড়া করে নকল স্বর্ণ বিক্রির প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
অন্যদিকে, এই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাজি আলিমিয়া পাড়া হচ্ছে নকল স্বর্ণ ব্যবসার দ্বিতীয় ঘাটি। এই এলাকার স্থানীয় কালাইয়ার পুরো পরিবার এই ব্যবসার সাথে জড়িত। সূত্রমতে, কালাইয়ার ৮ পুত্র নকল স্বর্ণ ব্যবসার মূল কারিগর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বারো জনের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, তম্মধ্যে কালাইয়ার ৮ পুত্রের ছবি রয়েছে। যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করেন। গত মাস দেড়েক আগে, কালাইয়ার পুত্র মানিক ওরফে সোনা মানিক আনোয়ারা উপজেলার বটতলী এলাকার হেলাল উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীকে নকল স্বর্ণ ব্যবসার ফাঁদে ফেলে প্রায় ৫ লাখ হাতিয়ে নেয়।
সূত্রমতে, নকল স্বর্ণের ব্যবসার সাথে জড়িতরা হচ্ছে, .আবদুর রশীদ (১৮) কালাইয়ার নাতি, নুরুল আলম(৪৩), মোস্তাক আহমদ(৪৮), আবদু শুক্কুর(২২), আনিছ(৩৪) , বাচ্চু(২৮), মানিক(৪২),আবদুল গফুর (৩৮) কালাইয়ার ভাইপুত, আজিম উদ্দিন(৩৩) , কবির আহমদ(৩৬), মোক্তার আহমদ(৩৯), লিয়াকত আলী(৩৫), নুরুল কাদের(৫২) তবে এদের মধ্যে নুরুল কাদের নকল স্বর্ণ ব্যবসার মূল হোতা।
বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের স্থানীয় জন সাধারণ এবং প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নকল স্বর্ণ ব্যবসা একটি বড় ধরণের প্রতারণামূলক ব্যবসা। এমনভাবে প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় , প্রতারিত ব্যক্তি পরবর্তীতে আইনী আশ্রয় নেয়ার সুযোগও পাননা। ছনুয়া ইউনিয়নের নকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হওয়া বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বিভিন্ন ফাঁদ পেতে প্রতারক চক্র তাদের মিশন সফল করে। যারা এই নকল স্বর্ণ প্রতারকদের খপ্পরে পড়েন, তারা জীবনে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগই পাননা।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে প্রতারনার শিকার হেলাল উদ্দিন জানান, মানিক মোহছেন আউলিয়ার ভক্ত সেজে বটতলী এলাকায় বসবাস শুরু করে। সে বিশ্বাস জমানোর জন্য হাতে নাইলেন , চোখে সুরমা ও মাথায় টুপি পরে চলাফেরা করতো। আর এ সুযোগে আমাকে টার্গেট করে স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের ডেকসি বিক্রির কথা বলে এলাকায় নিয়ে আমার কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ আশি হাজার টাকা, ৩টি মোবাইলসেট হাতিয়ে নেয়। এবং ঘরের ভিতরে প্রচন্ড মারধর করে অস্ত্র দিয়ে ছবি তোলে আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে এই প্রতারক চক্র আমাকে পথের ভিখারী বানিয়ে ছেড়েছে।
অন্যদিকে সাতকানিয়া উপজেলার গারাঙ্গিয়া এলাকার আবুল বশর ও মনসুরের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক নুরুল কাদের। বর্তমানে তারা সহায় সম্বল হারিয়ে কোনোমতে জীবন যাপন করছেন । এভাবে শত শত মানুষকে এই নকল স্বর্ণ ব্যবসার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করে দিয়েছে প্রতারক চক্র।
যোগাযোগ করা হলে বাঁশখারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ছনুয়াতে একটি নকল স্বর্ণ বিক্রির প্রতারক গ্রুপ রয়েছে। যারা স্বপ্নে পাওয়া স্বর্ণের ডেকসির কথা বলে মানুষের কাছ থেকে সহায় সম্বল ছিনিয়ে নেয়। তবে, ওসি প্রতারনার শিকার ব্যক্তিদেরকেও দায়ী করে বলেন, তাঁদেরও দোষ আছে , কারণ অন্ধ বিশ্বাসে পড়ে একটি প্রান্তিক জনপদে এত টাকা নিয়ে যাবে কেনো। তারা মূলত সেখানে লোভে পড়ে যায় বিশাল কিছু পাওয়ার আশায় যোগ করেন ওসি আলমগীর হোসেন।
0 মন্তব্যসমূহ