বিএন ডেস্কঃ
ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির করা পরমাণু
চুক্তি থেকে যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে
দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে
এক ভাষণে তিনি এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে চুক্তি
হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ইরান চুক্তির শর্ত মানছে না। কাজেই তিনি এই
চুক্তি আর প্রত্যয়ন করবেন না।
এদিকে ট্রাম্পের এই ভাষণের আগেই গতকাল ইরান জানিয়ে দেয়, যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেলেই চুক্তির অবসান ঘটবে। তবে এসব কিছুর পরও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল আশা প্রকাশ করেন, চুক্তি টিকে যাবে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স জানায়, চুক্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে। রাশিয়া ট্রাম্পের সমালোচনা করে জানায়, চুক্তি অক্ষত থাকবে। তবে ট্রাম্পের এই কঠোর অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানায় সৌদি আরব।
ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে দেশটির সঙ্গে ঐতিহাসিক এই চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি। চুক্তির আওতায় ইরান নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত রাখার ব্যাপারে একমত হয়। এর বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়া হয়। তবে শুরু থেকে এই চুক্তি নিয়ে সমালোচনামুখর ছিলেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি ঘোষণা দিয়েছেলন, তিনি ক্ষমতায় গেলে তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামার করা এই চুক্তি বাতিল করবেন।
ইরান পরমাণু চুক্তি মেনে চলছে কি না, ৯০ দিন পরপর কংগ্রেসকে তা জানানো মার্কিন প্রশাসনের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পরমাণু চুক্তির সব শর্ত মেনে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারাও বলেছেন, ইরান এই চুক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছে। কিন্তু ট্রাম্প তা মনে করছেন না। অবশ্য এর আগে তিনি দুবার কংগ্রেসকে জানিয়েছেন, ইরান চুক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছে।
তবে গতকালের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার মার্কিন কংগ্রেসের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন এবং এই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে তিনি মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এর অর্থ হলো চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে কংগ্রেসকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এদিকে ট্রাম্পের এই ভাষণের আগেই গতকাল ইরান জানিয়ে দেয়, যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেলেই চুক্তির অবসান ঘটবে। তবে এসব কিছুর পরও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল আশা প্রকাশ করেন, চুক্তি টিকে যাবে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স জানায়, চুক্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে। রাশিয়া ট্রাম্পের সমালোচনা করে জানায়, চুক্তি অক্ষত থাকবে। তবে ট্রাম্পের এই কঠোর অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানায় সৌদি আরব।
ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে দেশটির সঙ্গে ঐতিহাসিক এই চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি। চুক্তির আওতায় ইরান নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত রাখার ব্যাপারে একমত হয়। এর বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়া হয়। তবে শুরু থেকে এই চুক্তি নিয়ে সমালোচনামুখর ছিলেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি ঘোষণা দিয়েছেলন, তিনি ক্ষমতায় গেলে তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামার করা এই চুক্তি বাতিল করবেন।
ইরান পরমাণু চুক্তি মেনে চলছে কি না, ৯০ দিন পরপর কংগ্রেসকে তা জানানো মার্কিন প্রশাসনের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পরমাণু চুক্তির সব শর্ত মেনে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারাও বলেছেন, ইরান এই চুক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছে। কিন্তু ট্রাম্প তা মনে করছেন না। অবশ্য এর আগে তিনি দুবার কংগ্রেসকে জানিয়েছেন, ইরান চুক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছে।
তবে গতকালের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার মার্কিন কংগ্রেসের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন এবং এই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে তিনি মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এর অর্থ হলো চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে কংগ্রেসকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ভাষণে ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদদ
দেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পরমাণু চুক্তি ইরানের জন্য সহনীয় ছিল।
ইরানকে ভারী-পানির সীমা অতিক্রম এবং আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের ভীতি
প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশটির পক্ষে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও
অভিযোগ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইরান চুক্তির শর্তগুলো না মানলেও
নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার সুবিধাগুলো ঠিকই ভোগ করছিল। ট্রাম্প আরও বলেন,
যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে যেকোনো সময় সরে যাওয়ার অধিকার রাখে।
ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার আলি লারিজানি
রাশিয়া সফর করছেন। সেখানে তিনি রুশ গণমাধ্যমে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরে
যাওয়া এই চুক্তির ইতির ইঙ্গিত দেবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই চুক্তি ভেস্তে
গেলে বিশ্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
0 মন্তব্যসমূহ