মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন:
বাঁশখালীর পুঁইছড়ি, ছনুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার লাখো
মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কাদেরিয়া সড়ক। ২০০৬সালে এলজিইডির অর্থায়নে
সড়কটির সংস্কার করা হয়। সংস্কারের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এই সড়কে উন্নয়নের
ছোঁয়া লাগেনি।ফলে বর্তমানে জরাজীর্ণ এ সড়কে চলাচল করা নাজুক হয়ে
পড়েছে।বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী,ব্যবসায়ী ও হাসপাতালে রোগীদের আনা নেওয়ায়
অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অপরদিকে খনাখন্দকে ভরা এই সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে
কোনো না কোনো দূর্ঘটনা।সম্প্রতি একটি
ট্যাম্পু উল্টে ১৭জন গুরুতর আহত হয়ে এখনো তারা হাসপাতালে চিকিৎসা
নিচ্ছেন। রোগী আনা নেওয়াতে বেশি কষ্ট পোহাতে হয়।কারণ,সড়কটি নিজেই
রোগী!বিকল্প সড়ক না থাকাতে চরম ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।সরেজমিন
পরিদর্শনে দেখা গেছে,পুঁইছড়ি-ছনুয়া টানা ব্রিজ থেকে শুরু করে ছনুয়া
মনুমিয়াজী বাজার পর্যন্ত বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন
যাতায়াত করে ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী।তৎমধ্যে ছনুয়া কাদেরিয়া
উচ্চ বিদ্যালয়,রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়,পুঁইছড়ি কাদেরিয়া সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়,ছনুয়া ছেলবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ছনুয়া মধুখালী
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মধুখালী আমজাদিয়া এজহারুল উলুম বালক-বালিকা
মাদরাসা,ছনুয়া মনুমিয়াজী বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ছনুয়া শুকলাল পাড়া
মোহাম্মদিয়া কাছেমুল উলুম মাদরাসা,ছোট ছনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে এই সড়কটি ব্যবহার করে।তাছাড়া সড়কটি রাজাখালী
আরবশাহ বাজার থেকে মনুমিয়াজী বাজার যাওয়ার একমাত্র রাস্তা।বিকল্প সড়ক না
থাকাতে ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা নেওয়ায় পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।
বিএনপি নেতা ও
ছনুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরীর চিংড়ি ঘেরের গর্ভেও
বিলীন হয়ে যাচ্ছে এই সড়ক।স্লুইচগেইট দিয়ে অতিরিক্ত পানি ঢুকিয়ে এসড়কে
দক্ষিণা বাতাসে প্রবল চিংড়ি ঘেরের পানির ঢেউ রাস্তায় এসে ধাক্কা লাগে।ফলে
রাস্তার মাটিও ঝরে যাচ্ছে।এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ!এলাকার লোকজন বাঁশখালী
নিউজের এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন,বাজারে যাওয়া অন্যান্য কাজে এসড়কে
যাতায়াতের সময় চিংড়ি ঘেরের পানির ঢেউয়ে তাদের গায়ে পানি ছিটকে পড়ে।দীর্ঘদিন
ধরে পথচারীরা এই অভিযোগ করে আসলেও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী নিরব
দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।এলাকার লোকজন চিংড়ি ঘেরটিও বন্ধ করার দাবি
জানিয়েছে।ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মানবিক শাখার ছাত্র
মোঃ রাশেদুল ইসলাম বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"আমরা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল
করি স্কুলে আসা যাওয়ায়।অনেক সময় আছাড় খেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়।আমি
কর্তৃপক্ষের কাছে এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।"
সড়কটি সংস্কারের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ছনুয়া
ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এম. হারুনুর রশীদ বাঁশখালী নিউজকে
বলেন, "জনগুরুত্বপূর্ণ এসড়কটি চলতি অর্থবছরে সংস্কারের জন্য আমি ইউএনও মহোদয়কে লিখিত আবেদন করব।" এদিকে এলাকাবাসী জনগুরুত্বপূর্ণ কাদেরিয়া
সড়কটি সংস্কারের জন্য বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ