বিএন ডেস্কঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়
কর্তৃক বাস্তবায়িত অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি হচ্ছে
“অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি” এ কর্মসূচির আওতায় দেশের সকল
উপজেলায় বছরের
কর্মহীন মৌসুমে কর্মক্ষম বেকার শ্রমিকদের জন্য ২টি পর্বে ৮০ দিনের
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দু:স্থ
পরিবারগুলোর দারিদ্র নিরসন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সক্ষমতা বৃদ্ধিই এ
কর্মসূচির উদ্দেশ্য। কর্মসূচির প্রথম পর্বে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত
৪০ দিন এবং দ্বিতীয় পর্বে মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ দিন কর্মসংস্থান
সৃজন করা হয়। অদক্ষ শ্রমিক মুজরি প্রচলিত বাজার দরের আলোকে পারিশ্রমিক
নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অধিকতর দারিদ্রপীড়িত উপজেলাসমূহকে এ কর্মসূচিতে
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাঁশখালী উপজেলার ২ নং সাধনপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের
৯/ গুইল্যাছড়ি ছড়া সংস্কার প্রকল্পে নিয়োজিত থাকা শ্রমিক বাবুল চৌধুরী,
নূর মোহাম্মদ, টিসু সেন, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কালাম, মনসুর উদ্দিন, মৌলভী
জাহাঙ্গীর আলম, কাজল দাশ, রনধীর দাশ, মোহাম্মদ মাহফুজ, জমির হোসেন চৌধুরী,
মো. রাসেল চৌধুরী, রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম, মো. বশির আলী, আবুল হাসেম,
দিদার আহমদ, তৌহিদুল আলম, আবদুল মালেক, আবু হানিফসহ আরো অনেকের টিপসহি এবং
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (প্রকল্প), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা
নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২ (দুই লক্ষ) টাকা আত্মসাতের
অভিযোগে (অভিযুক্ত) সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অবৈধ খন্ডকালীন
শিক্ষক, সাবেক ছাত্রশিবির ক্যাডার তথাকথিত বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের
সহ-সভাপতি ও শারীরিক ছাত্রী নির্যাতনকারী সাইফুল আজম প্রকাশ পেয়াজু
মাস্টার। এই পেয়াজু মাস্টার বাঁশখালী আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২ নং
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা এবং ২ নং সাধনপুর
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেম্বার সাইদুর রশিদ এর রাজনৈতিক
বিশ্বস্ত কর্মী নামে পরিচিতি এবং সাধনপুর ইসলামী পাঠাগারের কর্মী যা
স্থানীয় জামাত-শিবির কর্তৃক পরিচালিত। পরবর্তীতে সে ছাত্রশিবিরের সক্রিয়
কর্মী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সম্প্রতি তাকে ঘিরে একটি আলোড়ন উঠে সমগ্র
পশ্চিম সাধনপুর গ্রামে। তার একই পাড়ার অর্থাৎ পশ্চিম সাধনপুর দিঘীর পাড়ার
এক দরিদ্র প্রতিবাদী কৃষক সচেতন অভিভাবক নাম আবুল হাশেম ও মাতা আয়শা
আকতারের বড় মেয়ে সাইমা সোলতানা ৯ম শ্রেণির ছাত্রী, রোল: ৮৩, মানবিক বিভাগে
পড়ে গত ২১ মার্চ ২০১৭ আনুমানিক সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ে টুলে বসা নিয়ে শত শত
ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে ঐ সাইফুল আজম ওরফে পেয়াজু মাস্টার পারিবারিক পূর্ব
শত্র“তার জের ধরে শারীরিক নির্যাতনসহ ব্যাপক নিপীড়ন চালাতে থাকলে এক সময় ঐ
নির্যাতনের শিকার অসহায় ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সাইমা সোলতানাকে অচেতন অবস্থা
থেকে উদ্ধার করে স্কুলের সহপাঠি ও ছাত্র-ছাত্রীরা বাঁশখালী আধুনিক
হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে এক্সরে, ইসিজিসহ ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর
জরুরী ভিত্তিতে তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলে। কতটা অমানবিক নির্যাতনের শিকার ঐ
ছাত্রীকে এক্সরে, ইসিজির বড় বড় পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে তা সবাই সহজে
বুঝতে পারবেন। অর্থাৎ ঐ জুলুমবাজ নির্যাতনকারী শিবির ক্যাডার সাইফুল আজম
ওরফে পেয়াজু মাস্টার কতটা অমানুষিক নির্যাতন করে থাকলে জরুরী বিভাগে
চিকিৎসা নিতে গিয়ে বহু অর্থ ব্যয় হয় ঐ ছাত্রীর যা গরীব অসহায় অভিভাবক পিতার
পক্ষে অনেকটা শোচনীয় পর্যায়ের তা সকলে অনুমান করতে পারবেন। এই জুলুমবাজ
শিক্ষকের পেয়াজু মাস্টার হওয়ার পেছনে একটি ঘটনা আছে তা হলো একদিন
জামাত-শিবির আয়োজিত এক রমজান ইফতার মাহফিরে তার ভাগে পেয়াজু না পড়াকে
কেন্দ্র করে সে বিশৃঙ্খলার সাথে কিছু কর্মীকে মারধর করে। পরে সে
জামাত-শিবির থেকে কিছু কর্মীকে মারধর করে। পরে সে জামাত-শিবির থেকে নব্য
ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পশ্চিম সাধনপুর গ্রামে আত্মপ্রকাশ করে স্থানীয় কিছু
নামধারী সুবিধাভোগী কর্মীহিন অপরাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহায়তায় সাধনপুর পল্লী
উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধ খন্ডকালীন শিক্ষকতাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে
প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, স্কুল ছাত্রী সাইমা সোলতানার
অসহায় গরীব পিতাকে মাত্র ৫০০ (পাঁচ শত) টাকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাঁশখালী
থানায় মামলা না করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। ঐ স্কুলের অনিয়ম ও
দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক খোকন চক্রবর্তীসহ সেই পেয়াজু মাস্টার ঐ মজলুম
পিতাকে হুমকী-ধমকী দিয়ে চাঞ্চল্যকর একটি ছাত্রী নির্যাতন মামলা ডিসমিস করে
দেয়া। তার মতো এই জুলুমবাজ শিক্ষক নামের কলঙ্ক সাইফুল আজম ওরফে পেয়াজু
মাস্টারকে কোনরূপ অভিযুক্ত কিংবা থানায় মামলা না করে গত ২৯ জানুয়ারি ২০১৭
ইংরেজী তারিখে সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের
বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়া নিয়ে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, বৃহত্তর
চট্টগ্রাম ছাত্র সমাজ’র পরিচিত মূখ, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আন্দোলন’র অন্যতম
সংগঠক মো. জসীমুল হক চৌধুরীর উপর পূর্ব শত্র“তার জের ধরে অনুষ্ঠান
চলাকালীন সময়ে গায়ে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর রক্তাত্ব করে এবং বহিরাগত
সন্ত্রাসীদের দিয়ে শারীরিক নাজেহাল করে সে কিনা এ সমস্ত জঘন্য কুকর্ম করে
রক্ষা পায় আর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরোধী কথা বলার প্রতিবাদকারী হিসেবে
মিথ্যা মামলা সাঁজিয়ে একুশ মেলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ও
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জসীমুল হক চৌধুরীকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি হিসেবে
গায়ে জুড়ে দেয়। এই নিয়ে পশ্চিম সাধনপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর অবস্থা বিরাজ
করছে। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের ঘটনার হওয়ার আশাঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ নিউজগার্ডেন
সূত্রঃ নিউজগার্ডেন
0 মন্তব্যসমূহ