বিএন ডেস্কঃ
বাঁশখালী ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মহিউদ্দীন দুনীর্তি দমন কমিশনের গণশুনানিতে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত হলেও বাঁশখালী ভূমি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়ম কমেনি। বাঁশখালী ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মচারীদের সহযোগিতায় দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। ১২ অক্টোবর ভূমি অফিসে এক দালালকে আবেদনকারী মোহাম্মদ ফোরকান বকাবকি ও ধাওয়া করেছেন। ৬টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নিয়ে বাঁশখালী ভূমি অফিস গঠিত। এ সমস্ত ভূমি অফিসে রয়েছে একাধিক দালাল। বাঁশখালী ভূমি অফিসে ৩০ জনের অধিক দালালের সিন্ডিকেট রয়েছে। নামজারি খতিয়ানের জন্য ভূমি সেবা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে দালালেরা প্রতি দলিলে ৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। অফিসে হেল্প ডেস্ক কিছুদিন পূর্বে চালু করলেও সকল কার্যক্রম চলে দালালদের মাধ্যমে। দালালদের ছাড়া ফাইল নড়াচড়া হয় না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নামজারি খতিয়ান সৃজনে ৪৫দিন সময় নির্ধারণ করে দেওয়া থাকলেও বাস্তব ক্ষেত্র তা ভিন্ন। সরেজমিনে দেখা যায় বাঁশখালী ভূম অফিসের সামনে ও ভিতরে সাধারণ মানুষের নামজারি খতিয়ান সৃজনের জন্য মোটা অংকের টাকা নেওয়া দালালদের হাক–ডাক। ১২ অক্টোবর দালাল সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নজরুল ইসলাম, আনিস, বাহাদুর, আজগর, আকবর, জমির, মনজুর, আজিজ, হাসেম, রোকন উদ্দিন, রুবেল, সজল, নুরুল ইসলাম, আবদুল করিম, মনু প্রমুখ। দুদকের গনশুনানিতে অংশ নেয়া পুকুরিয়া ইউনিয়নের মনচুর আলী বলেন, ভূমি অফিসে নামজারি খতিয়ানে টাকা গ্রহণ নিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ দায়ের করেছি, এখনও ফলাফল পাইনি। কালিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, গুণাগরীর সাহেব আলী মিয়ার ওয়ারিশগণের কাছ থেকে রামদাশ বাজার সংলগ্ন ৭ গ–া জায়গা ক্রয় করি, কিন্তু দালাল আবদুল করিম আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু কাজ সম্পন্ন করে দেবে বলে একবছর যাবত হয়রানি করছে। গ–ামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা মৌলভী আবু তাহের বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর জমাভাগ মামলা দায়ের করেছি; এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, বাঁশখালী ভূমি অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সূত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ