বাঁশখালী থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা চৌধুরী বলেন, আটক
ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার নতুন পাড়ার আজিজুর রহমান (৩৫), বার আউলিয়া পাড়ার
আনু মিয়া (৪৮), হাজী পাড়ার রেজাউল করিম (৩৪) ও সাতকানিয়া উপজেলার দুরদুরী
গ্রামের মো. ফরিদ (৩৫)। আটক ব্যক্তিরা নকল সোনার লোভ দেখিয়ে নারীদের কাছে
থেকে আসল সোনা হাতিয়ে নেন। এ কাজে তাঁরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার
করেন।
পুলিশ জানায়, রাবেয়া বেগমকে আজ ফাঁদে ফেলে প্রতারণার চেষ্টা করেন ওই
প্রতারক চক্র। তবে রাবেয়া বেগম সেই ফাঁদে পড়েননি। বরং তাঁর সাহসিকতায় আটক
হয়েছে প্রতারক চক্রটি।
রাবেয়া বেগমের ভাষ্য, কালিপুর বাজার থেকে উপজেলা সদরের দিকে সিএনজিচালিত
অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন তিনি। চালক ও আরোহীর বেশে থাকা প্রতারক চক্রের
চার সদস্য তাঁকে বলেন যে তাদের কাছে একটি স্বর্ণের বার আছে। তারা সেটি
বিক্রি করতে পারছে না। অথচ তাদের টাকার খুব দরকার। স্বর্ণের বারটির দাম
অনেক। তবে তিনি চাইলে গায়ে থাকা স্বর্ণালংকার দিয়ে দামি বারটি নিতে পারেন।
ফাঁদে পড়ে রাবেয়া তাঁর কাছে থাকা দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন তাদের দিয়ে
দেন। তাঁরা তখন অনুরোধ করেন, মিয়ার বাজারে নেমে তাদের দেওয়া বারটি পরীক্ষা
করে দেখতে। ততক্ষণ তাঁরা অপেক্ষা করবেন। তিনি তাদের দেওয়া বারটি পরীক্ষা
করতে নামেন। এই ফাঁকে অটোরিকশাটি চলে যেতে শুরু করে।
রাবেয়া বেগমের ভাষ্য, তিনি দ্রুত দৌড়ে গিয়ে চলন্ত অটোরিকশাটি পেছন থেকে
ধরে ফেলেন। ও অবস্থায় অটোরিকশা না থামিয়ে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান চালক ও
প্রতারক চক্রের সদস্যরা। অটোরিকশাটি চট্টগ্রাম-বাঁশখালী সড়কের
মিয়ারবাজারের পেট্রলপাম্প এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন গতিরোধ করে সেটি
থামায়। দুজনকে ধরতে পারলেও বাকি দুজন পালিয়ে যায়। পরে তাদের তথ্যের
ভিত্তিতে আরও দুজনকে আটক করা হয়।
বাঁশখালী থানার এসআই মোস্তফা চৌধুরী বলেন, এদের আটকের খবরে থানায় ভিড়
করেন আগে তাদের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার হওয়া পৌরসভার দোশারী পাড়ার
ছেনোয়ারা বেগম, নেয়াজী পাড়ার মমতাজ বেগম, দক্ষিণ জলদীর অঞ্জলী দাশ ও নাপিত
পাড়ার আরতি বালা। রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে মামলা করবেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে
সুত্র:প্রথম আলো
0 মন্তব্যসমূহ