বিএন ডেস্কঃ
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মামুনুর রশিদ মামুন। তিনি ওই বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিগত দুই বছর যাবৎ পড়িয়ে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সবসময়কে বলেন, গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) ইংরেজি বিভাগের ক্লাস নিচ্ছিলেন মামুনুর রশিদ। এ সময় নাহিদার কাছে পড়া জিগ্যেস করেন তিনি। কিন্তু পড়া না পারায় নাহিদাকে প্রথমে বেত দিয়ে নির্মমভাবে এবং পরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন শিক্ষক মামুন। এতে জ্ঞান হারায় নাহিদা।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রীর বাবা মোক্তার আহমদ সংবাদ সবসময়কে বলেন, একজন শিক্ষক তার ছাত্রীকে এভাবে মারতে পারে আমি আমার এই বয়সে দেখি নি। এভাবে মারার পরে দুইদিন ধরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও কোনো শিক্ষক আমার মেয়েকে দেখতে আসেনি। সামনে আমার মেয়ের জেএসসি পরিক্ষা। এই অবস্থায় আমার মেয়ে কীভাবে পরিক্ষা দিবে সেটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।’ তিনি শিক্ষক মামুনের বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচাতো ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সংবাদ সবসময়কে জানান, ‘এই ঘটনার দায় প্রধান শিক্ষক কিংবা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি অভিযুক্ত শিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ১৯৭৪ সালের ৩৪ ধারায (শিশুর ওপর নিষ্ঠুরতা) অনুযায়ী বিচারের জন্য আমরা অতি দ্রুত মামলা দায়ের করব।’
তবে এখনও মামলা করা হয়নি উল্লেখ করে মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আমার বোনের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনও মামলা করা হয়নি। তবে আমার বোন একটু সুস্থ হলে মামলার প্রস্তুতি নেব।’
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মামুনুর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সবসময়কে জানান,আমার সাথে এ ধরনের কোন ঘটনা হয় নি।বিষয়টি স্কুল প্রধান ভাল বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে বেশ কয়েক বার মুটোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
চট্রগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম পুঁইছড়ি
ইজ্জতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই স্কুলের অস্টম
শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষকের বেধড়ক মারধরে গুরুতর আহত ছাত্রী নাহিদা সোলতানা গত দুদিন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আজ কিছুটা শংকামুক্ত
হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মামুনুর রশিদ মামুন। তিনি ওই বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের বিগত দুই বছর যাবৎ পড়িয়ে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সবসময়কে বলেন, গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) ইংরেজি বিভাগের ক্লাস নিচ্ছিলেন মামুনুর রশিদ। এ সময় নাহিদার কাছে পড়া জিগ্যেস করেন তিনি। কিন্তু পড়া না পারায় নাহিদাকে প্রথমে বেত দিয়ে নির্মমভাবে এবং পরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন শিক্ষক মামুন। এতে জ্ঞান হারায় নাহিদা।
অভিযুক্ত শিক্ষক মামুনুর রশিদ |
পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেহুশ অবস্থায় নাহিদাকে কয়েক ঘণ্টা স্কুলে ফেলে
রাখে হুশ আনার চেষ্টা চালায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে হুশ না হওয়ায় স্থানীয় এক
চিকিৎসক ধারা নাহিদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পরে ওই চিকিৎসকের পরামর্শে
নাহিদাকে প্রথমে দ্রুত বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চমেক হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি
করানো হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রীর বাবা মোক্তার আহমদ সংবাদ সবসময়কে বলেন, একজন শিক্ষক তার ছাত্রীকে এভাবে মারতে পারে আমি আমার এই বয়সে দেখি নি। এভাবে মারার পরে দুইদিন ধরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও কোনো শিক্ষক আমার মেয়েকে দেখতে আসেনি। সামনে আমার মেয়ের জেএসসি পরিক্ষা। এই অবস্থায় আমার মেয়ে কীভাবে পরিক্ষা দিবে সেটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।’ তিনি শিক্ষক মামুনের বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচাতো ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সংবাদ সবসময়কে জানান, ‘এই ঘটনার দায় প্রধান শিক্ষক কিংবা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি অভিযুক্ত শিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ১৯৭৪ সালের ৩৪ ধারায (শিশুর ওপর নিষ্ঠুরতা) অনুযায়ী বিচারের জন্য আমরা অতি দ্রুত মামলা দায়ের করব।’
তবে এখনও মামলা করা হয়নি উল্লেখ করে মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আমার বোনের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনও মামলা করা হয়নি। তবে আমার বোন একটু সুস্থ হলে মামলার প্রস্তুতি নেব।’
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মামুনুর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সবসময়কে জানান,আমার সাথে এ ধরনের কোন ঘটনা হয় নি।বিষয়টি স্কুল প্রধান ভাল বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে বেশ কয়েক বার মুটোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
উক্ত স্কুলটিতে দেখা যায় বেশীর ভাগ শিক্ষক অবিবাহিত। স্হানীয়রা জানান,
মহিলা স্কুলে এভাবে অবিবাহিত শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা হলে যে কোন মুর্হুতে
আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
সূত্রঃ সংবাদ সবসময়
0 মন্তব্যসমূহ