বাঁশখালী হাসপাতালে সিট না পেয়ে গত সোমবার ফ্লোরে (বারান্দা) ভর্তি রয়েছেন আছমা খাতুন ও আব্দুল মজিদের ২ মাসের কন্যা শিশু মিসকাতুল। রোগীর মা আছমা খাতুন জানান, গ্রামের ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসার পর ৩দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ৮ মাসের শিশু ইমাম হোসেনের মা রিপু আক্তার, ৪ মাসের শিশু তামিমের মা ইয়াছমিন, ৮ মাসের শিশু সামি আক্তারের মা রিজভি আক্তার শিশুদের নিয়ে (বারান্দা) ফ্লোরের মধ্যে শুয়ে রয়েছে। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গ্রামে চিকিৎসা না নিয়ে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তিকৃত রোগীর অভিভাবকরা জানালেন, ছেলে–মেয়েদের বাঁচানোর জন্য ঔষধ পত্র হাসপাতালের বাহির থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে। বাঁশখালী উপজেলায় নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৪শ জন গ্রাম্য ডাক্তারের কাছেও চিকিৎসা নিচ্ছে শত শত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্তান্ত রোগী। শেষ ভরসা হিসেবে কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেউ বা চট্টগ্রামস্থ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। গত সোমবার বার বাঁশখালী হাসপাতালে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৬ জন শিশু বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। মঙ্গলবার ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত ২৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে ৬ জন ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে নুরতাজ বেগম(৩৫), কণিকা (১৫) ডায়রিয়া আক্রান্ত এবং নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তানিম দেড় বছর, জসিম সাড়ে ৩ বছর, ফারজানা ৭ মাস, তানহা আড়াই মাস।
৫০ শয্যা হাসপাতালে সিট সংকুলান না হওয়ায় (বারান্দা) ফ্লোরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীরা হাসাপাতালে ভর্তি হচ্ছে চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা বাড়ি ফিরছে। তবে প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসা নিলেও কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, উপজেলার কালীপুর, গন্ডামারা, সরল, চাম্বল, পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, পৌরসদর জলদী এলাকায় ও বয়ষ্কদের চেয়ে শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পল্লী চিকিৎসক ও এমবিবিএস চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। গত সোমবার সকালে গতকাল বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাঁশখালী হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা পত্র নিয়ে হাসপাতালের বেডে ভর্তি হয়েছেন দিনভর ৪৫ জন শিশু রোগী।
বাঁশখালী হাসপাতালের একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাসে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো জুলাই মাস ডায়রিয়া রোগে আক্রন্ত পুরুষ ৬৪ জন, মহিলা ৫৭ জন। নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত পুরুষ ৬১ জন ও মহিলা ২১ জন। আগস্ট মাসে ডায়রিয়া রোগে পুরুষ ৫২ জন ও মহিলা ২৬ জন। নিউমোনিয়ায় পুরুষ ৭৩ জন ও মহিলা ৭৬ জন। সেপ্টেম্বরে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত পুরুষ ১০৩ জন ও মহিলা ৯০ জন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পুরুষ ১৩৪ জন ও মহিলা ৬৮ জন।
বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণ জলদী গ্রামের অসীম বড়–য়া জানান গ্রাম্য ডাক্তার এর কাছ থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হলে সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এ হাসপাতালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ বেডে উন্নীত করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও উপকূলীয় এলাকা হিসেবে শিশু বিভাগ আলাদা করার প্রয়োজন রয়েছে। গ্রাম্য ডাক্তার আশীষ শীল বলেন, ভ্যাপসা গরমের প্রভাবে ডায়রিয়া এবং আবহাওয়ার কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাঁশখালী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৌহিদুল আনোয়ার জানায়, প্রতিদিন ৩০–৩২ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। বাঁশখালীতে সাম্প্রতিক সময়ে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। সরকারিভাবে যতটুক সম্ভব ঔষধ পত্র প্রদান করা হচ্ছে। বাৎসরিক ঔষধ বরাদ্দ রয়েছে। রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষেকে আবেদন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী পূর্বকোণ কে বলেন, আমি এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আছি। বাঁশখালী হাসপাতালের শিশুরোগী আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি কর্তব্যরত ডাক্তারদেরকে দেখভালের জন্য আমি বলতেছি।
সুত্র: দৈনিক পূর্বকোণ
৫০ শয্যা হাসপাতালে সিট সংকুলান না হওয়ায় (বারান্দা) ফ্লোরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীরা হাসাপাতালে ভর্তি হচ্ছে চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা বাড়ি ফিরছে। তবে প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসা নিলেও কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, উপজেলার কালীপুর, গন্ডামারা, সরল, চাম্বল, পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, পৌরসদর জলদী এলাকায় ও বয়ষ্কদের চেয়ে শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পল্লী চিকিৎসক ও এমবিবিএস চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। গত সোমবার সকালে গতকাল বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাঁশখালী হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা পত্র নিয়ে হাসপাতালের বেডে ভর্তি হয়েছেন দিনভর ৪৫ জন শিশু রোগী।
বাঁশখালী হাসপাতালের একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাসে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো জুলাই মাস ডায়রিয়া রোগে আক্রন্ত পুরুষ ৬৪ জন, মহিলা ৫৭ জন। নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত পুরুষ ৬১ জন ও মহিলা ২১ জন। আগস্ট মাসে ডায়রিয়া রোগে পুরুষ ৫২ জন ও মহিলা ২৬ জন। নিউমোনিয়ায় পুরুষ ৭৩ জন ও মহিলা ৭৬ জন। সেপ্টেম্বরে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত পুরুষ ১০৩ জন ও মহিলা ৯০ জন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পুরুষ ১৩৪ জন ও মহিলা ৬৮ জন।
বাঁশখালী উপজেলার দক্ষিণ জলদী গ্রামের অসীম বড়–য়া জানান গ্রাম্য ডাক্তার এর কাছ থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হলে সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এ হাসপাতালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ বেডে উন্নীত করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও উপকূলীয় এলাকা হিসেবে শিশু বিভাগ আলাদা করার প্রয়োজন রয়েছে। গ্রাম্য ডাক্তার আশীষ শীল বলেন, ভ্যাপসা গরমের প্রভাবে ডায়রিয়া এবং আবহাওয়ার কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাঁশখালী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৌহিদুল আনোয়ার জানায়, প্রতিদিন ৩০–৩২ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। বাঁশখালীতে সাম্প্রতিক সময়ে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। সরকারিভাবে যতটুক সম্ভব ঔষধ পত্র প্রদান করা হচ্ছে। বাৎসরিক ঔষধ বরাদ্দ রয়েছে। রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষেকে আবেদন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী পূর্বকোণ কে বলেন, আমি এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আছি। বাঁশখালী হাসপাতালের শিশুরোগী আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি কর্তব্যরত ডাক্তারদেরকে দেখভালের জন্য আমি বলতেছি।
সুত্র: দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ