মোহাম্মদ বেলাল
উদ্দিন,
বার্তা পরিবেশক,বাঁশখালী নিউজ:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলে এখন চলছে লবণ উৎপাদনের মৌসুম।চিংড়ি ঘের গুঁটিয়ে বর্তমানে ওখানকার লবণ চাষীরা পুরোধমে লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।বাঁশখালীর লবণ চাষীরা দিনের পুরোটাই সময় ব্যয় করছেন এখন লবণ উৎপাদনের কাজে।বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী,মধুখালী,আবাখালী,ছেলবন ও তুতুকখালী,চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ডেপুটি ঘোনা,গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা,হাদিরপাড়া,মিনজিরীতলা,সরলের সর্বত্র,পুঁইছড়ির পশ্চিম পশ্চিম পুঁইছড়ি,সরলিয়া ঘোনা,শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ,শীলকূপের পশ্চিম মনকিচর এলাকায় প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে।প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও এখানকার প্রায় কয়েক হাজার লবণ চাষী লবণ উৎপাদনের কাজে নেমেছেন।তাছাড়া বর্তমান বাজারে লবণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও ন্যায্যমূল্যে লবণ বিক্রি হওয়ার ফলে এখানকার চাষীদের লবণ উৎপাদনে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।সকাল থেকে সন্ধা অবধি লবণ মাঠ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।বিগত দিনে উপকূলের অনেক জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকলেও বর্তমানে লবণ চাষীরা লবণ ঊৎপাদনে প্রায় জমি চাষের আওতায় এনেছেন।লবণের দাম বেশি হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসির ঝলকও দেখা দিচ্ছে।যদি শেষ পর্যন্ত এই দাম অব্যাহত থাকে তাহলে বাঁশখালীর উপকূলীয় কয়েক সহস্রাধিক লবণ চাষী তাদের পরিশ্রমের সুফল পাবে এই আশা রাখছে।বর্তমানে সরকার লবণ চাষীদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে লবণ আমদানী বন্ধ করে দেওয়ায় চাষীরা পুনঃশ্রম এখন মাঠে দিয়ে যাচ্ছে।বাঁশখালীতে উৎপাদিত লবণগুলো বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারাদেশে রপ্তানী করে থাকে।বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশন(বিসিক)বাঁশখালীর উপকূলীয় সরল এলাকায় তাদের নিজস্ব তদারকির মাধ্যমে লবণ উৎপাদন ও রপ্তানী করে থাকে।বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী এলাকার লবণ চাষী কামাল হোছাইন বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"দাম বেশি হওয়ায় ছনুয়ার অনাবাদী মাঠসমুহ এখন লবণ মাঠে পরিণত হয়েছে।বিগত বছর যেখানে খালি পড়ে থাকতো;এবার সেখানে ২২হাজার একরের বেশি জায়গা জুড়ে লবণ মাঠ তৈরী করেছে এই এলাকার লবণ চাষীরা।"কিছু স্থানে পলিথিনের মাধ্যমে লবণ উৎপাদনের কাজ হওয়ার পথে।বাঁশখালীর সরল এলাকার বিশিষ্ট লবণ ব্যবসায়ী আবু তালেব বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"বাঁশখালীতে যে লবণ উৎপাদন হয় তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বাহিরেও রপ্তানী করতে পারবে।কিন্তু কিছু কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বাহির থেকে লবণ আমদানি করে দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।"
বর্তমান সরকারতা কঠোর হস্তে দমন করায় বাঁশখালীর বর্তমানে প্রায় লক্ষাধিক লবণ চাষী ন্যায্যমূল্য ও পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য পাবে এই আশায় লবণ মাঠে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে।সরকার যদি বাঁশখালীর উপকূলে উৎপাদিত এসব লবণ দেশের সর্বত্র রপ্তানীতে সহযোগিতা করেন তাহলে এখানকার লবণ চাষীরা আরো বেশি উপকৃত হবে এবং মানসম্মত লবণ উৎপাদনে আরো বেশি মনোযোগী হবেন এমনটি প্রত্যাশা বাঁশখালীর উপকূলীয় জনপদের চাষীদের।
বার্তা পরিবেশক,বাঁশখালী নিউজ:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলে এখন চলছে লবণ উৎপাদনের মৌসুম।চিংড়ি ঘের গুঁটিয়ে বর্তমানে ওখানকার লবণ চাষীরা পুরোধমে লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।বাঁশখালীর লবণ চাষীরা দিনের পুরোটাই সময় ব্যয় করছেন এখন লবণ উৎপাদনের কাজে।বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী,মধুখালী,আবাখালী,ছেলবন ও তুতুকখালী,চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ডেপুটি ঘোনা,গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা,হাদিরপাড়া,মিনজিরীতলা,সরলের সর্বত্র,পুঁইছড়ির পশ্চিম পশ্চিম পুঁইছড়ি,সরলিয়া ঘোনা,শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ,শীলকূপের পশ্চিম মনকিচর এলাকায় প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে।প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও এখানকার প্রায় কয়েক হাজার লবণ চাষী লবণ উৎপাদনের কাজে নেমেছেন।তাছাড়া বর্তমান বাজারে লবণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও ন্যায্যমূল্যে লবণ বিক্রি হওয়ার ফলে এখানকার চাষীদের লবণ উৎপাদনে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।সকাল থেকে সন্ধা অবধি লবণ মাঠ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।বিগত দিনে উপকূলের অনেক জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকলেও বর্তমানে লবণ চাষীরা লবণ ঊৎপাদনে প্রায় জমি চাষের আওতায় এনেছেন।লবণের দাম বেশি হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসির ঝলকও দেখা দিচ্ছে।যদি শেষ পর্যন্ত এই দাম অব্যাহত থাকে তাহলে বাঁশখালীর উপকূলীয় কয়েক সহস্রাধিক লবণ চাষী তাদের পরিশ্রমের সুফল পাবে এই আশা রাখছে।বর্তমানে সরকার লবণ চাষীদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে লবণ আমদানী বন্ধ করে দেওয়ায় চাষীরা পুনঃশ্রম এখন মাঠে দিয়ে যাচ্ছে।বাঁশখালীতে উৎপাদিত লবণগুলো বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারাদেশে রপ্তানী করে থাকে।বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প কর্পোরেশন(বিসিক)বাঁশখালীর উপকূলীয় সরল এলাকায় তাদের নিজস্ব তদারকির মাধ্যমে লবণ উৎপাদন ও রপ্তানী করে থাকে।বাঁশখালীর উপকূলীয় ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী এলাকার লবণ চাষী কামাল হোছাইন বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"দাম বেশি হওয়ায় ছনুয়ার অনাবাদী মাঠসমুহ এখন লবণ মাঠে পরিণত হয়েছে।বিগত বছর যেখানে খালি পড়ে থাকতো;এবার সেখানে ২২হাজার একরের বেশি জায়গা জুড়ে লবণ মাঠ তৈরী করেছে এই এলাকার লবণ চাষীরা।"কিছু স্থানে পলিথিনের মাধ্যমে লবণ উৎপাদনের কাজ হওয়ার পথে।বাঁশখালীর সরল এলাকার বিশিষ্ট লবণ ব্যবসায়ী আবু তালেব বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"বাঁশখালীতে যে লবণ উৎপাদন হয় তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বাহিরেও রপ্তানী করতে পারবে।কিন্তু কিছু কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বাহির থেকে লবণ আমদানি করে দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।"
বর্তমান সরকারতা কঠোর হস্তে দমন করায় বাঁশখালীর বর্তমানে প্রায় লক্ষাধিক লবণ চাষী ন্যায্যমূল্য ও পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য পাবে এই আশায় লবণ মাঠে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে।সরকার যদি বাঁশখালীর উপকূলে উৎপাদিত এসব লবণ দেশের সর্বত্র রপ্তানীতে সহযোগিতা করেন তাহলে এখানকার লবণ চাষীরা আরো বেশি উপকৃত হবে এবং মানসম্মত লবণ উৎপাদনে আরো বেশি মনোযোগী হবেন এমনটি প্রত্যাশা বাঁশখালীর উপকূলীয় জনপদের চাষীদের।
0 মন্তব্যসমূহ