বাঁশখালীর সহিংসতার ঘটনায় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে দায়ি করে তাকে গ্রেপ্তার ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। তিনি বলেন, এই হামলায় মদদ দিয়েছেন সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। সংসদ সদস্যের চাচা রশিদ আহমেদ ও পিএস তাজুল ইসলাম তাকে হত্যা চেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণ সভাকে কেন্দ্র করে গত ৯ নভেম্বর বিকেলে বাঁশখালী পৌর সদরের অদূরে সরল ইউনিয়নের পাইরাং এলাকায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘাতে ২৩ জন আহত হয়। সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এবং মনোনয়ন প্রত্যাশী আবদুল্লাহ কবির লিটনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় লিটনের অনুসারী আনিসুল হক বাদি হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সংসদ সদস্যের
চাচা ও ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়। দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে সংসদ সদস্যের পিএস ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি তাজুল ইসলামকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিটন জানান, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বাড়ির কাছেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় তার অনুসারী নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করেন। হামলার পর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মোস্তফিজুর রহমানের বাড়ির দিকে চলে যান। তিনি সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের বিভিন্ন দুর্নীতির কথাও উল্লেখ করেন।
সুত্র: দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ