দুপুরে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মোল্লার নির্দেশে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাকেরা শরীফ ছেলের পিতা ছৈয়দ আহমদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের অঙ্গীকারনামা নেন।
নির্দেশ দেয়া হয় প্রাপ্তবয়স্ক হলেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইভাবে একজন জেএসসি পরিক্ষার্থী নিজের বিয়ে বন্ধের জন্য শিক্ষক ও প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাইলে বিয়েটি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে মনছুরিয়া এলাকায় এক স্কুল ছাত্রীকে বখাটেরা স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ইভটিজিং করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কালিপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কোকদ-ী গ্রামের ছৈয়দ আহমদের ছেলের সাথে কাথরিয়া ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের স্কুল পড়–য়া এক শিক্ষার্থীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে উঠে। মোবাইল ফোনের সম্পর্কের জের ধরে মেয়ে ছেলেকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। অন্যথায় নারী নির্যাতন মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দিলে ছেলে ও ছেলের পরিবার পক্ষ রাজি হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার ছেলেমেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আয়োজন করেন। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বিয়ের বিষয়টি জানার পর অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের বিয়ে বন্ধের জন্য বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা কোচিং সেন্টারে ছেলে ও মেয়ে পাশাপাশি বসে পাঠদান করাকেই ছেলেমেয়েদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠছে বলে দায়ী করেন।
কালিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আনম শাহাদাত আলম বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর প্রশাসনকে বিয়ে বন্ধের জন্য সহায়তা করেছি। ছেলের মা-বাবা বিয়ে হবে না বলে জানিয়ে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। ছেলের বয়স ১৮ বছরের কম।
বাঁশখালী উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাকেরা শরীফ বলেন, কালিপুরের ছেলে জাহেদুল ইসলাম এর বয়স এখনো ১৮ পূর্ণ হয়নি। মোবাইল ফোনে তাদের পরিচয়ের সূত্র ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং বিয়ের দিন তারিখ ধার্য্য করে। বাল্য বিয়ে হওয়ার সংবাদ পেয়ে প্রশাসনিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একইভাবে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মেয়ের পক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।
বাঁশখালী ইউএনও মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, ইভটিজিং এবং বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য প্রশাসন সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন। জেএসসি পরীক্ষার্থী নিজেই বিয়ে বন্ধের জন্য প্রশাসিনক সহায়তা চাওয়ার পর তদন্ত করে সঠিক পাওয়ায় মা এবং মামার কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাল্য বিয়ের ব্যাপারে চেয়ারম্যান ও কাজীদের আরো সচেতন হতে হবে।
সুত্র: দৈনিক পূর্বকোণ
1 মন্তব্যসমূহ
good
উত্তরমুছুন