মোরশেদ আলম তার স্ত্রী ও ছেলের পারিবারিক এ্যালবাম ছবি: |
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ওয়ার্ড বয় মোঃ মোরশেদ আলম তার ৪ বছরের সংসারের স্ত্রী ও ৩ বছরের ছেলে সন্তান কে ফেলে বাঁশখালী পৌরসভাধীন জলদী এলাকার এক ১৬ বছরের তরুণী সাকী আক্তারকে নিয়ে উধাও।
পটিয়া উপজেলার ধলঘাট এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ মোরশেদ আলম ও বোয়ালখালী উপজেলার ডেংগুরা এলাকার মোহাম্মদ হাসেমের মেয়ে শারমিন আক্তারের সামাজিক ভাবে বিবাহের বন্ধন হয় অধ্য ২০১৩ সালের ২২ শে আগষ্ট।
মোরশেদ আলম গত ৭ বছর যাবৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সরকারি চাকরীরত অবস্থায় রয়েছে। অনুসন্ধানে উঠে আসে কর্মরত প্রতিটি উপজেলা কয়েক জন করে তার পরকীয় প্রেমিক রয়েছে, এসব প্রেমিকদের সঙ্গে অবৈধভাবে মম্পর্কে গড়ে তুলে অনেকের জীবন সর্বনাশ করেছে। অনুসন্ধানে কয় জনে নামও উঠে আসে। যেমন বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চাকরীরত অবস্থায় শাহীন আক্তার, সীতাকুন্ডে সাহেদা বেগম, ফটিকছড়িতে তাছলিমা বেগম সহ আরো অনেক মেয়েদের সাথে মোবাইলে বা সরাসরি দেখা কালে তাঁদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। এক কথায় বলা যায় সে এক জন বহুনারী রুপি ব্যক্তি।
মোরশেদ যে উপজেলা বদলী সে উপজেলা তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে এক জন নারী রুপি, মাদক সেবন ও জুয়া খেলায় জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে
মোরশেদ আলমের স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান, আমাদের বিবাহ হয় ২০১৩ সালে আগষ্ট মাসে। এই ৪ বৎসর সংসার জীবনে সেই সব সময় বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয় প্রেমে লিপ্ত থাকত। এসব বিষয় এ আমি স্ত্রী হিসাবে প্রতিবাদ করিলে সে আমাকে প্রতিনিয়ত শারীরিক মানসিক নির্যাতন সহ শরীরিলের বিভিন্ন স্থানে জখম ও আঘাত করেছে। আমাদের বিবাহের পর যেসব উপজেলায় চাকরি করছে, সেই সব উপজেলায় অনেক নারী সংক্রান্ত খারাপ কাজে লিপ্ত থাকত। যেমন বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চাকরীরত অবস্থায় শাহীন আক্তার, সীতাকুন্ডে সাহেদা বেগম, ফটিকছড়িতে তাছলিমা বেগম সহ আরো অনেক মেয়েদের সাথে মোবাইলে বা সরাসরি দেখা কালে তাঁদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। যার ফলেস্বরূপ সেই কোন হাসপাতালে বেশি দিন চাকরি করতে পারেনি।
তার ৭ বছর চাকরি জীবনে চন্দনাইশ, বোয়ালখালীম ফটিকছড়ি, সীতাকুন্ড ও বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ বাদলী হয়েছে। এছাড়াও সে মাদক সেবন ও জুয়া খেলায় লিপ্ত ছিল। অবশেষে গত ২৭ অক্টোবর মাসে আমার মাস্টার্স টেস্ট পরীক্ষার জন্য বাপের বাড়ীতে ছিলাম। সেই সুযোগে বাঁশখালী পৌরসভার জলদী গ্রামের বাহার উল্লাহ পাাড়ার ফজল করিমের মেয়ে সাকী’র সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি আমি জানার পর প্রতিবাদ করায় সে আমার বাপের বাড়ীতে আমাকে প্রচুর মারধর করে সে আমার বাপের বাড়ী থেকে চলে আসে বাঁশখালী হাসপাতালে। তার পর আমাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় যেন আমি নিজেই তার পথ থেকে সরে দাড়ায়। সব কিছু ফেলে রেখে যখন আমি গত ১৬ নভেম্বর বাঁশখালী হাসপাতালের বাসায় গিয়েছি, সাথে সাথে আমাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দে। এবং একই দিনের সন্ধ্যার সময় সেই অবৈধ সম্পর্কের গড়ে উঠা জলদী গ্রামের বাহার উল্লাহ পাাড়ার ফজল করিমের মেয়ে সাকী কে নিয়ে পালিয়ে যায়। তার পর সে আমাকে মোবাইলে ফোন করে আবারও হুমকি দিয়ে বলে তোর যা ক্ষমতা আছে তা তুই করে দেখা, দেখি করতে পারছ। আমি আমাদের বাসায় গিয়ে দেখি সে বাসার সব জিনিসপত্র সব এক জায়গায় গোছ গাচ করে রেখেছে, যেন যাওয়ার সময় সব মালামাল তড়িঘড়ি করে নিয়ে যেতে পারে।
আমাদের সাত বছরের সংসারে একটা সোয়া ৩ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে আমি আর্থিক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। আজ আমি বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার পারিবারিক আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তারা এই বিষয়টা নিয়ে কিছুই করতে পারছে না। অনেক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সয়েছি শুধুমাত্র সংসারের সন্তানের দিকে নজর রেখে। বর্তমানে সে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিতি রয়েছে।
এই ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক অফিসার ডা. মোঃ তৌহিদুল আনোয়ারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। হাসপাতাল বয় মোঃ মোরশেদ আলমের স্ত্রী শারমিন আক্তার।
ডা. মোঃ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, হাসপাতাল বয় মোঃ মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে, এবং তার স্ত্রী শারমিন আক্তার একটি লেখিত অভিযোগ করছে। বিষয়টি আমরা আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিভিল চট্টগ্রাম সার্জন মহোদয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। যার স্মারক নং উপঃস্বাঃকমঃ/বাঁশ/১৭/৩১২৪ নং।
0 মন্তব্যসমূহ