মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনঃ
কুতুবদিয়া চ্যানেলে সোমবার রাতে মাঝিমাল্লাসহ ৫টি ফিশিং বোট অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের উৎপাত শুরু হয়েছে।
কুতুবদিয়া চ্যানেলে সোমবার রাতে মাঝিমাল্লাসহ ৫টি ফিশিং বোট অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের উৎপাত শুরু হয়েছে।
বোট মালিক সূত্রে জানা গেছে বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী–কুতুবদিয়া চ্যানেলের জাহাজহাড়ি এলাকায় ৫টি ফিশিং বোটসহ ৬৫ জন মাঝিমাল্লা অপহরণের শিকার হয়েছে। এ সময় জলদস্যুদের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জেলে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রবিউল আলম (২৮) নামে একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকার পশ্চিমে জাহাজহাড়ি নামক স্থানে সোমবার গভীর রাতে মাছ ধরার জন্য অবস্থান করছিল চাম্বল এলাকার ইউনুচ কোম্পানীর মালিকানাধীন এফবি সাইফুল, আবচার কোম্পানীর এফবি মায়ের দোয়া, সৈয়দ নূর কোম্পানীর এফবি আল্লাহর দান, মাহমুদ শফি কোম্পানীর আল্লাহ মালিক ও মোস্তাক কোম্পানীর এফবি মায়ের দোয়া ফিশিং বোট। হঠাৎ জলদস্যুর দল তাদের ফিশিং বোটে হামলা চালিয়ে বোটে থাকা মাঝিমাল্লাদের মারধর ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। জলদস্যুদের হামলায় গুলিবিদ্ধ রবিউল আলম কোন রকম প্রাণে বেঁচে এলাকায় এসে ঘটনাটি সকলকে অবগত করে।
জলদস্যুদের দল অপহৃত ফিশিং বোটের মালিকগণের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করছে বলে জানান বোট মালিকরা।রাতে এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত বাঁশখালী থানায় ফিশিং বোটের মালিকগণ জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা গেছে। প্রতিবছর শীত মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে জেলেদের কাছ থেকে টোকেনের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। যেসব জেলেরা জলদস্যুদের এসব টোকেন গ্রহণ করে না তাদের মাছ লুট, অপহরণের ঘটনা ঘটে থাকে ফি বছর। বিগত কয় বছরের ইতিহাসে বঙ্গোপসাগরে বাঁশখালীর অসংখ্য জেলের সলিল সমাধি হয়েছে। এ ব্যাপারে বাঁশখালীর বোট মালিক সমিতির নেতা আবুল হোসেন ভুট্টু বলেন, প্রতি বছর জেলেদের ওপর নির্মম অত্যাচার করে জলদস্যুরা। এবছরও শুরু হয়েছে এ ঘটনার মধ্যদিয়ে। কিভাবে এর থেকে রেহাই পাওয়া যায় তার জন্য বর্তমানে আমরা থানা পুলিশের সহযোগিতার জন্য থানায় এসেছি।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সংঘটিত ঘটনার ব্যাপারে বোট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে বিভিন্ন থানাকে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আশা রাখি অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বঙ্গোপসাগরের জলদস্যুদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হবো।
0 মন্তব্যসমূহ