মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনে রাতে চলছে জুয়ার আসর।গত ৮জুলাই পুরো ছনুয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের পক্ষ থেকে জুয়াখেলা,মানব পাচার, নকল স্বর্ণ ব্যবসা, মদ গাঁজা সেবনের আসর, ইভটিজিং, চুরি-ডাকাতিসহ সব অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ করতে মাইকিং করা হয়।এসময় অপরাধীদের অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ করতে ৩দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়।বেঁধে দেওয়া ৩দিন সময়ের মধ্যে সব অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ করে আত্নসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।কিন্তু চেয়ারম্যানের এসব নির্দেশনা তোয়াক্কা করছেনা কিছু প্রভাবশালী মহল।সরকারী দলের রাজনীতির সাথে জড়িত এসব প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় অবাধে চলছে জুয়া খেলার আসর।এম.হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে প্রতি ওয়ার্ডে অপরাধ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।কোথায় কোথায় অপরাধ কর্মকান্ড সংগঠিত হচ্ছে তা চিহ্নিত করতে প্রতি ওয়ার্ডের মেম্ভারদেরও দেওয়া হয়েছে কড়া নির্দেশ।এসবের পরও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছেনা জুয়াখেলা।সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে,খুদুকখালী আবদুল্লার দোকান,ছনুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মফিজুর রহমান হিরুর দোকান ,পূর্ব মধুখালীর সর্বত্র, মাতব্বর পাড়া, ছেলবন বাচা মিয়ার পাড়া, ছালেহ আহমদ সিকদার পাড়ার সব দোকানে দিনে রাতে চলছে জোয়ার আসর।অন্যদিকে দোকানের মালিকরা সরকারি দলের সাথে জড়িত থাকা ও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয়রা।অভিযোগ রয়েছে, জুয়াড়িরা জুয়া খেলে নিঃস্ব হওয়ার পর মদ সেবন করে পরিবারের সদস্যদের উপর চালায় অসহনীয় অত্যাচার।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঁশখালী নিউজকে বলেন ”তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারিনা।প্রতিনিয়ত জুয়াড়িরা জুয়ার টাকা যোগাড় করতে না পেরে পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার করে।” এব্যাপারে জানতে চাইলে ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম.হারুনুর রশীদ বলেন,”আমার পক্ষ থেকে মাইকিং করার পর অপরাধ কর্মকান্ড অনেকটা কমে এসেছে।তবে কিছু এলাকায় এখনো অপরাধ বন্ধ হয়নি।আমরা শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।কোনো রাঘব বোয়ালকে ছাড় দেওয়া হবে না।”চেয়ারম্যান এম.হারুনুর রশীদ ছনুয়ার সব অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ করতে সাংবাদিকসহ সচেতন এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ