মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন:
বাঁশখালীর অনুন্নত জনপদ ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালীর হাজ্বী কালামিয়া পাড়ায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেন দৈনিক সাঙ্গুর স্টাফ রিপোর্টার সাইফি আনোয়ারুল আজিম।২০১০সালে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং "উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরী" নামকরণ করেন।প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে তিনি এই গ্রন্থাগারের পক্ষ থেকে নানা রকম সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।হাঁটি হাঁটি পা পা করে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিলষ্ঠানটি গতকাল শনিবার সরকারী নিবন্ধনভুক্ত হলো।সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি সব তদন্ত কার্যক্রম শেষে সপ্তাহের শনিবার অর্থাৎ লাইব্রেরী খোলা রাখা হয়।জানা যায়,প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রায় ২বছর এই লাইব্রেরীর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে।পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা সাইফি আনোয়ারের নিজ ভূমিতে নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ উপেক্ষা করে চলে লাইব্রেরীর কার্যক্রম।গত বছরে বাঁশখালী উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাপ্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় রোয়ানো ও মোরা'র তান্ডবলীলায় লন্ডভন্ড হয়ে পুরো গ্রন্থাগারটির অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ে।নিমিষেই নষ্ট হয়ে যায় প্রচুর আসবাবপত্র ও প্রচুর বই।তারপরও এসবের কাছে হার মানেন নি লাইব্রেরী কর্তপক্ষ।পুনরায়
অবকাঠামো নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠানিক সকল কার্যক্রম চালিয়ে যান কর্তৃপক্ষ।সর্বশেষ গত সপ্তাহে সরকারী তদন্ত শেষে গতকাল শনিবার চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে জাতীয়করণ হলো এই গ্রন্থাগারটি।
বিগত ৬বছরে যে কার্যক্রম সমুহ পরিচালনা করেছে গ্রন্থগার কর্তৃপক্ষ (ক)এলাকার ৮শতাধিক দরিদ্র শিক্ষার্থীকে ২বছর যাবত প্রতিমাসে শিক্ষার উপকরণ বিতরণ করেছে।
(খ)এলাকার এতিম ও দরিদ্র শিশুদের জন্য ২০১২সালে "উপকূলীয় আদর্শ বিদ্যাপীঠ"নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে।বর্তমানে ৫জন শিক্ষক এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে।তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫জন।
(গ)২০১২সাল থেকে"উপকূলীয় জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা"পদ্ধতি পরিচারনার মাধ্যমে একটি বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছে।বিগত ৪টি বৃত্তি পরীক্ষায় বাঁশখালীর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল/মাদরাসার প্রায় ৫হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
এসমস্ত কার্যক্রম ছাড়াও আরো অনেক সামাজিক,সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।এব্যাপারে জানতে চাইলে উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক,বিশিষ্ট সাংবাদিক সাইফি আনোয়ার বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সকলের
বিগত ৬বছরে যে কার্যক্রম সমুহ পরিচালনা করেছে গ্রন্থগার কর্তৃপক্ষ (ক)এলাকার ৮শতাধিক দরিদ্র শিক্ষার্থীকে ২বছর যাবত প্রতিমাসে শিক্ষার উপকরণ বিতরণ করেছে।
(খ)এলাকার এতিম ও দরিদ্র শিশুদের জন্য ২০১২সালে "উপকূলীয় আদর্শ বিদ্যাপীঠ"নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে।বর্তমানে ৫জন শিক্ষক এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে।তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫জন।
(গ)২০১২সাল থেকে"উপকূলীয় জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা"পদ্ধতি পরিচারনার মাধ্যমে একটি বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছে।বিগত ৪টি বৃত্তি পরীক্ষায় বাঁশখালীর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল/মাদরাসার প্রায় ৫হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
এসমস্ত কার্যক্রম ছাড়াও আরো অনেক সামাজিক,সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।এব্যাপারে জানতে চাইলে উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক,বিশিষ্ট সাংবাদিক সাইফি আনোয়ার বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সকলের
আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে প্রতিষ্ঠানকে বহুদূর এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি।যার পরিশ্রমের সুফল আজ পেলাম।আমাদের গ্রন্থাগারটি সরকারী অনুমোদন পেল।সরকারি তালিকাভুক্ত হওয়াতে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি কর্মপরিধি আরো বাড়বে বলে আমি মনে করি।আমাদের কার্যক্রমে বিগত ৭বছর ধরে যাদের সহযোগিতা পেয়েছি এবং যাদের অবদানে আজ সরকারীভাবে প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধিত হলো;তাদেরকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
0 মন্তব্যসমূহ