বাঁশখালীতে প্রতারকচক্র সক্রিয়

উপজেলায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষ প্রতারকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। কোন না কোন এলাকায় উঠতি যুবক অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো প্রতারক চক্রের হতে আক্রান্ত হচ্ছে। শহরে চাকরি দেয়ার নাম করে এক শ্রেণির প্রতারক বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ব্যাপারে মাসিক আইন শৃংখলা সভায়ও আলোচনা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনিকভাবে তদন্ত করে প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন পৌরসভায় প্রায় লক্ষ মানুষের বসবাস। বাঁশখালীতে গড়ে উঠা প্রতারক চক্রটি সৌদিয়া, মালয়েশিয়া, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে নিয়ে যাওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পার্টনার হিসাবে ভুয়া চেক দিয়ে টাকার অংক বসিয়ে প্রতারণা, ধনাঢ্য ব্যক্তিদেরকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়, নকল স্বর্ণ বন্ধক দিয়ে প্রতারণা, দেশের বিভিন্ন স্থানের গার্মেন্টস্্, ব্যাংক, বীমা, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতারক চক্রটির সদস্যরা চাকুরি দিতে না পারলে প্রথম পর্যায়ে টাকা টাকা ফেরত দেবে বলে অঙ্গীকার করলেও সেই টাকা ফেরত না দিয়ে হুমকি দেয়। শীলকূপ টাইম বাজার এলাকার রশিদ আহমদ নামের এক যুবক দক্ষিণ জলদী গ্রামের চায়ের দোকানের এক কর্মচারীকে সৌদি আরবে চাকুরি দেয়ার নাম করে লক্ষ টাকার স্টাম্প করেছে। বিদেশ না নিয়ে প্রতারক চক্রটি চায়ের দোকানের কর্মচারীকে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিয়েছে। বর্তমানে সে পুলিশের আশ্রয় নিয়েছে। কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরি এলাকায় এক ব্যবসায়ী তার ছেলের চাকুরির জন্য চক্রকে দেড় লক্ষ টাকা প্রদান করেন। এক বছর পূর্বে চাকুরি দেয়ার কথা থাকলেও সেই চাকুরির এখনো খবর নেই। বাঁশখালীতে গ্রামে গ্রামে প্রতারকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ উদ্বিঘœ হয়ে পড়েছে।
কালিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট .. শাহাদত আলম বলেন, মানুষ কত ধরনের প্রতারণায় জড়িত তার কোন হিসেব নেই। সাদাভুয়া স্টাম্প দিয়ে টাকা দেয়া নেয়ার ঘটনাও অহরহ ঘটছে। চাকুরি দেয়ার নামে ঘটনা তো আছেই। কিছুদিন পূর্বে পালেগ্রামের দুই ছাত্রীও প্রতারণার শিকার হয়েছে। ১৭ দিন পর তারা উদ্ধার হয়। প্রতারকদের রুখতে প্রশাসনিক উদ্যোগ দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক এলাকায় প্রতারক রয়েছে। প্রতারকদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে থাকার জন্য বিভিন্ন সভাসমাবেশে বলা হয়ে থাকে। তবুও প্রতারকরা থেমে নেই। প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা মাসিক সভায়ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে অবহিত করা হয় 
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ