মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলমঃ
ফেনীতে খালেদা জিয়ার
গাড়িবহরে হামলার
জন্য বিএনপিকে
দায়ী করেছেন
আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন,
বিশ্বমিডিয়ায় দেখানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে বিএনপি
ফেনীতে সাংবাদিকদের
ওপর হামলা
করেছে।
আজ শনিবার দুপুরে
চট্টগ্রামে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা
আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর স্মরণসভায় সড়ক
পরিবহন ও
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই কথা
বলেন। আনোয়ারা
উপজেলার হাইলধর
ইউনিয়নে বশরুজ্জামান
উচ্চ বিদ্যালয়ের
মাঠে এই
স্মরণসভা অনুষ্ঠিত
হয়। হামলার
জন্য আওয়ামী
লীগকে দায়ী
করা প্রসঙ্গে
মন্ত্রী বলেন,
ফেনীতে যদি
হামলা আওয়ামী
লীগ করে,
তাহলে সাংবাদিকদের
ওপর করবে
কেন? আর
এমন একটি
হামলা যেখানে
বিএনপির একজন
নেতাকর্মীও আহত হয়নি। আসলে বিএনপিই
সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে নিউজ
বড় হওয়ার
জন্য।
সরকারি দল কেন
যেচে পড়ে
অশান্তি ডেকে
আনবে। আমি
জনগণের কাছে
বিচার দিতে
চাই। জনগণকে
বলতে চাই,
এই হামলা
পূর্বপরিকল্পিত। তিনি বলেন, ঢাকায় ফেরার
পথে দুইটা
বাস রাস্তার
উল্টোপাশে দাঁড়িয়েছিল। বিএনপির
শ্রমিকদল খালেদা
জিয়া বেরিয়ে
যাবার পর
বাসগুলোতে আগুন দিয়েছে।
গত সপ্তাহে বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সড়কপথে ঢাকা
থেকে চট্টগ্রাম
হয়ে কক্সবাজারে
রোহিঙ্গা শিবির
পরিদর্শনে যান। যাত্রাপথে ফেনীতে খালেদা
জিয়ার গাড়িবহরে
সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
সড়কপথে ঢাকায়
ফেরার পথে
ফেনীতে দুটি
বাসে অগ্নিসংযোগের
ঘটনাও ঘটে।
খালেদা জিয়া
বিমানে না
গিয়ে কক্সবাজার
ও চট্টগ্রামে
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সড়কপথে গেছেন-এমন অভিযোগও
করেছেন ওবায়দুল
কাদের।
তিনি বলেন, অসুস্থ
খালেদা জিয়া
বিমানে না
গিয়ে ১০
হাজার মানুষকে
ত্রাণের প্যাকেট
দেওয়ার জন্য
চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে এসেছিলেন। তিনি পুরোপুরি
চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের রাস্তা অচল করে
দিয়েছেন। কয়েক
লাখ রোহিঙ্গার
ত্রাণসামগ্রী যাওয়ার পথও তিনি বন্ধ
করে দিয়েছিলেন।
কাদের বলেন,
খালেদা জিয়ার
আগে, সবার
আগে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনাই
রোহিঙ্গা শিবিরে
গেছেন। তখন
খালেদা জিয়া
লন্ডনে বসেছিলেন।
শেখ হাসিনা
যখন রোহিঙ্গাদের
পরিদর্শনের জন্য যান, তার আগেই
খালেদা জিয়া
ভ্যানিটি ব্যাগ
আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে লন্ডনে চলে
যান।
বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে
যাবে-বিএনপি
নেতা মওদুদ
আহমেদের এমন
বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,
যাবে-এটা
কি মওদুদের
মনের কথা
নাকি বিএনপির
মনের কথা?
আমি মির্জা
ফখরুল ইসলাম
আলমগীর সাহেবের
কাছে জানতে
চাই। কারণ বিএনপির মুখে এক
কথা, মনে
আরেক কথা।
তবে বিএনপি
আগামী নির্বাচনে
যদি না
আসে, তাহলে
তাদের অস্তিত্ব
হারিয়ে যাবে।
বিএনপি মুসলিম
লীগের মতো
সংকুচিত হয়ে
যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ