বাঁশখালী নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর ছনুয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের চাঁদাবাজি বন্ধ

মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন: 
সরকারি ঔষধের গায়ে লেখা"গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ,বিক্রয় আইনত দন্ডনীয়"।কিন্তু এই নির্দেশনার বিধি বাম।সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়মের পসরা সাজিয়ে ছিল ছনুয়ার প্রত্যেক ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মীরা।দেখে মনে হবে এযেন তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন ফার্মেসী।এমন অভিযোগের পরপ্রেক্ষিতে ছনুয়ার সকল স্বাস্থ্যগুলো পরিদর্শন করেন বাঁশখালী নিউজের বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন।সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি ভুক্তভোগির অভিযোগসহ একটি রিপোর্ট তৈরী করেন।যে রিপোর্টটি বাঁশখালীর প্রথম ও পূর্নাঙ্গ,সবাধিক পঠিত অনলাইন নিউজ পেপার বাঁশখালী নিউজে প্রকাশিত হয়।যার শিরোনাম ছিল"স্বাস্থ্যকর্মীদের চাঁদাবাজিতে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত ছনুয়ার লক্ষাধিক মানুষ।"গত ২১শে নভেম্বর এই নিউজটি প্রকাশের পর ছনুয়ার সর্বত্র সৃষ্টি হয় তোলপাড়।এ নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে সাড়া দেয় বাঁশখালী স্বাস্থ্যকর্তাসহ উপরিমহল।কর্তৃপক্ষের কড়া ব্যবস্থা গ্রহণে বন্ধ হয়ে যায় ব্যক্তি মালিকানা ফার্মেসীর মত পরিচালনা করা লাগাতার চাঁদাবাজি।রিপোর্ট প্রকাশের পূর্বে প্রত্যেক
রোগির কাছ থেকে ১০-১৫টাকা করে আদায় করা হতো।গতকাল সোমবার ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী মছন ফকির পাড়া স্বাস্থ্য ক্লিনিক সহ ছনুয়ার প্রায় স্বাস্থ্য ক্লিনিকে সেই চিত্র পাল্টে গেছে।রোগিদের দেওয়া হচ্ছেনা গলাধাক্কা।নির্বিগ্নে ঔষুধ নিচ্ছে।সরকারি ঔষুধের বিনিময়ে নাস্তা-পানি,গাড়ি ভাড়ার অজুহাতে ১০-১৫টাকা আদায় থেকে বিরত সব ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ২নং ওয়ার্ড স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ঔষুধ নিতে রোকসানা বেগম বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"কিছুদিন ধরে টাকা আদায় হচ্ছেনা।আমরা সেটার জন্য অনেক খুশি।কিন্তু প্রয়োজনীয় ঔষুধ কম দেওয়া হচ্ছে।"
এব্যাপারে জানতে চাইলে ছনুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মফিজুর রহমান হিরু বাঁশখালী নিউজকে বলেন,"আমার এলাকার মানুষ খুবই দরিদ্র।তারা প্রাইভেট ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষুধ কিনতে পারেনা টাকার অভাবে।তাই তারা সরকারি ক্লিনিক থেকে ঔষুধ নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে।সরকারি ঔষুধের বিনিময়ে টাকা আদায় করলে কোনো রাঘব বোয়ালকে ছাড় দেব না।আমি বিষয়টি এমপি মহোদয়কে অবহিত করেছি।"
এদিকে এলাকার সচেতন মহল জনগুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টটি প্রকাশের জন্য বাঁশখালী নিউজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ছনুয়ার প্রত্যেক ওয়ার্ডে যাতে ভবিষ্যতেও এরকম পরিবেশ বজায় থাকে;তাই তারা এব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ