নিউজ ডেস্কঃ
বাঁশখালীর উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে আবদু শুক্কুরের কন্যা কাশেফা বেগম (২০) গত ৯ দিন ধরে শ^শুরবাড়ি কাহারঘোনা থেকে নিখোঁজ রয়েছে। এ ব্যাপারে পিতা আবদুল শুক্কুর তার কন্যা কাশেফা বেগমের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্বামী, শ^শুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য থানার দায়িত্বরত অফিসার এএসআই নিউটন চাকমা ২২ নভেম্বর থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ থানায় হাজির হননি।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের কালু বলির বাড়ির বাসিন্দা আবদু শুক্কুরের কন্যা মোছাম্মৎ কাশেফা বেগমের সাথে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর পারিবারিকভাবে সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল আলমের ছেলে প্রবাসী আলী আকবরের (৩৩) ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাদের ১১মাস বয়সি একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ১৫ নভেম্বর রাতে কাশেফা বেগম শ^শুর বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। দুই দিন পর স্বামী আলী আকবর বিষয়টি তার শ^শুরকে অবহিত করেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ কাশেফা বেগমের পিতা আবদু শুক্কুর বাদি হয়ে ১৭ নভেম্বর নিখোঁজ কাশেফার স্বামী আলী আকবর, শ^শুর নুরুল আলম, শাশুড়ি মঞ্জুরা বেগমকে দোষী সাব্যস্থ করে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আরো জানা যায়, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য বাদি বিবাদি উভয়পক্ষকে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে সাক্ষী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে ২২ নভেম্বর থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলে বাদি মেয়ে পক্ষ উপস্থিত থাকলেও বিবাদি ছেলে পক্ষগণ থানায় উপস্থিত হননি। ইউপি সদস্য গন্ডামারা আনোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, ২২ নভেম্বর থানায় মেয়ের পিতা আবদু শুক্কুর সাক্ষীদের নিয়ে হাজির হলেও বিবাদিগণ কেউ থানায় হাজির হননি।
0 মন্তব্যসমূহ