ডেস্ক রিপোর্ট, বাঁশখালী নিউজ:
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এতো প্রচেষ্টা নিয়েও প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা যাচ্ছে না। সকালে প্রশ্নপত্র খোলার পর প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এতো প্রচেষ্টা নিয়েও প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা যাচ্ছে না। সকালে প্রশ্নপত্র খোলার পর প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে।
কিছু শিক্ষকরা দিয়ে দিচ্ছে। এজন্য স্মার্ট ফোন পরীক্ষা হলে নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটি
গুরুত্বপূর্ণ কারণ কোচিং বাণিজ্য। কোচিং সেন্টারগুলো থেকে প্রশ্নপত্র
ফাঁসের সম্ভাবনা বেশী থাকে। সে কারণে আমরা সংসদে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে একটি
আইন আনতে চলেছি। এটি পাশ হলে আশা করি হয়তো প্রশ্নপত্র ফাঁস অনেকটা রোধ করা
সম্ভব হবে।
সংসদের ১৮তম অধিবেশনে গতকালের নির্ধারিত
প্রশ্নোত্তর পর্বে ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি
এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেটা (প্রশ্নপত্র ফাঁস)
হয়েছে, তার জন্য আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কঠোর
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় তিনি প্রশ্নপত্র ফঁসে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এরআগেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের আমরা
কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু প্রভাবশালীরা এর
নেপথ্যে থাকায় চাপ দিয়ে কাজ হচ্ছে না। এজন্য কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করা
সম্ভব হচ্ছে না। আইন হলে হয়তো প্রশ্নপত্র ফাঁস অনেকটা রোধ করা সম্ভব হবে।
এরআগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের
বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমপি কামাল আহমেদের এক লিখিত প্রশ্নের
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী
ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এদের বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে। আইন
শৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে এরূপ কাজের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে তাদের
শাস্তির ব্যবস্থা করছে। এছাড়া যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে অপপ্রচার চালায়
তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা করা হয়েছে।
এসময় মন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিজি
প্রেসে মূদ্রণে কর্মররত কর্মীদের গোয়েন্দা নজরদারীতে রাখা হয়েছে,
শিক্ষকদের নৈকিতা ও সততার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, কোচিং সেন্টারের উপর
নজরদারী বাড়ানো হচ্ছে, এ বিষয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা সীমিত রাখা,
দূরবর্তী কেন্দ্র বাতিল বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ক্লাস
রুম বা পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তবে যদি কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেন তা
হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে পরীক্ষার হলে কোন ভাবেই
মোবাইল ফোন নেয়া যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে একটি নন স্মার্ট মোবাইল সেট (
ফটোঅপশন বাদে) অফিস কক্ষে রাখা যাবে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: কারেন্টনিউজ ডটকমডটবিডি
সূত্র: কারেন্টনিউজ ডটকমডটবিডি
0 মন্তব্যসমূহ