বাঁশখালীর লটমনিতে সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় পাহাড়ী এলাকায় বসবাসকৃত জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ !

মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বন বিভাগের সম্পত্তি পাহাড়ী এলাকায় ১৯৯১ সাল হইতে বসবাসকৃত সাধারণ মানুষের কাছে চাঁদা দাবী করছে স্থানীয় এক সন্ত্রাসী দল, চাঁদা না দিলে জায়গা জায়গা দখল করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী দল। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানায় ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করছে ভুক্তভুগীরা।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার সাধানপুর ইউনিয়নের লটমনি গ্রামের মৃত আহমদ কবিরের পরিবারের সদস্যগণ ১৯৯১ সাল হইতে লটমনি মৌজায় বিভিন্ন প্রজাতে চারা রোপন ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জন বসতি করে আছে। হঠাৎ করে একই ইউনিয়নের দুয়ারী পাড়ার নুরুন্নবী, ইউসুফ, আবদুল খাইর (মাহাদ নুর) সহ এক দল সন্ত্রাসী বসতিকৃত পরিবারের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা বাদী করেন। চাঁদা দিতে না পারায় পাহাড়ী এলাকায় গিয়ে জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে মৃত আহমদ কবিরের পরিবারের সদস্যদের মার ধর করেন সন্ত্রাসী দল। পরে বাধার মুখে পড়ে জায়গা দখল করতে না পেরে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসী দল।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, লটমনি গ্রামের মৃত আহমদ কবিরের ছেলে মোঃ সিরাজ বাদী হয়ে সাধনপুর ইউনিয়নের দুয়ারী পাড়া মৃত মকবুল আহমদের ছেলে নুরুন্নবী, মৃত সোলতান আহমদের ছেলে ইউসুফ, লঠমনির রফিক আহমদের ছেলে আবদুল খাইর (মাহাদ নুর), একই গ্রামের মোঃ আনছারের স্ত্রী হোসনে আরা বেগমকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী মোঃ সিরাজ বলেন, বিবাদীগণ জোর জুলুমবাহ, সান্ত্রাসী প্রকৃতির ভূমিদস্যু লোক, তাদের পরে জায়গা জোর পূর্বক দখল করা তাদের নেশা ও পেশা। বন বিভাগের তপশীলোক্ত সম্পত্তিতে ১৯৯১ সালে প্রলংকারী ঘুর্ণিঝড়ের পরবর্তীতে বন বিভাগের মৌখিক আদেশক্রমে গাছ পালা রোপন সহ বসত বাড়ী নির্মাণ করে ভোগ দখলে নিয়োজিত আছি আমরা। ১৯৯৯ সালে জনৈক রুহুল আমিন গংকরা বাধা প্রদান করে তিনি বাদী হয়ে বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিক্ট্রেট আদালতে সি.আর মামলা দায়ের করেছে, মামলা নং সি.আর ২৮/০৯। মামলাটি বাদী পক্ষে রায় হয়। রায়ের পরবর্তীতে তপশীলোক্ত সম্পত্তি বাদীর পিতা আহমদ করিব ও ফিরেজের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দখলে নিয়োজিত আছি।
২০১৫ সালে বিবাদী পক্ষ বাদীর দখলী জায়গা দখল করার উদ্দ্যেশে তপশীলোক্ত জাযগায় গিয়ে বাদীর পরিবারের টিনে চাইনি একটি বাড়ী ভাংচুর করে লুট করে নিয়ে যায়, বিবাদীর পক্ষ লোক জনরা। বিষয়টি নিয়ে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বাদীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা খালাস পায়।
পরে বিবাদী পক্ষ তপশীলোক্ত জায়গার পেছেছে মর্মে এক ভুয়া দাবি তুলে।
বন বিভাগের তপশীলোক্ত সম্পত্তিতে বাদীর পরিবারের সদস্যরা বসবাস করতে হলে বিবাদী কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জোর বাদী করেন। বাদী এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে না পারায় ৪ নভেম্বর শনিবার বিকালে বিবাদীর পক্ষ এক দল সন্ত্রাসী বাদীর দখলীয় জায়গা জোর দখল করার উদ্দেশ্যে বাড়ী গিয়ে বৃদ্ধ মহিলা সহ পরিবারের সদস্যদের এলাপাতাড়ি মার ধর করেন। বাধার মুখে পড়ে বিবাদীর পক্ষের সন্ত্রাসীরা জায়গা দখল করতে না পেরে চলে যায়। বিবাদীগণ হত্যা সহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বাদী আরো জানান, বিবাদীগণ জোর জুলুমবাহ, সান্ত্রাসী প্রকৃতির ভূমিদস্যু লোক যে কোন সময় জোর পূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই তপশীলোক্ত সম্পত্তিতে ১৯৯১ সাল হইতে আমরা বসবাস করে আসছি এমন অনকে তথ্য সরকারি তালকিায় রয়ছে।ে  যমেন ইউনয়িন পরষিদরে চৌকদিারী খাজনা, বদ্যৈুতকি মটিার সহ আরো অনকে কছিুত।ে
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা বলেন, লটমনিতে বন বিভাগের সম্পত্তি স্থানীয় কয়েক জনের মধ্যে ভোগ দখল নিয়ে কয়েক বছর যাবৎ  বিরোধ চছে আসাছে। চাঁদাবাজির বিষয়টিতো শুনি নেই, তবে ভোগ দখল নিয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি, এটা তদন্তধীন রয়েছে। ঘটনার সত্যাতা পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ