নিজের চাহিদা বেশী হয়ে গেলে রাজনীতিতে আপনার অবদান কমে যাবে

লালদিঘী ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলে আমি স্টেইজে কখনো ১ মিনিট অবস্থান করিনি।অনুষ্ঠানের শুরুতে সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে বক্তব্য দিয়ে সাধারন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সাথে মিশে যায়।আমি সবসময় মনে করেছি বীর মহিউদ্দিন আমাদের উদ্দেশ্যে করে বক্তব্য রাখেন।আমরা তার পেছনে দাড়িয়ে থাকলে তিনি কার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন?
কদিন আগে সাধারন মৎসজীবিদের শোকসভায় আমি উপস্থিত হয়েছিলাম অনুষ্ঠান শুরুর বহু আগে।মাইকে বারবার নাম ধরে আয়োজকরা অনুরোধ করছিলো স্টেইজে যাওয়ার জন্য,আমি যায়নি।প্রধান অতিথি ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাই সভায় আসলেও আমি নিচে দাঁড়িয়ে বক্তব্য শুনেছি।আমি মনে করেছি অতিথির পাশে আয়োজকদের সুযোগ দেওয়া আমার কর্তব্য,যেহেতু অনুষ্ঠানটি সাধারন মৎস্যজীবীদের পোগ্রাম সেহেতু আমরা গ্লামার নষ্ট করতে পারিনা।
ক'দিন আগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করলাম ছাত্রলীগ।অনেকে উপস্থিত হতে পারেননি শুধু নেতাকে সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানে আসবেন ভেবে।কিন্তু বাদে আসর অনুষ্ঠান শুরু করতে হয়েছে আমাদের।আমাদের মনে রাখা উচিত নিজ সংগঠনের কর্মসূচীতে আমরা অতিথি নয় আমরা আয়োজক।আমরা অতিথিদের বরন করবো,প্রটোকলের কাজে থাকলে নিজেদের মূল কাজকে অবহেলা করলাম।
কথাগুলো কাউকে মনে কষ্ট দিতে বলছিনা আমি।স্বাদ আহ্লাদ সবাই কম বেশী পোষন করি।এই সব স্বাদ আহ্লাদ আমাদের নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের পর থাকা উচিত।আমারও ইচ্ছে করে নেতার সাথে একই গাড়িতে চড়তে,একই সভায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে।কিন্তু আমি জানি এ কাজগুলো করতে গেলে সবাই ঐদিকে ঝুকবে।কাজের কাজ কিছু হবেনা বরং কর্মসূচীর উদ্দেশ্য নষ্ট হবে।
প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বীর মহিউদ্দিনের পরিবারের সাথে দেখা করতে আসছে।আমরা সবাই মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাইকে গতকাল থেকে বিরক্ত করছি।তিনি সবার মন রক্ষা করতে পারবেন না,যেহেতু পারবেন না সেহেতু মন খারাপ হতে পারে আমাদের।তাই নিজের মন খারাপ না করতে চাইলে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকতে পারি।অনেকে মন খারাপ করে আছেন দেখে কথাগুলো বলছি।
রাজনীতি মানে মহত্ব,রাজনীতি মানে আত্মত্যাগ, রাজনীতি মানে নিজে কি পেলাম তা চিন্তা না করে কতটুক দিতে পারলাম তাই চিন্তা করা।
আর এটুক ধারন করতে পারলে দেখবেন রাজনীতি খুব সুন্দর,রাজনীতি মহাপবিত্র।
লেখকঃ নুরুল আজম রনি (সাধারণ সম্পাদক) চট্টগ্রাম মহানগর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ