জাতীয় ভিটামিন ‘এ’
প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ডে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) নগরী ও জেলার
৬-৫৯ মাসের ১২ লাখ ৮১ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
সকাল
আটটা থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনায় নগরীতে ও সিভিল
সার্জন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে উপজেলা পর্যায়ে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন
শুরু হয়। বিরতিহীন বিকেল চারটা পর্যন্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সদরঘাট সড়কের চসিক মেমন হাসপাতাল ও হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
চসিকের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী
কমিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক বাংলানিউজকে জানান, ৪১ ওয়ার্ডে স্থায়ী ও
অস্থায়ী ১২৮৮টি কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী ৮০ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের
এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’
ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি জানান, ভিটামিন
‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (দ্বিতীয় রাউন্ডে) সরকারি, বেসরকারি সংস্থার
কর্মকর্তা ছাড়াও চসিকের ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, জোনাল মেডিকেল অফিসার,
মেডিকেল অফিসার, ইপিআই টেকনিশিয়ান, সুপারভাইজার, স্বাস্থ্য সহকারী, টিকাদান
ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস
ক্যাম্পেইনে নগরীর ৭৭ হাজার ১২৬ শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস
বয়সী ৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৪৭ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
খাওয়ানো হয়েছিল। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী
বাংলানিউজকে বলেন, জেলার সব উপজেলায় ৬-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৭
শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। এর মধ্যে ৬-১১
মাস বয়সী ৮৩ হাজার ৫০৫ এবং ১২-৫৯ মাসের ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭২ শিশু রয়েছে।
২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে একজন করে তদারককারী, ৬১০ জন স্বাস্থ্য সহকারী ৫
হাজার ৪৯ টিকা কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে টিকা বিকেল চারটা পর্যন্ত ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
প্রতিটি কেন্দ্রে দুজন করে স্বেচ্ছাসেবক
থাকবেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি শিশুদের ছয় মাস
পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো, লাল-হলুদ-সবুজ রঙের ফলমূল, শাক-সবজি খাওয়ানোর
পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুর অভিভাবকদের। তিনি বলেন, ভিটামিন এ শিশুদের অন্ধত্ব
প্রতিরোধ করে, দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মস্তিষ্কের
বিকাশ ঘটায়।
গত ৫ আগস্ট ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের
প্রথম রাউন্ডে জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৮২ হাজার ৬৯১ এবং ১২-৫৯ মাসের ৬ লাখ ৬১
হাজার ৮১৬ শিশুকে টিকা খাওয়ানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে
যথাক্রমে ৯৯ দশমিক ২১ ও ৯৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।
সুএঃ চট্টগ্রাম প্রতিদিন।
0 মন্তব্যসমূহ