সাধারন পরিবার থেকে রাজনীতিতে আসা কি অপরাধ?

আমি যখন রাজনীতি বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি শুরু করি। দীর্ঘদিনই রাজনীতির মাঠে ছিলাম। আমার পৈত্রিক নিবাস ভোলা জেলার হাসান নগর ইউনিয়নে। আমি একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী হওয়া সত্বেও রাজনৈতিক কারণে আমার জানামতে অন্য কোন দলের কোন নেতা-কর্মীর মনে কষ্ট দিয়েছি বলে মনে পড়ে না।আমি আমার রাজনৈতিক অবস্থানে থেকে সব রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীর সাথে সর্বদা সুসম্পর্ক বজায় রেখেছি। আমি যখন ব্যবসা শুরু করেছি সেখানেও আমার এলাকার মানুষের কর্মের যোগান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার ইউনিয়নে সকল সামাজিক এবং মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নে আমি সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আমার ব্যক্তিগত জীবনে আমার এলাকায় আমার জানামতে কখনো কোন অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হইনি এবং এহেন কাজে কাউকে সহযোগিতাও করিনি। আমি ব্যবসায়ীক কারনে  অনেকদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার পর আমার বড় ভাইদের কথা মতে আমার  প্রিয় দল জাতীয় পার্টিতে আবার সক্রিয় হলাম। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ভোলাসহ বাংলাদেশের উন্নয়নের জনক সাবেক সফল রাষ্টূপতি জাতীয়  পার্টির মাননীয়  চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্যারের নির্দেশে  ভোলা জেলায়  জাতীয় পার্টির দলীয় প্রচার- প্রাচরনা শুরু করি  । সেই মোতাবেক পল্লীবন্ধুর ছবি সম্বিলিত পোস্টার ও ব্যানার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান এর বিভিন্ন স্থানে টানানো হয়। বড়ই পরিতাপের বিষয় হল সব জায়গায় ব্যানার, পোস্টার  অক্ষত অবস্তায় থাকলেও  আমার নিজ ইউনিয়নে হাকিমউদ্দিন বাজারে  ওয়ার্ড  আওয়ামীলীগের  সভা পতি সাধারন সম্পাদক এর নেতৃত্বে    পল্লী বন্ধুর ছবি সম্বিলিত দুই টি  ব্যানার নামিয়ে ফেলা হয়।  আমি তা জানতে পেরে আমি ওয়ার্ড এর  সাধারন সম্পাদক  হানিফ মালকে ফোন করে বলি যে যে নেতা ভোলার এতো উন্নয়ন করেছে তার  ব্যানার কেন নামালেন?   উনি আমাকে বলল যে আপনি এমপি মহোদয়ের সাথে কথা বলুন, উনি বললে আমি আবার ব্যানার লাগিয়ে দিব। আমার মনে হয়না এমপি মহাদয় বিষয় টি জানে না আমি এমপি হতে যাইনি। আমি একটি পার্টি করি সেই পার্টির প্রচারের স্বার্থেই আমার এই প্রচারণা। আমি জানি জাতীয় পার্টি হতে নির্বাচন করলে এমপি হওয়ার মতো অবস্থা আমাদের এলাকায় এখনো হয়নি।  পল্লী বন্ধু এরসাদ স্যার  বললেন যে জাতীয় পার্টির আমলে ভোলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। একসময় এই এলাকায় জাতীয় পার্টির ব্যাপক সমর্থন ও ছিল। দীর্ঘদিন দলীয় কার্যক্রম না থাকায় পার্টির নেতা কর্মীরা নিষি্ক্রয় হয়ে পড়েছে।কেউবা অন্য দলে চলে গিয়েছে। জাতীয়
 পার্টিকে  উজ্জ্বীবিত করার লক্ষ্যে ৩০০ আসনে  নির্বচন করার ঘোসনা দিয়েছেন পল্লী বন্ধু এরশাদ।
 সেই লক্ষে  ভোলায় জাতীয় পার্টির পক্ষে  কার্যক্রম শুরু করি।
জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান সাবেক সফল রাষ্ট্র পতির  আমলে ভোলায় যে উন্নয়ন হয়েছে  একটি  বিদ্যুৎ কেন্দ্র , সার্কিট হাউজ,বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামাল  বাস টার্মিনাল শিশুপার্ক, তিন উপজেলায় তিনটি ডাক বাংলা,  ভোলা চরফ্যাশন রাস্তা,ভোলা নতুন বাজার  সারা বাংলাদেশের টিউবওয়েল বাজেটের তিনের এক ভাগ ভোলায় দিয়েছেন, ভোলা মহাকুমাকে  আপনি জেলা করেছেন ভোলা জেলায়  সাতটা উপজেলা করেছেন, ভোলায় আপনার আমলে সুডিয়াম লাইট  লাগিয়েছেন, ভোলা বেরিবাধ করছেন, স্যার মরহুম নাজিউর রহমান মন্জু ভোলার জন্য যা চেয়েছেন অবহেলিত দ্বীপ বিদায় আপনি না বলেননি  সার পার্টি যদি কোন যোটে থাকে তা হলে  আমাদের  ভোলায় যেকোন আসনে  যদি  যোট থেকে জাতীয় পাটির একজন প্রাথী  দেন  আমরা সবাই মিলে আমাদের ঐ প্রাথীর পক্ষে কাজ করবো   আমরা যারা  জাতীয় পাটি করি আমরা একটা পরিবার আপনি হলেন সেই পরিবারের অভিভাবক আপনার  প্রতি আমাদের আস্তা এবং বিশ্বাস  আছে আপনি যাকে লাঙ্গল  দিবেন আমরা সবাই তার হয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রাথীকে আমারা জিতিয়ে আনবো স্যার আমাকে কথা দিয়েছেন যদি জাতীয় পাটি কোন  জোট থাকে   আমাদের জন্য একটা আসন চেষ্টা করবেন আমরা এবং আমি জাতীয় পাটির একজন সামান্য  কর্মী হিসাবে  জাতীয় পাটির সবাই কে সাথে নিয়ে সে লক্ষে জাতীয় পাটিকে আগামি নির্বাচনের আগে পুরা জেলায় সুসংঠিত করবো স্যারের কথা মতে আমার প্রাঁচারনা
আমাদের পার্টির অভিভাবক পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ স্যারের সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। আমি বিশ্বাস করি পোস্টার নামিয়ে পল্লী বন্ধুর সেই উন্নয়ন কারো মন থেকে মুছে দেয়া জাবেনা     যে মানুষ টি এই অবহেলিত দিপ কে  উন্নয়নের শিখরে পোঁচে  দিয়েছেন ?
      রাজনৈতিকবিদরা বলে রাজনীতি হলো একটি কৌশলের  বিষয় আজ দেখি সেখানে পেশীশক্তির ব্যবহার হচ্ছে যাহা একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে আমার মেনে নিতে  কষ্ট হয়।
লেখকঃ মিজানুর রহমান, জাতীয় যুব সংহতি নির্বাহি কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ