বুধবার কক্সবাজারের
বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরি পরিদর্শন করে তিনি বলেন, জাতিগত নিধনের জন্যই মিয়ানমারে
রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে তাড়ানো হয়েছে।
“রোহিঙ্গাদের
স্বদেশে ফেরত পাঠানো ও নিরাপদে বসাবসের জন্য আন্তর্জাতিক সব মহলের একযোগে কাজ করা জরুরি।”
রোহিঙ্গাদের
দুর্দশা নিজের চোখে দেখতে
দুই দিনের সরকারি সফরে
সোমবার রাতে ঢাকা পৌঁছান
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার
ঢাকায় মিটিং-সিটিং শেষে বুধবার বেলা ১১টার দিকে উড়োজাহাজে
কক্সবাজার আসেন তিনি।
বিমান বন্দর থেকে
শরণার্থী শিবিরে গিয়ে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দুটি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করে দুটি
অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করেন, রোহিঙ্গাদের খাবার বিতরণ করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ সরকারের কর্মকর্তারা তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের সময়
তার সঙ্গে ছিলেন।
গত অগাস্টের শেষ দিকে মিয়ানমারের
রাখাইন রাজ্যে সেদেশের সেনাবাহিনী দমন অভিযানে নামলে
কয়েক দশকের পুরনো রোহিঙ্গা
সঙ্কট নতুন মাত্রা পায়। জাতিসংঘ
ওই অভিযানকে বর্ণনা করে জাতিগত
নির্মূল অভিযান হিসেবে।
গত সাড়ে তিন মাসে
সাড়ে ছয় লাখের বেশি
রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত
পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।
বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে প্রবেশ
করা আরও চার লাখের
মত রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক
ধরে অবস্থান করছে কক্সবাজারের শরণার্থী
শিবিরগুলোয়।
রোহিঙ্গাদের ওপর এই নিপীড়ন
বন্ধের দাবিতে শুরু থেকেই
দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে ওআইসির বর্তমান
চেয়ার তুরস্ক। দেশটির ফার্স্ট লেডি
এমাইন এরদোয়ান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত
কাভুসগলু গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে
এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে গেছেন।
বাংলাদেশ সফর শেষে বুধবারই
কক্সবাজার থেকে তুরস্কের উদ্দেশে
রওনা হওয়ার কথা রয়েছে
বিনালি ইলদিরিমের।
সুত্রঃ
0 মন্তব্যসমূহ