নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম বিভাগকে ভাগ করে আলাদা আরও একটি বিভাগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। মন্ত্রণালয় থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়কে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা চট্টগ্রামকে ভাগ করে নতুন বিভাগের প্রক্রিয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুুল মান্নান এ বিষয়ে গতকাল পূর্বকোণকে বলেন, ‘কুমিল্লা জেলা নিয়ে নতুন বিভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আগে থেকে প্রসেসিং চলছে। সরকার ছোট ছোট বিভাগ করতে চাচ্ছে। সেই হিসাবে নতুন বিভাগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন বিভাগ চট্টগ্রাম থেকে বড় হয়ে যাচ্ছে। সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
চট্টগ্রাম কক্সবাজার বান্দরবান খাগড়াছড়ি রাঙামাটি তিন পার্বত্য জেলা, কুমিল্লা ফেনী লক্ষীপুর চাঁদপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নোয়াখালী এই ১১ জেলা নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত। এই ১১ জেলাকে দুই ভাগ করে আলাদা বিভাগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত নতুন বিভাগে চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে বহাল থাকবে চট্টগ্রাম বিভাগ। অপর ৬ জেলা কুমিল্লা ফেনী লক্ষীপুর চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নোয়াখালী নিয়ে আলাদা বিভাগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। নতুন বিভাগের নামকরণ করা হবে ‘মেঘনা’।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্বকোণকে বলেন, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা এসেছে। কিন্তু এখনো লিখিত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। লিখিত নির্দেশনা পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কমিশনার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ঢাকার পর হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগ। কিন্তু প্রস্তাবিত নতুন বিভাগের আয়তন ও জনসংখ্যা চট্টগ্রাম বিভাগের চেয়ে বড় হয়ে যাবে। এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, বিভাগ বিভাজনে চট্টগ্রাম বিভাগ ছোট হয়ে যাবে। প্রশাসনিক কার্যক্রমও অনেকটা গুটিয়ে যাবে। কারণ তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আলাদা মন্ত্রণালয় রয়েছে। শান্তিচুক্তির শর্ত মতে তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামগ্রিক বিষয় দেখভাল করে পার্বত্য জেলার উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা পরিষদ। এতে জেলা প্রশাসকের কার্যক্রম অনেকটা সীমিত। সেই হিসাবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যক্রমও একই। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার–এই দুই জেলা ছাড়া তিন পার্বত্য জেলার কার্যক্রম তদারকিও অনেকটা গৌণ হয়ে পড়বে।
তবে নতুন বিভাগ হওয়ার পর জনদুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে। জনগণের সুবিধা হবে। বিভাগীয় সমন্বয় সভা, জনপ্রতিনিধিদের সভা, নির্বাচন কার্যক্রম, শপথ অনুষ্ঠান অর্থাৎ বিভাগীয় পর্যায়ের কার্যক্রম বিকেন্দ্রীভূত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ সংশ্লিষ্ট জেলার লোকজনকে আর চট্টগ্রামে আসতে হবে না। এছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকা–ে আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তবে নতুন বিভাগ গঠন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, ২০১৮ সাল হচ্ছে নির্বাচনী প্রস্তুতির বছর। এ নিয়ে মানুষের ক্ষোভও থাকতে পারে। নোয়াখালী জেলা কুমিল্লার অধীনে যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। সবমিলে নির্বাচনের আগে হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।
সূত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণচট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুুল মান্নান এ বিষয়ে গতকাল পূর্বকোণকে বলেন, ‘কুমিল্লা জেলা নিয়ে নতুন বিভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আগে থেকে প্রসেসিং চলছে। সরকার ছোট ছোট বিভাগ করতে চাচ্ছে। সেই হিসাবে নতুন বিভাগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন বিভাগ চট্টগ্রাম থেকে বড় হয়ে যাচ্ছে। সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
চট্টগ্রাম কক্সবাজার বান্দরবান খাগড়াছড়ি রাঙামাটি তিন পার্বত্য জেলা, কুমিল্লা ফেনী লক্ষীপুর চাঁদপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নোয়াখালী এই ১১ জেলা নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত। এই ১১ জেলাকে দুই ভাগ করে আলাদা বিভাগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত নতুন বিভাগে চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে বহাল থাকবে চট্টগ্রাম বিভাগ। অপর ৬ জেলা কুমিল্লা ফেনী লক্ষীপুর চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নোয়াখালী নিয়ে আলাদা বিভাগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। নতুন বিভাগের নামকরণ করা হবে ‘মেঘনা’।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্বকোণকে বলেন, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা এসেছে। কিন্তু এখনো লিখিত কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। লিখিত নির্দেশনা পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কমিশনার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ঢাকার পর হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগ। কিন্তু প্রস্তাবিত নতুন বিভাগের আয়তন ও জনসংখ্যা চট্টগ্রাম বিভাগের চেয়ে বড় হয়ে যাবে। এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
একাধিক সূত্র জানায়, বিভাগ বিভাজনে চট্টগ্রাম বিভাগ ছোট হয়ে যাবে। প্রশাসনিক কার্যক্রমও অনেকটা গুটিয়ে যাবে। কারণ তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আলাদা মন্ত্রণালয় রয়েছে। শান্তিচুক্তির শর্ত মতে তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামগ্রিক বিষয় দেখভাল করে পার্বত্য জেলার উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা পরিষদ। এতে জেলা প্রশাসকের কার্যক্রম অনেকটা সীমিত। সেই হিসাবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যক্রমও একই। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার–এই দুই জেলা ছাড়া তিন পার্বত্য জেলার কার্যক্রম তদারকিও অনেকটা গৌণ হয়ে পড়বে।
তবে নতুন বিভাগ হওয়ার পর জনদুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে। জনগণের সুবিধা হবে। বিভাগীয় সমন্বয় সভা, জনপ্রতিনিধিদের সভা, নির্বাচন কার্যক্রম, শপথ অনুষ্ঠান অর্থাৎ বিভাগীয় পর্যায়ের কার্যক্রম বিকেন্দ্রীভূত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ সংশ্লিষ্ট জেলার লোকজনকে আর চট্টগ্রামে আসতে হবে না। এছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকা–ে আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তবে নতুন বিভাগ গঠন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, ২০১৮ সাল হচ্ছে নির্বাচনী প্রস্তুতির বছর। এ নিয়ে মানুষের ক্ষোভও থাকতে পারে। নোয়াখালী জেলা কুমিল্লার অধীনে যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। সবমিলে নির্বাচনের আগে হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।
0 মন্তব্যসমূহ