হঠাৎ দেশ ছাড়ার কারণ কী?
কোনোই কারণ নেই। প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল
দেশের বাইরে কোথাও গিয়ে কিছুদিন বেড়িয়ে আসব। নিজের একটা পরিবর্তন আসবে।
কিন্তু পরপরই হুট করে দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলি। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই
সংসারে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব নিয়ে বেশ কিছুদিন অস্থিরতায় ছিলাম। তাই মনে
হলো, বাইরে থেকে কিছুদিনের জন্য বেড়িয়ে এলে নিজের মধ্যে স্থিতিশীলতা আসবে।
তা ছাড়া ভিসাটাও যেহেতু ছিল, তাই চলে এলাম।
কত দিন থাকবেন কানাডায়?
বছর দুয়েক। নতুন করে নিজেকে সাজানোর চেষ্টা করব এখানে। যদি ভালো লেগে যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এখানে স্থায়ী হওয়ারও ইচ্ছা আছে।
প্রায় তিন মাস হলো কানাডায়। ওখানে কী করছেন?
আপাতত কিছুই করছি না। মেয়ে ওয়ারিশাকে একটি ফরাসি স্কুলের
স্ট্যান্ডার্ড থ্রিতে ভর্তি করিয়েছি। সকালে স্কুলে নিয়ে যাই, আবার বিকেলে
স্কুল থেকে নিয়ে আসি। আপাতত এভাবেই সময় কাটছে।
নিজে কিছু করবেন না?
আপাতত তো মেয়ের স্কুলে আনা-নেওয়া নিয়েই আছি। শিগগিরই আমি
নিজেও ফরাসি ভাষা শেখার জন্য কোর্সে ভর্তি হব। কোর্স শেষ করে এখানকার কোনো
একটা টেলিভিশন স্টেশনে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা।
সব মিলিয়ে কেমন কাটছে সময়?
খুব ভালো কাটছে। ছুটির দিনে মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায়
ঘুরছি। এখানে শপিংয়ে বা বেড়ানোর সময় বাঙালিদের সঙ্গে দেখা হয়। তাঁরা কাছে
এসে কথা বলেন, আমার অভিনয় নিয়ে প্রশংসা করেন, অটোগ্রাফ নেন। খুব ভালো লাগে।
নিয়মিত অভিনয় করি না, তারপরও দর্শক যে আমাকে মনে রেখেছেন, ভাবলে জীবনটা
সুন্দর মনে হয়।
বাংলাদেশে থাকতে তো মাঝেমধ্যে দুয়েকটি নাটকে কাজ করতেন। এখন অন্য দেশে চলে গেলেন। অভিনয় তো বন্ধই হয়ে গেল...
বাংলাদেশে থাকতে নানা ধরনের সমস্যায় জীবনকে পার করতে
হয়েছে। ফলে নাটকে ঠিকমতো সময় দিতে পারিনি। এখন দেশের বাইরে আমি। নতুন করে
নিজেকে গড়ছি। আগের সেই সমস্যাগুলো নেই। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গিয়ে
বাংলা নাটকের শুটিং হচ্ছে। কানাডায় এসে কোনো পরিচালক আমাকে নিয়ে কাজ করতে
চাইলে খুশি হয়েই কাজ করব।
সবশেষ কী নাটকে কাজ করেছেন?
দেশ ছেড়ে আসার আগে শেষ কাজ করেছি পারভেজ আমিনের এক ঘণ্টার নাটক একটি নীল কুয়াশার মৃত্যু। সহশিল্পী ছিলেন সজল। এটি গত ঈদুল আজহায় এনটিভিতে প্রচারিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকার: শফিক আল মামুন, প্রথমআলো
0 মন্তব্যসমূহ