কাজী আরিফ আরিয়ান,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
শেষ হলো ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। রবিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় সোয়া ১১টায়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী চলা মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের মাওলানা হাফেজ মো. জোবায়ের। তিনি বাংলায় মোনাজাত করেন।
কয়েক বছর ধরে ভারতের মাওলানা সাদ ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করলেও এবার তাঁর পরিবর্তে বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের হাসান আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। ইজতেমা ময়দানে বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত পরিচালনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ইজতেমা প্রাঙ্গণে সশরীরে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন থেকে আখেরি মোনাজাতে শরিক হন।
এদিকে আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে রোববার ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে এরপরও ভোরের কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে মোনাজাতে শরিক হতে দলে দলে হাজারো মানুষ পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে পৌঁছান।
লাখো মানুষ দুই হাত তুলে অনুতাপের অশ্রুতে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। কামনা করেছেন দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে বহু নারীও এসেছেন মোনাজাতে অংশ নিতে। তবে ময়দানে ঢোকার অনুমতি না থাকায় তারা আশপাশের বিভিন্ন কারখানা ও আবাসিক ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে এতে শরিক হন। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ লোক মুনাজাতে অংশ নেয় বলে ধারণা করা হয়েছে।
ইজতেমার ২য় অংশ শুরু হবে ১৯ জানুয়ারি।
0 মন্তব্যসমূহ