নিজেস্ব প্রতিবেদনঃ
প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য কাজ করা বীরত্বের এবং সম্মানের। ৩ দশকের বেশি সময় ধরে এই মহান কাজ করে যাচ্ছেন বীর চট্টলা'র বাশঁখালীর কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষা সংগঠক, কলামিস্ট আলহাজ্ব মুজিবর রহমান।
বাশঁখালী উপজেলায় স্কুল, কলেজ, সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পোষ্ট অফিসে জমিদান ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো বাহারছড়া-রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়,পশ্চিম বাশঁখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজ।
আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান বাশঁখালী উপজেলা'র বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত রত্নপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Facebook-এ তার প্রতিষ্ঠিত বাহারছড়া-রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও তার মরহুম পিতা মাষ্টার ছাবের আহমেদ কে জড়িয়ে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
সাম্প্রতিক উক্ত বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলেছেন আমাদের প্রতিনিধি। মুজিবুর রহমান বক্তব্য'র সারাংশ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা--
অামি facebook ব্যবহার করি না। সে সময় অামার নেই। অামার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনোকষ্ট সহকারে অামাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। সকলের ভ্রান্তি নিরসনে সংক্ষেপে নিম্নরূপ বলতে পারি--
এলাকার তরুণদের মধ্যে facebook সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের প্রবণতা দেখে অামি অানন্দিত, তৃপ্ত। বাহারছড়া রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাপারে তাদের অাগ্রহ প্রশংসনীয়।।। তরুণদের উদ্যম ও শ্রম কাজে লাগাতে পারলে সমাজ ও জাতি দ্রুত এগিয়ে যাবে। এই সাফল্য অর্জন করতে চাইলে জ্ঞান অর্জন করতে হবে, উশৃঙ্খল মনোভব পরিহার করতে হবে, ধৈর্যশীল হতে হবে।
সম্প্রতি স্কুল, অামি এবং অামার বাবাকে নিয়ে facebook-এ কয়েকটি ছেলে যা কুৎসা রটনা করেছে এটা অজ্ঞতা ও হীনমন্যতার পরিচয়। ব্যক্তিগত অাক্রোশে অসত্য কুৎসা রটনা করে অন্যের সামান্য ক্ষতি করা যায়। কিন্তু এতে নিজের জীবন ধংসে নিপতিত হয়। অামার এলাকার কোন সন্তানের অভিশপ্ত জীবন অামি কামনা করি না।
সকলের জানা উচিত
১. সময় হলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বের হবে। এই বিদ্যালয়ের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও দলিল অাছে। এলাকার জনগন চাইলে অামরা একটি প্রদর্শনী সভা করতে পারি।
২. অামার বাবার স্মরনিকার উদ্যোক্তা ছিলেন, প্রয়াত অামীর হোসাইন মেম্বার। অামার বাবার বিষয়ে বর্ণিত প্রত্যেকটা তথ্যর দালিলিক সত্যতা অাছে। অাজ কোন পিতার সন্তান যদি তার বাবার জন্য দেড় লক্ষ টাকা খরচ করতে পারে এবং ঐ পিতার জীবন নিয়ে লিখা যোগাড় করতে পারে তাহলে সেই পিতার জন্য বিরাট স্মরণ সভা ও বই প্রকাশের বিষয়ে অামি অানন্দের সহিত সাধ্যমত সহযোগিতা করব।
৩. বিদ্যালয় সীমানার মধ্যে বিদ্যালয়ের জন্য কেনা(দান করা হয়েছে বা হয় নাই) অামাদের ৬ (ছয়) কানি জমি বিদ্যমান। সন্ধেহ থাকলে facebook-এ নয়, বিদ্যালয় গিয়ে যে কেউ কাগজ পত্র দেখতে পারেন।
৪. 'প্রতিষ্ঠাতা'র বিষয়ে নিম্নোক্ত কাগজটা পরীক্ষা করে দেখা যায়। প্রতিষ্ঠাতা ও দাতার লিষ্ট কারা তৈরি করেছে।
৫. বিষাদাগারকারীদের সম্পর্কে অামি অবগত। তবে তাদের পূর্ব পুরুষদের বিষয়ে সত্য লিখলে তারা লজ্জিত হবে। কিন্তু স্নেহভাজনদের এ মূহূর্তে অামি বিব্রত করবো না। তাদের পরিশুদ্ধি ও উন্নতি কামনা করি।
৬. ১৯৯৫ সালে এই ষড়যন্ত্র শুরু করে, কুচক্রীরা ৪/৫ টি মামলা করে প্রত্যেকটিতে পরাজিত হয়। তাদের উত্তরসূরীরাই অাজ অাবার মাঠে নেমেছে।
আসুন আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কে অপরের বিরূদ্ধে কুৎসা রটানোর হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার না করি।উপযুক্ত প্রমাণাদি নিয়ে কথা বলুন, অহেতুক শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
0 মন্তব্যসমূহ