কাজী আরিফ আরিয়ান, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
রফিকুন্নবী ওদের টোকাই হিসেবে চিনিয়েছিলেন। মাহফুজ আনাম জেমসের গানের কথায় যদি বলা যায় 'পথের বাপই, বাপরে মনা, পথের মা-ই মা, পথের মাঝেই খুঁজে পাবি আপন ঠিকানা।
'ওদের ঠিকানা পথ, এই পথেই বেড়ে ওঠা।
ঢাকার রাস্তায় চলতে গেলেই পথ শিশুদের দেখা মিলবে অহরহ। এদের নিয়ে আমরা অনেকে অনেক কথাই বলি। কেউবা মাঝে মাঝে কিছু পরাতন/পুরাতন কাপড় বিতরন করেন। আবার কেউবা ঈদ বা কোন উপলক্ষে একবেলা খাওয়ান। কিন্তু এতে তো তাদের বা দেশের কোন সমাধান হয়না বরং বাড়ে। আবার অনেক সময় দেখবেন রাস্থায় বা পার্কে বসে কিছু খাচ্ছেন এমন সময় ওরা এসে আপনার কাছে কিছু আবদার করবে, টাকা চাইবে নয়তো খাবার চাইবে। আমরা বাঙালি আমাদের ভালবাসার অভাব নেই। স্বভাবসুলভ ভাবেই অথবা গার্লফ্রেন্ড কে দেখানোর জন্য বা নিজের কাছে ভাল লাগার জন্য ২-৪ টাকা দান করে থাকি অথবা হাতের খাবারটা দিয়ে দেই। কিন্তু এতো এদের সাময়িক ক্ষুদা মেটে বটে সমস্যার কিন্তু সমাধান হয়না। আমার-আপনার ও অন্যদের কাছে চেয়ে নিয়ে ওদের দিন কেটে যাচ্ছে ওদের মতোই। সমস্যার সমাধান কিন্তু হচ্ছেনা বরং বাড়ছে। কারন ওদের সাথে আমরা কখনো কথা বলার প্রয়োজন মনে করিনা, ২-৪ টাকা দান করেই শুখ বোধ করি। এরা সারাদিন এখান সেখান থেকে চেয়ে খেয়েই দিন পার করে দেয়। আবার সারা দিনে যে টাকা
পায় তা দিয়ে নেশার ব্যবস্থা হয়ে যায়। তাহলে ভাবুন আমরা পথ শিশুদের ২-৪ টাকা দান করে উপকার করছি নাকি অপকারই বেশি করছি। ৫-৬ বছর বয়স থেকেই এরা নেশা শুরু করে। এরা বড় হওয়ার সাথে সাথে নেশার চাহিদা বেড়ে যায় তখন এরা চুরি, ছিনতাই,ডাকাতির মতো কাজ শুরু করে। এদের সাথে আমরা কখনো কথা বলিনা, কখনো ভাল উপদেশ/বুদ্ধি দেইনা। এরা কখনো ভাল মানুষের সঙ্গ পায়না। এভাবে ২-৪ টাকা দান করে আর ঈদ উপলক্ষে একটা নতুন/পুরাতন জামা কাপড় দান করে কারো ভবিষ্যত গড়া যায়না। আমাদের উচিৎ এদের জন্য কিছু করা, এদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা। চোর, ছিনতাইকারী, ডাকাত হওয়ার আগেই ওদের ভাল মানুষের তালিকায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাদান করা। সরকারকে ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে তার সাথে আমাদেরও উচিৎ ওদের সাথে সুন্দর ও ভাল উপদেশ দেয়া, কিছু হলেও শিক্ষা দেওয়া। অর্থনৈতিক সাহায্যের সাথে সাথে আপনার -আমার একটা কথা যদি ওদের একজনের জীবনও বদলে দিতে পারে তাহলে তাহলেই কেবল আপনি-আমি সার্থক হব।
0 মন্তব্যসমূহ