জে এম নাঈম হাসান, ভেলাঃ
হাঁড় কাপানো শীতে ১ম জানুয়ারি থেকে মারা গেছে ২০ জনের বেশি। শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষ। জেলার হাসপাতাল গুলোতেও শীতজনিত রোগে অসুস্থ রোগীদের ভীড়।
ভোলা: ভোলায় তীব্র শীতে কাপছে মানুষ। হাঁড় কাপানো শীতে মারা অনেক লোক। শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে জেলা জুড়ে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন ৭.৫ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করায় আরো বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন হত দরিদ্ররা। শীতবস্ত্র না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
হাঁড় কাপানো শীত যেন দিন দিন বেড়েই চলছে, আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের জন্য কেউ কেউ চেষ্টা করলেও শিশু ও বয়স্করা পড়ছেন বিপাকে। শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেনা রিকশাচালক, দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ।
ভোলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন অনেক চরাঞ্চল গুলোতে বেসরকারি হিসাবে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বাস। আর এইসব চরের মানুষ গুলো দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে। তাদের প্রধান পেশা নদীতে মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও দিনমজুর হিসাবে কাজ করা। এদের কাছে শীত গ্রীষ্ম সব ঋতুই সমান। যেখানে এই শীতে ঘর থেকেই বের হওয়া দায়, সেখানে এরা কাক ডাকা ভোরে পেটের তাগিদে বেড়িয়ে যায় জীবিকার সন্ধানে। দু’বেলা দুই মুঠো ভাত, সন্ধ্যা হলে আগুনের তাপ আর রাতে ভারি কাঁথা হলেই এরা সন্তুষ্ট।
এবিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন জানান, জেলার ৭টি উপজেলায় ইতিমধ্যেই শীতার্তদের মাঝে সরকারী সাহায্য আসা শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে এ সাহায্য প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামন্য। তাই আরো সাহায্যের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ