চট্টগ্রাম জেলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশখালী উপজেলার অপরূপ প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক
সৌন্দর্য পর্যটন শিল্পের দিগন্ত উন্মোচন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। পূর্বে
পাহাড় ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর নিয়ে মনোরম পরিবেশে বাঁশখালী উপজেলা গঠিত।
বাঁশখালী উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে যেমন রয়েছেÑডানের ছড়া ও
বামের ছড়া খ্যাত বাঁশখালী ইকোপার্ক, সমুদ্র উপকূলে বাহারছড়া ও খানখানাবাদ
ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মনোরম সমুদ্র সৈকত, বৈলগাঁওয়ে সুবিশাল
এলাকাজুড়ে নয়নাভিরাম চা বাগান। তেমনি যে কোন পর্যটককে সহজেই প্রকৃতির এ
অপার সৌন্দর্যে মোহিত করে। ধীরে ধীরে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা।
শীত মৌসুমে ও ছুটির দিনে বাঁশখালী প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমায় পর্যটনের বিশেষ এলাকাগুলোতে। ১৯৮৬ সালে ৭৭৬৪ হেক্টর জমির পাহাড়ি বনভূমির উপর চুনতি অভয়ারণ্য নামকরণ করা হয়। ১৯৯৩ সালে পাহাড়ি এলাকায় কৃষি জমিতে সেচ প্রকল্পের নামে ডানের ছড়া ও বামের ছড়ার উপর বাঁধ দিয়ে কৃষি জমিকে সেচ প্রকল্প আওতায় আনা হয়। ৪টি ইউনিয়নের ৮০ হেক্টর নি¤œাঞ্চলে অনাবাদী জমিতে চাষাবাদের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। ২০০৩ সালে ১০০ হেক্টর বনভূমি নিয়ে বাঁশখালী ইকো-পার্ক ঘোষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাঁশখালী ইকো-পার্ক হিসেবে। সরকারের আর্থিক সহায়তায় দিন দিন পাহাড়ি এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমনে পর্যটকরা নৌকা ভ্রমণে মেতে ওঠে। পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথ বেয়ে পাহাড়ি ঝর্নাগুলো পর্যটকদের সহজেই আকৃষ্ট করে । প্রশান্তির জন্য আপনি যখন মুখিয়ে আছেন তখন শ্রান্তির জন্য বিনোদন স্থান হিসেবে বেছে নিতে পারেন বাঁশখালী পর্যটন এলাকাগুলো। বিনোদনের জন্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাঁশখালী ইকো-পার্কের বামের ছড়া ও ডানের ছড়া লেকে নৌকা ভ্রমণ পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে । পাহাড়ের ঢালুতে হাতি, বানর, হরিণ, অজগর, গুইসাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি দেখে পর্যটকরা মুগ্ধ হন। প্রচার রয়েছে, ৩১০ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ১৮ প্রজাতির দীর্ঘ বৃক্ষ, ১২ প্রজাতির মাঝারি বৃক্ষ, ১৬ প্রজাতির বেতসহ অসংখ্য অর্কিড, ইপিফাইড ও ঘাস জাতীয় গাছ। আরো রয়েছে, গর্জন, গুটগুটিয়া, বৈলাম, সিভিট, চম্পাফুল, লতাগুল্ম সমৃদ্ধ চিরসবুজ বনে গাছ গাছালি।
ইকো-পার্কে রয়েছে ২টি পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ সু-উচ্চ পর্যটন টাওয়ার। পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপন করা বিশাল টাওয়ারগুলো থেকে পশ্চিমে সাগরে সুর্যাস্তের পড়ন্ত দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমায় ইকো-পার্কে। বাঁশখালী ইকো-পার্কের দেশের বৃহত্তম ঝুলন্ত সেতু পারাপার হয়ে পিকনিক স্পটে ভ্রমণ করা সৌন্দর্য আরো বাড়িয়েছে। আরো রয়েছে বন্য প্রাণির ছোট আকারের চিড়িয়াখানা। রয়েছে ৪টি পিকনিট স্পট। শীত মৌসুমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিলে শিক্ষা সফরে আসেন। ইকোপার্কের রেস্ট হাউজগুলো পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারিভাবে ইকোপার্কের পর্যটকদের সুবিধাদি বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়ের ব্যবস্থাও করেছে বনবিভাগ। জনপ্রতি ৬ টাকা টিকেটে যে কোন পর্যটকের ইকোপার্কে ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২০০৮ সালের ডানের ছড়া ও বামের ছড়ার উপর নির্মিত বাঁধটি পাহাড়ি ঢলের চাপে ভেঙে গেলে পর্যটক হ্রাস পায়। এল.জি.ডি বাঁধটি সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সমুদ্র সৈকত : কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের বিকল্প হিসেবে বাঁশখালী উপকূলে খানখানাবাদ ও বাহারছড়া সীমান্তে সাগর উপকূলকে বেছে নিয়েছে ভ্রমণÑপিপাসু নারী পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধরা। সাগরের উত্তাল ঢেউ, জোয়ার-ভাটা, সূর্যাস্তের পড়ন্ত দৃশ্য ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা প্রতিদিন উপভোগ করছে।
বাঁশখালী বেলগাঁও চা বাগান : বাঁশখালীতে কু- এস্টেটে টিলা শ্রেণির ভূমিতে ১৯১৭ সালে চা বাগান শুরু হয়। বাংলাদেশের ১৬৬টি চা বাগানের মধ্যে বাঁশখালী বেলগাঁও চা বাগান ১০ম স্থানে রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে ফটিকছড়ি ১ম স্থানে হলেও ২য় স্থানটি দখল করে রয়েছে এ চা বাগান। বাঁশখালী চা বাগানের ক্লোন চা ইতোমধ্যে সারাদেশে খ্যাতি অর্জন করেছে। এ চা বাগানের মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য পর্যটকরাও ভিড় জমাচ্ছে।
শীত মৌসুমে ও ছুটির দিনে বাঁশখালী প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমায় পর্যটনের বিশেষ এলাকাগুলোতে। ১৯৮৬ সালে ৭৭৬৪ হেক্টর জমির পাহাড়ি বনভূমির উপর চুনতি অভয়ারণ্য নামকরণ করা হয়। ১৯৯৩ সালে পাহাড়ি এলাকায় কৃষি জমিতে সেচ প্রকল্পের নামে ডানের ছড়া ও বামের ছড়ার উপর বাঁধ দিয়ে কৃষি জমিকে সেচ প্রকল্প আওতায় আনা হয়। ৪টি ইউনিয়নের ৮০ হেক্টর নি¤œাঞ্চলে অনাবাদী জমিতে চাষাবাদের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। ২০০৩ সালে ১০০ হেক্টর বনভূমি নিয়ে বাঁশখালী ইকো-পার্ক ঘোষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাঁশখালী ইকো-পার্ক হিসেবে। সরকারের আর্থিক সহায়তায় দিন দিন পাহাড়ি এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আগমনে পর্যটকরা নৌকা ভ্রমণে মেতে ওঠে। পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথ বেয়ে পাহাড়ি ঝর্নাগুলো পর্যটকদের সহজেই আকৃষ্ট করে । প্রশান্তির জন্য আপনি যখন মুখিয়ে আছেন তখন শ্রান্তির জন্য বিনোদন স্থান হিসেবে বেছে নিতে পারেন বাঁশখালী পর্যটন এলাকাগুলো। বিনোদনের জন্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাঁশখালী ইকো-পার্কের বামের ছড়া ও ডানের ছড়া লেকে নৌকা ভ্রমণ পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে । পাহাড়ের ঢালুতে হাতি, বানর, হরিণ, অজগর, গুইসাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি দেখে পর্যটকরা মুগ্ধ হন। প্রচার রয়েছে, ৩১০ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে ১৮ প্রজাতির দীর্ঘ বৃক্ষ, ১২ প্রজাতির মাঝারি বৃক্ষ, ১৬ প্রজাতির বেতসহ অসংখ্য অর্কিড, ইপিফাইড ও ঘাস জাতীয় গাছ। আরো রয়েছে, গর্জন, গুটগুটিয়া, বৈলাম, সিভিট, চম্পাফুল, লতাগুল্ম সমৃদ্ধ চিরসবুজ বনে গাছ গাছালি।
ইকো-পার্কে রয়েছে ২টি পর্যটকদের বিশেষ আকর্ষণ সু-উচ্চ পর্যটন টাওয়ার। পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপন করা বিশাল টাওয়ারগুলো থেকে পশ্চিমে সাগরে সুর্যাস্তের পড়ন্ত দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমায় ইকো-পার্কে। বাঁশখালী ইকো-পার্কের দেশের বৃহত্তম ঝুলন্ত সেতু পারাপার হয়ে পিকনিক স্পটে ভ্রমণ করা সৌন্দর্য আরো বাড়িয়েছে। আরো রয়েছে বন্য প্রাণির ছোট আকারের চিড়িয়াখানা। রয়েছে ৪টি পিকনিট স্পট। শীত মৌসুমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিলে শিক্ষা সফরে আসেন। ইকোপার্কের রেস্ট হাউজগুলো পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারিভাবে ইকোপার্কের পর্যটকদের সুবিধাদি বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়ের ব্যবস্থাও করেছে বনবিভাগ। জনপ্রতি ৬ টাকা টিকেটে যে কোন পর্যটকের ইকোপার্কে ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২০০৮ সালের ডানের ছড়া ও বামের ছড়ার উপর নির্মিত বাঁধটি পাহাড়ি ঢলের চাপে ভেঙে গেলে পর্যটক হ্রাস পায়। এল.জি.ডি বাঁধটি সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সমুদ্র সৈকত : কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের বিকল্প হিসেবে বাঁশখালী উপকূলে খানখানাবাদ ও বাহারছড়া সীমান্তে সাগর উপকূলকে বেছে নিয়েছে ভ্রমণÑপিপাসু নারী পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধরা। সাগরের উত্তাল ঢেউ, জোয়ার-ভাটা, সূর্যাস্তের পড়ন্ত দৃশ্য ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা প্রতিদিন উপভোগ করছে।
বাঁশখালী বেলগাঁও চা বাগান : বাঁশখালীতে কু- এস্টেটে টিলা শ্রেণির ভূমিতে ১৯১৭ সালে চা বাগান শুরু হয়। বাংলাদেশের ১৬৬টি চা বাগানের মধ্যে বাঁশখালী বেলগাঁও চা বাগান ১০ম স্থানে রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে ফটিকছড়ি ১ম স্থানে হলেও ২য় স্থানটি দখল করে রয়েছে এ চা বাগান। বাঁশখালী চা বাগানের ক্লোন চা ইতোমধ্যে সারাদেশে খ্যাতি অর্জন করেছে। এ চা বাগানের মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য পর্যটকরাও ভিড় জমাচ্ছে।
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ