বাঁশখালীতে উপজেলা জনবসতি স্থাপনের পর ১৮৮২ সালের দিকে রায় পরিবারের
সহযোগিতায় বাণীগ্রামেই দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা হয়। পরবর্তীতে জলদি
মিয়ারবাজার এলাকায় মিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে দাতব্য চিকিৎসালয় গড়ে তোলা
হয়েছিল। এভাবেই বাঁশখালীতে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকারের
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রাম পর্যায়ে সরকারি ডাক্তারদের
উপস্থিতি এবং গরীব দুঃখী মানুষের চিকিৎসা সেবা বাধ্যতামূলক ঘোষণা দেওয়া
হলেও বাঁশখালীর মানুষ সেই সুফল পাচ্ছে না।
বাঁশখালী উপজেলায় প্রায় ৭ লক্ষ মানুষের বসবাস হলেও স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা থেকে এখনো লাখ লাখ মানুষ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে, ঐ সেবা কেন্দ্রসমূহের অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। উপকূলের ৬টি ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নিয়ে হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ চালু থাকলেও এনেস্তেসিয়া ও গাইনি ডাক্তারের অভাবের কারণে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। উপজেলা সদরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে এম.বি.বি.এস ডাক্তার থাকলেও গ্রাম পর্যায়ের মানুষ জরুরিভাবে চিকিৎসা সেবা পায় না। জন্ডিস, টায়ফয়েড, হৃদরোগ, বিশেষত গর্ভবতী মহিলারা জটিল রোগে আক্রান্ত হলে অই রোগীকে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় না। তাদেরকে চট্টগ্রাম-ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়।
স্বাস্থ্যসেবা পিছিয়ে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারি অনুমোদন ছাড়া গুনাগরী, পুকুরিয়া, জলদী, চাম্বল এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকিটের মাধ্যমে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বেসরকারিভাবে গড়ে তুলেছে হাসপাতাল ও ক্লিনিক । এসমস্ত হাসাপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া রোগীরা অধিক টাকা ব্যয় করেও কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুরা নিমোউনিয়া, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাও যাচ্ছে। মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সেবাসমূহ দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। সরকারিভাবে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি থাকলেও গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ রোধ সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকায় দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে। পরিবার পরিকল্পনার মাঠকর্মীরা গ্রাম পর্যায়ে মহিলাদেরকে সঠিকভাবে উদ্বুদ্ধ করতে না পারা এবং বাল্য বিবাহের কারণে বৃদ্ধির মূল কারণ বলে চিহিৃত করেছেন সচেতন মহল।
গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা থেকে পিছিয়ে পড়া বাঁশখালীর মানুষ স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। ১৯৮০ সালে উপজেলা সদর জলদীতে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্ধোধন করা হয়। হাসপাতালকে লোকসংখ্যা বিবেচনা করে সরকার চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির জন্য ২০১৫ সালে ৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করেন। এ হাসপাতালের শিশু ও মহিলাদের জন্য ২টি ওয়ার্ড এবং পুরুষ রোগীদের জন্য ১টি ওয়ার্ড রয়েছে। দুর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া ও নিমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতাল ভর্তি হলেও কক্ষের অভাবে ফ্লোরে (বারান্দায়) থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। বাঁশখালীতে ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন থাকলেও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে ৫টি। গরীব দুঃখী মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ও গ্রাম পর্যায়ে ৪০টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। এ ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঔষধ সংকট ও কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খানখানাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ১৯৯১ সালে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। কাথারিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থাকলেও অপরিচ্ছন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ, সরল, ছনুয়া ও বাহারচড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নিয়ে রোগীদের অভিযোগের অন্তঃ নেই। বাণীগ্রাম সাধনপুর, বৈলছড়ী ও পুঁইছড়ী ইউনিয়নে ৩টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এ কেন্দ্রগুলোতেও গর্ভবতী মহিলাসহ রোগীদের ভোগান্তি রয়েছে। সরকারিভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসক প্রণয়ন করা হলেও আবাসিক সুবিধা না থাকার অজুহাতে ইউনিয়ন পর্যায়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দিয়ে হাসপাতালে বসে সেবা প্রদান করেন।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকার্তা ডা. কামরুল আজাদ বলেন, বাঁশখালীতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দায়িত্বরত ১৭ জন চিকিৎসক কাজ করে যাচ্ছেন, পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে। এখানে অপারেশনের ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যাও রয়েছে।
বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। বর্তমানে ডাক্তার সংকটের কারণে গ্রাম পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলায় প্রায় ৭ লক্ষ মানুষের বসবাস হলেও স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা থেকে এখনো লাখ লাখ মানুষ অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে, ঐ সেবা কেন্দ্রসমূহের অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। উপকূলের ৬টি ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষ উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নিয়ে হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ চালু থাকলেও এনেস্তেসিয়া ও গাইনি ডাক্তারের অভাবের কারণে অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। উপজেলা সদরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে এম.বি.বি.এস ডাক্তার থাকলেও গ্রাম পর্যায়ের মানুষ জরুরিভাবে চিকিৎসা সেবা পায় না। জন্ডিস, টায়ফয়েড, হৃদরোগ, বিশেষত গর্ভবতী মহিলারা জটিল রোগে আক্রান্ত হলে অই রোগীকে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় না। তাদেরকে চট্টগ্রাম-ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়।
স্বাস্থ্যসেবা পিছিয়ে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারি অনুমোদন ছাড়া গুনাগরী, পুকুরিয়া, জলদী, চাম্বল এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকিটের মাধ্যমে কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বেসরকারিভাবে গড়ে তুলেছে হাসপাতাল ও ক্লিনিক । এসমস্ত হাসাপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া রোগীরা অধিক টাকা ব্যয় করেও কাক্সিক্ষত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুরা নিমোউনিয়া, ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাও যাচ্ছে। মা, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সেবাসমূহ দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। সরকারিভাবে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি থাকলেও গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ রোধ সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকায় দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে। পরিবার পরিকল্পনার মাঠকর্মীরা গ্রাম পর্যায়ে মহিলাদেরকে সঠিকভাবে উদ্বুদ্ধ করতে না পারা এবং বাল্য বিবাহের কারণে বৃদ্ধির মূল কারণ বলে চিহিৃত করেছেন সচেতন মহল।
গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা থেকে পিছিয়ে পড়া বাঁশখালীর মানুষ স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। ১৯৮০ সালে উপজেলা সদর জলদীতে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্ধোধন করা হয়। হাসপাতালকে লোকসংখ্যা বিবেচনা করে সরকার চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির জন্য ২০১৫ সালে ৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করেন। এ হাসপাতালের শিশু ও মহিলাদের জন্য ২টি ওয়ার্ড এবং পুরুষ রোগীদের জন্য ১টি ওয়ার্ড রয়েছে। দুর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া ও নিমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতাল ভর্তি হলেও কক্ষের অভাবে ফ্লোরে (বারান্দায়) থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। বাঁশখালীতে ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন থাকলেও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে ৫টি। গরীব দুঃখী মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ও গ্রাম পর্যায়ে ৪০টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। এ ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঔষধ সংকট ও কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খানখানাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ১৯৯১ সালে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। কাথারিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থাকলেও অপরিচ্ছন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ, সরল, ছনুয়া ও বাহারচড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নিয়ে রোগীদের অভিযোগের অন্তঃ নেই। বাণীগ্রাম সাধনপুর, বৈলছড়ী ও পুঁইছড়ী ইউনিয়নে ৩টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এ কেন্দ্রগুলোতেও গর্ভবতী মহিলাসহ রোগীদের ভোগান্তি রয়েছে। সরকারিভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসক প্রণয়ন করা হলেও আবাসিক সুবিধা না থাকার অজুহাতে ইউনিয়ন পর্যায়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দিয়ে হাসপাতালে বসে সেবা প্রদান করেন।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকার্তা ডা. কামরুল আজাদ বলেন, বাঁশখালীতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দায়িত্বরত ১৭ জন চিকিৎসক কাজ করে যাচ্ছেন, পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে। এখানে অপারেশনের ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যাও রয়েছে।
বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। বর্তমানে ডাক্তার সংকটের কারণে গ্রাম পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে।
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ