বিএন ডেস্কঃ
নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগের পাশাপাশি বাজার,
রেগুলেটরি ও পরিচালন সংক্রান্ত ব্যয়ের কারণে গতবছর এ কোম্পানির মোট ক্ষতির
পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি টাকা।
রবির বার্ষিক
আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের তথ্য জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, ডেটা ও ভয়েস সেবার মূল্য নিয়ে বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা ২০১৭ সালে
তাদের ব্যবসায়িক ফলাফলে ‘বিরূপ প্রভাব’ ফেলেছে।
“বর্তমান
ত্রুটিপূর্ণ মূল্য কাঠামোর কারণে পণ্য ও সেবার আগ্রাসী মূল্য নির্ধারণ এবং
এক খাতের আয় দিয়ে অন্য খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে
বাজারে। ফলে বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকায় চলমান সঙ্কট আরও ঘনীভূত
হচ্ছে।”
রবি বলছে, উচ্চ হারে কর আরোপের ফলে তুলনামূলক ছোট কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক ফলাফলে চাপ তৈরি হচ্ছে।
“ফোরজির
যুগে প্রবেশ করেছে দেশ। কিন্তু রবির ব্যবসায়িক ফলাফল এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে,
ডিজিটাল বিপ্লব আনতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিনিয়োগের সক্ষমতা ক্ষীণ হয়ে
আসছে।”
রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশের
সেরা নেটওয়ার্কে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে রবি। ফোরজি ও এমএনপি
নিয়ে আলোচিত এই সময়ে আমাদের বিশ্বাস, আমরা আমাদের গ্রাহকদের আরও ডেটা স্পিড
ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক দিতে পারব।”
এক
নজরে রবির ব্যবসায়িক ফলাফল
>>
২০১৭
সালে রবিতে যোগ হয়েছে ৯১ লাখ নতুন গ্রাহক। মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪
কোটি ২৯ লাখে, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ। এর
মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
>>
গতবছর
রবির মোট আয় হয়েছে ৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এয়ারটেলের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পর
২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে রাজস্ব বেড়েছে ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
>> নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনায় বাড়তি ব্যয়ের কারণে ১৯ শতাংশ মার্জিনসহ পরিচালন মুনাফার (ইবিআইটিডিএ) পরিমাণ ছিল ১৩০০ কোটি টাকা।
>> নেটওয়ার্ক খাতে বিনিয়োগের ফলে কর পরবর্তী লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি টাকা।
>> ২০১৭
সালে দেশজুড়ে টুজি/৩.৫জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃতিতে রবির মূলধনী বিনিয়োগ হয়েছে ২৪০০ কোটি টাকা।
>> রবি
গতবছর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ২ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, যা কোম্পানির মোট রাজস্বের ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ।
‘ইয়ুথ
ব্র্যান্ড’ হিসেবে এয়ারটেল ও ‘ডিজিটাল’ ব্র্যান্ড হিসেবে রবির
ব্র্যান্ডিংয়ের ফলে ২০১৭ সালে রবির গ্রাহক সংখ্যা ২৬ দশমকি ৮ শতাংশ বৃদ্ধি
পেয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে
বলা হয়, ১৯৯৭ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রবি এ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়
কোষাগারে জমা দিয়েছে ২০ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। একই সময়ে শেয়ারহোল্ডারদের
লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে ২৯০ কোটি টাকা।
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪
0 মন্তব্যসমূহ