নিউজ ডেস্কঃ
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক বেদনাসিক্ত শোকের দিন। ২০০৯ সালের এই দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস ও মেধাবী কর্মকর্তা নৃশংস ও নির্মমভাবে নিহত হন তৎকালীন বিডিআরের কতিপয় বিপথগামী সদস্যের হাতে। প্রকৃতপক্ষে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশের স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা নির্যাতন ও লাশ গুমের লোমহর্ষক উত্সবে মেতে উঠেছিল বিডিআর এর পোশাকধারী নরঘাতকরা। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে পিলখানায় ৫৭ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, দু’জন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিডিআর জওয়ান, পিলখানার বাইরে সেনাবাহিনীর এক সিপাহী, এক পুলিশ কনস্টেবল ও তিন পথচারী নিহত হয়েছিলেন। অর্ধশত সেনা কর্মকর্তার সারি সারি লাশ দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল গোটা জাতি।
২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘাতকদের সর্বশেষ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। বিচার সম্পন্ন হবার মাধ্যমে ৫৭টি বিডিআর ইউনিটের সন্দেহভাজন সদস্যদের ১১টি (আধা সামরিক) বিশেষ আদালতে বিচার কাজ শেষ হয়েছে। ৫৭টি মামলায় ৬ হাজার ১১ জন বিদ্রোহী সৈন্যের বিডিআর আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।হত্যা মামলার রায়ে ৮৪৬ আসামির মধ্যে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৭১ জনকে খালাস দেয়া হয়। অন্যদের দুই থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
কিন্তু জাতির যে মেধাবী সন্তানরা সেদিন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের ফিরে পাওয়া কখনো সম্ভব নয়। তাদের পরিবার পরিজনকে সান্তনা দেয়ার ভাষাও জাতি হারিয়ে ফেলেছে। আজ এই শোকের দিনে আমাদের প্রত্যশা মানবতার বিরুদ্ধে এই জঘন্য অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্তদের শাস্তি যথাশীঘ্র সম্ভব বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন এবং শাস্তি কার্যকর করবেন। পুরো জাতির সাথে বিনম্র শ্রদ্ধায় আমরা বাঁশখালী আলাওল ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগ পরিবার স্মরণ করি সেদিন পিলখানায় যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের সকলকে, মাগফেরাত কামণা করি তাদের সকলের বিদেহী আত্মার।
মোহাম্মাদ আলী হেছাইন (আলী)
আলাওল ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা
বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।
0 মন্তব্যসমূহ