নিউজ ডেস্কঃ
দক্ষিণ চট্টগ্রামে পটিয়া–আনোয়ারা–বাঁশখালী (পিএবি) সড়ক যেন দিন দিন মুত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। গত কয়েকমাসে এ সড়কে ঝরেছে ১৫ণ্ড২০টি তাজা প্রাণ। ঘেটেছে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা, পঙ্গু হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোকজন। সাধারণ জনগণ এর থেকে পরিত্রাণ চান। তারা চান, সচেতন ভাবে চলুক গাড়ি। আর যেন অকালে কোনো প্রাণ না ঝরে এই দাবিতে ‘নিরাপদ সড়ক চাই, বেপরোয়া
ড্রাইভিং বন্ধ কর করতে হবে’ শ্লোগানে গত সোমবার দুপুরে বাঁশখালী প্রধান
সড়ক সংলগ্ন মনছুরিয়া বাজারে দীর্ঘ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ
করেন বাঁশখালীর বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ, শিক্ষক, ছাত্রসহ সাধারণ জনতা।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আনোয়ারা–বাঁশখালী প্রধান সড়কে নিত্য সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এসব দুর্ঘটনা নয়; যেন হত্যাকান্ড। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন বেপরোয়া যানচলাচল, সংকীর্ণ
সড়ক ব্যবস্থা সব মিলিয়ে বাঁশখালীর প্রধান সড়কটিই যেন মরণ ফাঁদ। প্রতিনিয়ত
সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে ঝরে যাচ্ছে কতো প্রাণ তার কোনো হিসেব নেই। তারা আরো
বলেন, সম্প্রতি
সড়ক দুর্ঘটনায় বাঁশখালীর অনেকে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন। গত রোববার সড়ক
দুর্ঘটনায় বাঁশখালীর কৃতি ফুটবলার ছোটনসহ আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন
আগে বাণীগ্রাম সাধনপুর রাস্তার মোড়ে সিএনজি–বাসের
ধাক্কায় ২ যাত্রী তাৎক্ষণিক মারা যান। এভাবে অহরহ মৃত্যু সংঘটিত হচ্ছে
বাঁশখালীর ব্যস্ততম প্রধান সড়কটিতে। এতে বিভিন্নভাবে নিরাপদ সড়কের দাবিতে
প্রতিবাদ জানানো হলেও কোনো সুরাহা মিলছে না। এপর্যন্ত কর্তৃপক্ষ থেকে
জোরালো কোনো পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়নি। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই
চলেছে। বক্তারা বলেন, জনসচেতনতা, প্রশিক্ষিত চালক ও আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত হলেই নিরাপদ সড়ক বাস্তবাযন সম্ভব হবে।
0 মন্তব্যসমূহ