বিনোদন ডেস্কঃ
আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। তারপরই ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে শোবিজ জগতের
এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের। ঢাকা উত্তর সিটি
করপোরেশনের সালিশি বৈঠকের পরেও কোনো প্রকার সমঝোতায় পৌছায়নি তারকা এক
দম্পতি। গত ১৫ জানুয়ারি ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর অফিসে অনুষ্ঠিত সালিশে অপু
বিশ্বাস উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না শাকিব খান। তিনি অপুকে ডিভোর্স
দেয়ার সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছেন।
দেরিতে হলেও শাকিবের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ উগরে দিলেন
স্ত্রী অপু বিশ্বাস। মঙ্গলবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমের
সঙ্গে আলাপকালে মনের সব জমানো কথাই বলে দিলেন তিনি। তালাকের নোটিশ পাঠানো
এবং সালিশি বৈঠকে হাজির না থাকার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে তিনি
শাকিবের চরিত্র নিয়েও কথা বলেন।
অপু বলেন, ‘শাকিবের চরিত্র খারাপ জানতাম কিন্তু এত খারাপ জানতাম না।
যেসব মেয়েদের সঙ্গে তার ওঠা-বসা, আমি ভেবেছিলাম সন্তান হলে সে এই পথ থেকে
সরে আসবে। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টো। বাবা হয়ে সন্তানের স্বার্থেও সে ছাড়
দেয়নি। তাকে ভালোবেসে আমি ঘর ছেড়েছি, পরিবার ছেড়েছি, ক্যারিয়ার ছেড়েছি।
বিনিময়ে পেয়েছি শুধু অবহেলা আর অসম্মান।’
ডিভোর্স বিষয়ে নায়িকা বলেন, ‘শাকিব আগেই আমাকে বলেছিল, আমাদের সন্তান
হলেই সে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে। তখন আমি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেইনি। কথার
কথা মনে করেছিলাম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি বিষয়টা কতটা সত্যি। তবে সবাইকে
তো কোনো না কোনো কিছু আঁকড়ে ধরে বাঁচতে হয়। এখন আব্রামই আমার একমাত্র
অবলম্বন। তাকে নিয়েই আগামী দিনগুলো নতুন করে সাজাতে চাই।’
অপু বিশ্বাসের এই কথায় আরও একটা বিষয় পরিষ্কার। প্রথমে মানতে না চাইলেও,
বেলাশেষে হার মেনেছেন তিনি। মেনে নিয়েছেন শাকিবের ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত।
নায়িকার কথায়, ‘দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে একে অপরের প্রতি আস্থা
থাকতে হয়। মনের মিল না হলে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না। একজন স্ত্রীর
পক্ষে যা কিছু মেনে নেয়া সম্ভব, তার সবকিছুই মানার চেষ্টা করেছি। তারপরও
শাকিব তার সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছে। সে যেটা ভালো মনে করেছে, সেটাই করেছে।
আমিও তাই ডিভোর্স মেনে নিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভালোবাসা দিবসের দিনেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের
পারিবারিক আদালতে তারকা দম্পতি শাকিব-অপুর বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে দ্বিতীয় সালিশ
অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই অপু জানিয়ে দেন, শাকিব খানের
বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিয়েছেন। কাজেই, দ্বিতীয় সালিশে যাওয়ার
কোনো দরকার আছে বলে তিনি মনে করেন না। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পূর্ণ হবে
ডিভোর্স আবেদনের তিন মাস। ওই দিনই কার্যকর হবে ডিভোর্স।
এদিকে, নায়ক শাকিব খান বর্তমানে ‘সুপার হিরো’ ছবির শুটিংয়ের কাজে নায়িকা
বুবলীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। অপু রয়েছেন বাংলাদেশে। তিনিও সম্প্রতি
দুটি ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। একটি দেবাশীষ বিশ্বাসের
‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ এবং অন্যটি হচ্ছে রফিক শিকদারের ‘ওপারে
চন্দ্রাবতী’। প্রথমটিতে অপুর নায়ক বাপ্পী চৌধুরী এবং দ্বিতীয়টিতে সায়মন
সাদিক।
0 মন্তব্যসমূহ