মানবসভ্যতার ক্রম-বিকাশের সাথে সাথে মানুষ নিজেদের কর্মকা- নিয়ে ইতিহাস
রচনা করেন। ইতিহাসবিদদের মতে পূর্বে পাহাড় ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর মাঝখানে
সমতল ভূমি নিয়ে এ বাঁশখালী উপজেলা। ১৯২৫ সালে নুসরাৎ শাহ আরকানের শাসকদের
কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম দখল করে নেয়। খোদা বখ্শ খানকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের
সামন্ত শাসক নিযুক্ত করেন। রাজস্ব আদায়ের জন্য ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ
শাসকগণ কালেক্টর পদ সৃষ্টি করেন। রাজস্ব আদায়ের জন্য দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৯টি
চাকলায় বিভক্ত করা হয়। ৯টি চাকলার মধ্যে বাঁশখালীও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ৮ম ও
৯ম শতাব্দী সময়ে এ অঞ্চলে জনবসতি স্থাপন শুরু হয়। নদী ও সাগর উপকূলবর্তী
হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যে প্রসার ও ধর্মপ্রচারের জন্য বাঁশখালীতে জনবসতি
স্থাপন শুরু হয়। বঙ্গের রাজধানী গৌড় থেকে সামন্তরাজ হামিদ উদ্দিন খানের
সাথে লোকজন এসে জলদী এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন
বিভিন্ন ধর্মীয় গৌত্রীয় লোকজন মৌলভী, ব্রাহ্মণ,কায়স্থ, তেলী, জেলে,
কর্মকার, কুম্ভকার, নাপিত, ধোপা, স্বর্ণকার মালি, বেহারা, ও নানা পেশার
মানুষ ।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে একজন জমিদার (রায় পরিবার) বিভিন্ন পেশার প্রজাদের নিয়ে বাণীগ্রামে বসতি স্থাপন করেন। ভারতের মধ্য প্রদেশের চাম্বল নামক স্থান থেকে একজন দরবেশ চাম্বল এলাকায় ধর্ম প্রচারের জন্য বসতি স্থাপন করেন। একইভাবে বিভিন্ন এলাকায় আরব ও আফগানিস্তান থেকে লোকজন ব্যবসাÑবাণিজ্য ধর্ম প্রচারের জন্য এসেই জনবসতি গড়ে তোলেন। চট্টগ্রাম ভিক্তিক ব্যবসাÑবাণিজ্যের কারণে লোকজন নদীপদকে ব্যবহার করে লোকজন ব্যবসা বাণিজ্য করতো। ব্রিটিশ শাসনকালে ১৯২০ সাল পর্যন্ত হাট বাজারে নামের তালিকায় ৪১টি স্থান পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ শাসন আমলে জমিদারগণ বাঁশখালী নদী পথে প্রবেশ পথ খানখানাবাদ ইউনিয়নের রায়ছটায় জলখদর খালের মুখ ও শংখ নদীর মোহনায় ঈশ্বর বাবুর হাটকে বাণিজ্যিক ব্যবসা কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলেন। বর্তমানে এই বাজারটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একইভাবে বিলুপ্তি হয়ে গেছে জলদী গ্রামের রুহুল্লার হাট, দারগার হাট, বৈলছড়ি ইউনিয়নের কালির হাট , গ-ামারা হাট খালি বাজার, চাম্বল ইউনিয়নের গোলাম গজের হাট, সাধনপুরের সাহেবের হাট, পুকুরিয়া ইউনিয়নের হাজী দৌলতের হাট ও সওদাগরের হাট । বর্তমানে বাঁশখালীতে ৩৮টি হাটবাজার রয়েছে।
সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়ে ব্যবসা বাণিজ্য চালু থাকায় বর্তমানে বিভিন্ন হাট বাজারে ক্ষুদ্র ও বড় ব্যবসায়ীরা নৌ-সাম্পানে নদী পথ বাদ দিয়ে মালামাল পরিবহনে ট্রাক যোগে সড়ক পথ ব্যবহার করছে। ঢাকা ও বাণিজ্যিক রাজধানীর চট্টগ্রাম পাইকারী ব্যবসা কেন্দ্র থেকে ব্যবসায়ীরা মালামাল ক্রয় করে দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্যে বাঁশখালীর মানুষ এখন অনেক এগিয়ে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে একজন জমিদার (রায় পরিবার) বিভিন্ন পেশার প্রজাদের নিয়ে বাণীগ্রামে বসতি স্থাপন করেন। ভারতের মধ্য প্রদেশের চাম্বল নামক স্থান থেকে একজন দরবেশ চাম্বল এলাকায় ধর্ম প্রচারের জন্য বসতি স্থাপন করেন। একইভাবে বিভিন্ন এলাকায় আরব ও আফগানিস্তান থেকে লোকজন ব্যবসাÑবাণিজ্য ধর্ম প্রচারের জন্য এসেই জনবসতি গড়ে তোলেন। চট্টগ্রাম ভিক্তিক ব্যবসাÑবাণিজ্যের কারণে লোকজন নদীপদকে ব্যবহার করে লোকজন ব্যবসা বাণিজ্য করতো। ব্রিটিশ শাসনকালে ১৯২০ সাল পর্যন্ত হাট বাজারে নামের তালিকায় ৪১টি স্থান পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ শাসন আমলে জমিদারগণ বাঁশখালী নদী পথে প্রবেশ পথ খানখানাবাদ ইউনিয়নের রায়ছটায় জলখদর খালের মুখ ও শংখ নদীর মোহনায় ঈশ্বর বাবুর হাটকে বাণিজ্যিক ব্যবসা কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলেন। বর্তমানে এই বাজারটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একইভাবে বিলুপ্তি হয়ে গেছে জলদী গ্রামের রুহুল্লার হাট, দারগার হাট, বৈলছড়ি ইউনিয়নের কালির হাট , গ-ামারা হাট খালি বাজার, চাম্বল ইউনিয়নের গোলাম গজের হাট, সাধনপুরের সাহেবের হাট, পুকুরিয়া ইউনিয়নের হাজী দৌলতের হাট ও সওদাগরের হাট । বর্তমানে বাঁশখালীতে ৩৮টি হাটবাজার রয়েছে।
সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়ে ব্যবসা বাণিজ্য চালু থাকায় বর্তমানে বিভিন্ন হাট বাজারে ক্ষুদ্র ও বড় ব্যবসায়ীরা নৌ-সাম্পানে নদী পথ বাদ দিয়ে মালামাল পরিবহনে ট্রাক যোগে সড়ক পথ ব্যবহার করছে। ঢাকা ও বাণিজ্যিক রাজধানীর চট্টগ্রাম পাইকারী ব্যবসা কেন্দ্র থেকে ব্যবসায়ীরা মালামাল ক্রয় করে দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্যে বাঁশখালীর মানুষ এখন অনেক এগিয়ে।
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ
0 মন্তব্যসমূহ