বিনোদন ডেস্কঃ
গত বছরের অক্টোবরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র ফোরাম নামের একটি সংগঠন কার্যক্রম শুরু করে। এফডিসি-ভিত্তিক ১৬টি
সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের পাল্টা সংগঠন হিসেবে
এটি গঠিত হয়। কিন্তু মাত্র চার মাসের মাথায় সংগঠনটি ভেঙে যেতে বসেছে।
গত বছর যৌথ প্রযোজনার ছবির অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র পরিবার। এর বিপরীতে প্রযোজক আবদুল আজিজ, নায়ক শাকিব খান, ওমর
সানি, নায়িকা মৌসুমীসহ আরও অনেক প্রযোজক, হল মালিক, কলাকুশলী,
অভিনয়শিল্পীরা মিলে তৈরি করেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ফোরাম।
অনেক দিন ধরে চলচ্চিত্র ফোরামের কোনো কার্যক্রম নেই। কাকরাইলের অস্থায়ী
অফিসেও এর সদস্যদের যেতে দেখা যায় না। ফোরামের সভাপতি ও সাবেক প্রযোজক নেতা
নাসির উদ্দিন দিলু বলেছেন, ‘ফোরাম হয়তো ভাঙবে না। তবে শিগগিরই ফোরামের সব
কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। এটা নিয়ে আর সামনে এগোনোর কিছু নেই।’
কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সংগঠনটি অকার্যকর হওয়ার কারণ কী? ফোরামের সভাপতি
বললেন, ‘ওই সময় অনেকের স্বার্থের জন্য সংগঠনটি তৈরির তাগিদ ছিল। তাঁদের
স্বার্থ ফুরিয়ে গেছে, এখন ফোরাম থাকলে কি আর না থাকলেই কি! আমি নিজেও
কমিটিতে থাকতে চাইনি। কোনো ইচ্ছা ছিল না। আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পদ দেওয়া
হয়েছে। আমি আর ফোরামের অফিসে যাই না। এ বিষয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই।’
একই কথা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রপরিচালক কাজী হায়াতের মুখেও।
তিনি বলেন, ‘আমি ফোরামের অফিসে যাই না। আমি এসবের মধ্যে নেই। আমাকে জোর করে
নেওয়া হয়েছিল। আবদুল আজিজ, শাকিব খানসহ যাঁদের সমস্যার কারণে ফোরাম তৈরি
হয়েছিল, তাঁদের সমস্যা মিটে গেছে, ফোরামও শেষ হয়ে গেছে।’
গত নভেম্বরে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেনের কক্ষে তাঁর সঙ্গে
প্রযোজকদের সভা যখন চলছিল, তখন চলচ্চিত্র ফোরামের প্রধান উদ্যোক্তা জাজ
মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল আজিজের ওপর চড়াও হন ফোরামেরই সাংগঠনিক
সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল। এরপর থেকেই ফোরাম ভেঙে যাওয়ার গুঞ্জন ওঠে। অভিযোগ
আছে, এই ঘটনায় ফোরামের ভেতর থেকে কেউ বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ
করেননি। এরপর থেকেই আবদুল আজিজ ফোরামের সব কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে
নেন।
ফোরাম থাকা না থাকার বিষয়ে ফোরামের মূল উদ্যোক্তা আবদুল আজিজ কিছুই বলতে
চাইলেন না। শুধু বললেন, ‘এসব খোঁজ রাখি না। কিছু বলতেও চাই না।’
0 মন্তব্যসমূহ