বিএন ডেস্কঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ইটভাটাগুলোতে কয়লার পরিবর্তে প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে সংলগ্ন পাহাড়ি বনাঞ্চলের গাছ। কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর ফলে ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। তাছাড়া, ইটভাটা আইন অমান্য করে উপজেলার যত্রতত্র গড়ে উঠা ইটভাটাগুলোর কালো-ধোঁয়ার কারণে স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা ইটভাটাগুলোর মধ্যে রয়েছে— পুকুরিয়ায় ১টি, সাধনপুর লটমনি পাহাড়ে ৩টি, বাঁশখালী সাতকানিয়া সীমান্তের চূড়ামণি এলাকায় ২টি, বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে ৩টি, চাম্বলে ১টি, শেখেরখীলে ১টি। পুকুরিয়া চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় জিগজ্যাগের পরিবর্তে লম্বা চিমনি দিয়ে গড়ে উঠা ইটভাটার কারণে চা-উত্পাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে কৃষি জমিতে সামান্য ব্যবধানে পর পর গড়ে উঠেছে ৩টি ইটভাটা। এক কিলোমিটারের ব্যবধানে গড়ে উঠা তিনটি ইটভাটা এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইটভাটার মালিকগণ প্রভাবশালী হওয়ার কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা ভয়ে কোন কথা বলতে পারছে না। লোকালয়ের পার্শ্ববর্তী এসব ইটভাটার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। আর এসব ইটভাটার কারণে উপজেলার বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি আবাদঅযোগ্য হয়ে পড়ছে। ফলে স্থানীয় কৃষি উত্পাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্র মতে, ইটভাটায় একবার ইট পোড়াতে প্রায় চার হাজার মণ কাঠ পোড়ানো লাগে। এসব ইট পোড়ানোর কাঠ জোগাড় করা হচ্ছে আশপাশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকেই। ফলে উজাড় হয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চলের বৃক্ষ ও বনভূমি। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হলেও অবৈধ ইটভাটাগুলোতে বনের কাঠ পোড়ানো বন্ধে প্রশাসনের তেমন কোন তত্পরতা নেই।
চাম্বল বনবিট কর্মকর্তা শেখ আনিসুজ্জামান বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইটভাটাগুলোতে পাহাড় কাটা ও কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। যে সমস্ত ইটভাটা পাহাড়ি মাটি বা কাঠ ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কেউ যাতে পাহাড় থেকে মাটি ও কাঠ না কাটতে পারে সে জন্য কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, কয়েক বছর আগে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি উপজেলায় অভিযান করতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অবরোধের মুখে পড়েছি। তাছাড়া ইটভাটায় অভিযান পরিচালনায় অত্যন্ত বেগ পেতে হয়।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, যেসব ইটভাটা অবৈধভাবে পাহাড়ি কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটাগুলো অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা ইটভাটাগুলোর মধ্যে রয়েছে— পুকুরিয়ায় ১টি, সাধনপুর লটমনি পাহাড়ে ৩টি, বাঁশখালী সাতকানিয়া সীমান্তের চূড়ামণি এলাকায় ২টি, বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে ৩টি, চাম্বলে ১টি, শেখেরখীলে ১টি। পুকুরিয়া চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় জিগজ্যাগের পরিবর্তে লম্বা চিমনি দিয়ে গড়ে উঠা ইটভাটার কারণে চা-উত্পাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে কৃষি জমিতে সামান্য ব্যবধানে পর পর গড়ে উঠেছে ৩টি ইটভাটা। এক কিলোমিটারের ব্যবধানে গড়ে উঠা তিনটি ইটভাটা এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইটভাটার মালিকগণ প্রভাবশালী হওয়ার কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা ভয়ে কোন কথা বলতে পারছে না। লোকালয়ের পার্শ্ববর্তী এসব ইটভাটার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকাবাসী। আর এসব ইটভাটার কারণে উপজেলার বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি আবাদঅযোগ্য হয়ে পড়ছে। ফলে স্থানীয় কৃষি উত্পাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্র মতে, ইটভাটায় একবার ইট পোড়াতে প্রায় চার হাজার মণ কাঠ পোড়ানো লাগে। এসব ইট পোড়ানোর কাঠ জোগাড় করা হচ্ছে আশপাশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকেই। ফলে উজাড় হয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চলের বৃক্ষ ও বনভূমি। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হলেও অবৈধ ইটভাটাগুলোতে বনের কাঠ পোড়ানো বন্ধে প্রশাসনের তেমন কোন তত্পরতা নেই।
চাম্বল বনবিট কর্মকর্তা শেখ আনিসুজ্জামান বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইটভাটাগুলোতে পাহাড় কাটা ও কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। যে সমস্ত ইটভাটা পাহাড়ি মাটি বা কাঠ ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কেউ যাতে পাহাড় থেকে মাটি ও কাঠ না কাটতে পারে সে জন্য কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, কয়েক বছর আগে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি উপজেলায় অভিযান করতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অবরোধের মুখে পড়েছি। তাছাড়া ইটভাটায় অভিযান পরিচালনায় অত্যন্ত বেগ পেতে হয়।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, যেসব ইটভাটা অবৈধভাবে পাহাড়ি কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটাগুলো অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক
0 মন্তব্যসমূহ