বিগত
বছর গুলোতে হিসেব করলে দেখা যাবে বাঁশখালীতে নতুনভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ
করা হয়নি বললেই চলে। যেসব আছে তা আমাদের পূর্ব পুরুষ’দের উদ্যোগে হয়েছিল।
সংগঠন আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। যদি নিজেদেরকে আদর্শের পূজারী ভাবি তাহলে
এবার তার একটু হলেও প্রতিদান দেবার চেষ্টা করি।
১৯৫২
সালের এই দিনে গোটা বিশ্বকে অবাক করে মায়ের ভাষার জন্য রাজপথে বুকের তাজা
রক্ত ঢেলে দিয়েছিল এদেশের সূর্য সন্তানরা। রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষার অধিকার
আদায়ের মাস এই ফেব্রুয়ারি। মায়ের ভাষার
জন্য জীবন দেওয়া শহীদদের এই আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নির্মান করা
হয় শহীদ মিনার। বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের প্রতীক এবং প্রেরণার উৎস
এই শহীদ মিনার।
বর্তমান
প্রজন্মের অনেকেই শুধু ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে চিনে অথচ এর পেছনের ধারাবাহিক
আন্দোলন সম্পর্কে জানে না। ভাষা আন্দোলনের সফলতার পথ বেয়েই যে স্বাধীন
বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়েছিল সে সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম এবং আগামীর
প্রজন্ম যাতে জানতে পারে তার ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে। তাই বাঁশখালীর
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলে বর্তমান এবং আগামী
প্রজন্ম যেমন জানবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস তেমনি খুঁজে পাবে সকল
প্রকার অপশক্তি বিনাশে প্রেরণার উৎস।
ফয়সল জামিল চৌধুরী (সাকি) টাইমলাইন থেকে নেওয়া
সাধারণ সম্পাদক - বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা।
0 মন্তব্যসমূহ