রাষ্ট্রায়ত্ত
তিনটি তেলস্থাপনার নিরাপত্তার জন্য সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর সড়ক দুদিন বন্ধ
রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া
এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার জজ আদালতে রায় হবে।
সম্প্রতি আদালত থেকে ফেরার সময় খালেদা
জিয়ার বহর থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রায়ের পরের পরিস্থিতি
নিয়ে জনসাধারণের মনে উদ্বেগ রয়েছে।
সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে রায়ে সাজা
হলে বিএনপি নেতাদের আন্দোলনের হুমকি এবং সেই ধরনের চেষ্টা হলে তা মোকাবেলায়
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘোষণা।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাৎ
হোসেন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ওই দিন
আমরা রাজপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেব।”
নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের নেতারা তিন থেকে
চারটি স্থানে অবস্থান নেবেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
তবে শাহাদাৎ বলেছেন, তাদের অবস্থান কর্মসূচি
হবে শান্তিপূর্ণ। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে গত শনিবার নগরীর লালদিঘী ময়দানে
এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ
নাসিম বৃহস্পতিবার তাদের নেতাকর্মীদের রাজপথে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
নগর আওয়ামী
লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, “বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ধরনের অরাজকতা
করতে না পারে, সেজন্য রায়ের দিন নগরীর ১৫ থেকে ১৬টি স্পটে অবস্থানে থাকবে আওয়ামী
লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নোকর্মীরা।”
এসএসসি পরীক্ষা
চলছে এখন। এই অবস্থায় কেউ ‘জ্বালাও-পোড়াও’ করলে তা ঠেকানোর ঘোষণাও দেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে
পুলিশের পক্ষ থেকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন
সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “রায় ঘোষষণাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতা হতে দেওয়া যাবে না।
আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছি। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
বন্ধ
থাকবে সিমেন্ট ক্রসিং-বিমানবন্দর সড়ক
রাষ্ট্রায়ত্ত
তিনটি তেলস্থাপনাসহ বিভিন্ন নিরাপত্তার জন্য সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর সড়ক
বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর পুলিশ।
নগর পুলিশ
কমিশনার ইকবাল বাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার বিকাল থেকে
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই সড়কে কোনো সাধারণ যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
কারণ জানতে
চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, “ওই রাস্তায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। সেগুলোর
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সড়ক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
২০১৪ সালের ৫
জানুয়ারি ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের বছর ওই সড়কে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি তেল ডিপো
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের হামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল
পুলিশ।
সুত্রঃ
0 মন্তব্যসমূহ